এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদের চিটফাণ্ড যোগে খোলা যাচ্ছে না চা-বাগান? প্রশ্নের মুখে খোদ মমতাই?

তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদের চিটফাণ্ড যোগে খোলা যাচ্ছে না চা-বাগান? প্রশ্নের মুখে খোদ মমতাই?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছেন শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায়। গতকাল মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠক সম্পন্ন করেছেন। আজ বুধবার কোচবিহার, দার্জিলিং, কালিম্পং জেলার সঙ্গে রয়েছে প্রশাসনিক বৈঠক।

গতকাল দু জেলার সঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠকে রাজ্য সরকারের কর্মতীর্থ প্রকল্প ও চা বাগান এর সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠে এলো মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। যা নিয়ে যথেষ্ট অসন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী। কর্মতীর্থ প্রকল্পের বিষয়ে গতকাল মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযোগ জানালেন ধুপগুড়ির তৃণমূল বিধায়ক মিতালী রায়। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন, ” দিদি, কথা ছিল ৫০০ দিনের মধ্যে কর্মতীর্থের কাজ শেষ হবে। কিন্তু আট বছরেও শেষ হয়নি। হতাশাগ্রস্ত হয়ে তিন জন আত্মহত্যা করেছেন!”

বিধায়ক মিতালি রায়ের কাছ থেকে এই এই অভিযোগ শোনার পর মুখ্যমন্ত্রী জলপাইগুড়ি জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে প্রশ্ন করে জানিতে চাইলেন যে, কারা এই প্রকল্পের দেখভালে নিয়োজিত? মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রশ্নের উত্তরে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক জানালেন যে, এই প্রকল্পটি সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তরের হলেও, এই প্রকল্পর বাস্তবায়নের দায়িত্ব রয়েছে জেলা পরিষদ এর হাতে। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশ, ” নভেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে। প্রয়োজনে মাথায় ইট বয়ে কাজ শেষ করুন।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক গতকালের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীকে জানালেন যে, লকডাউন চলাকালীনও নটি চায়ের বাগান খোলা ছিল। কিন্তু এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, বাম আমল থেকে কিছু চা বাগান বন্ধ হয়ে গেছে, যেগুলি খোলা এখনো সম্ভব হয়ে ওঠেনি। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী মলয় ঘটক মুখ্যমন্ত্রীকে জানালেন যে, বন্ধ হয়ে পড়া এই চা বাগান গুলোর মধ্যে কতগুলি চা বাগান অ্যালকেমিস্ট এর মালিকানাধীন রয়েছে। গতকাল শ্রমমন্ত্রীর কাছ থেকে এ বিষয়টি জানার পর মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা গেল, “নির্দিষ্ট করার দরকার নেই। আমি পুলিশকে দু’বছর আগেই বলে দিয়েছি অ্যাকশন নিতে। ওটা প্রশাসন দেখে নেবে।”

প্রসঙ্গত চিট ফান্ড কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত কোম্পানি গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো অ্যালকেমিস্ট। এই অ্যালকেমিস্ট এর কর্ণধার হলেন কেডি সিং। যিনি তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন একসময়। তবে কয়েক বছর ধরে দলের সঙ্গে তেমন একটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নেই তাঁর। এই অ্যালকেমিস্ট কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। কোম্পানির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে মিঠুন চক্রবর্তীকে এক সময় ইডি তলব করেছিলো। সে সময় মিঠুন চক্রবর্তীও তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন। কিন্তু এই ঘটনার পর মিঠুন চক্রবর্তী রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন।

তবে, এ বিষয়ে বিরোধীদের অভিযোগ, চা বাগান নিয়ে রাজ্য সরকার যে অন্যায় করেছে, ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে তার ফল ভোগ করতে হয়েছে তাদেরকে। আবার চা বাগানের বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের অভিযোগ, এখনো পর্যন্ত চা বাগানের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করতে পারেনি রাজ্য সরকার। এ ছাড়া চা বাগানের কুলি লাইনের উন্নয়নের ব্যাপারেও তাদের পূর্ব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ব্যর্থ রাজ্য সরকার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!