এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > কর্মসংস্থানের জোয়ার, তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেই বাজেটে বড় ঘোষণা মমতার!

কর্মসংস্থানের জোয়ার, তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেই বাজেটে বড় ঘোষণা মমতার!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –   2011 সাল থেকে রাজ্যে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় থাকলেও, সেভাবে কর্মসংস্থানের দরজা খোলেনি বলেই অভিযোগ বিরোধীদের। সেদিক থেকে প্রতিবার পঞ্চায়েত হোক বা পৌরসভা, লোকসভা হোক বা বিধানসভা, বিভিন্ন নির্বাচনে এই কর্মসংস্থানের অভাবের দিকটি তুলে ধরে শাসক পক্ষকে আক্রমণ করতে দেখা যায় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে। 2021 সালের সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনেও এই বিষয়কে সামনে রেখে বেকার যুবক-যুবতীদের মনে তৃণমূল বিরোধিতার বিষয়টি গেঁথে দেওয়ার চেষ্টা করে বিরোধীরা। কিন্তু তারপরেও বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয় বার রাজ্যের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় তৃণমূল কংগ্রেস।

আর তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর নিজেদের ঘোষিত প্রথম বাজেটে কর্মসংস্থান নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বস্তুত, অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র অসুস্থ থাকার কারণে তিনি সশরীরে বিধানসভায় উপস্থিত থেকে রাজ্য বাজেট ঘোষনা করতে পারেননি। সেদিক থেকে এবার রাজ্য বাজেট পেশ করেছেন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রীর পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর সেই ঘোষণাতেই আগামী পাঁচ বছরে দেড় কোটি কর্মসংস্থান হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই এতদিন ধরে কর্মসংস্থানের অভাবের বিষয়টি তুলে ধরে বিরোধীরা সরকারকে কটাক্ষ করলেও, তৃতীয় বার ক্ষমতায় এসেই কর্মসংস্থানের ব্যাপারে বড় ঘোষণা করে কার্যত বেকার যুবক-যুবতীদের মনে আশার আলো দেখালো তৃতীয় তৃণমূল সরকার বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, আজ রাজ্য বিধানসভায় বাজেট পেশ করেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যেখানে তিনি বলেন, “আগামী পাঁচ বছরে রাজ্যে দেড় কোটি কর্মসংস্থান তৈরিতে ব্যাপারে আশাবাদী রাজ্য সরকার।” তবে কিভাবে এই দেড় কোটি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে, তা অবশ্য উল্লেখ করা হয়নি রাজ্য বাজেটে। স্বাভাবিক এই ভাবেই নিয়ে কিছুটা হলেও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। যদিও বা বাজেট পেশের পর এই ব্যাপারে সাংবাদিক বৈঠক করতে গিয়ে তার ব্যাখ্যা দিতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এদিন তিনি বলেন, “ডেউচা পাচামিতে এক লক্ষ মানুষের কাজ হবে। রঘুনাথপুরে 72 হাজার কোটির বিনিয়োগ এসেছে। তাতে দুই থেকে আড়াই লক্ষ মানুষের কাজ হয়েছে। এছাড়াও সিলিকন ভ্যালিতে 11 হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হয়েছে। বছরে দশ লক্ষ স্বয়ম্ভর গোষ্ঠী তৈরি করবে রাজ্য সরকার। যা কর্মসংস্থান তৈরিতে সহায়ক হবে।”

অর্থাৎ এই সমস্ত বিষয়ের ওপর জোর দিয়েই যে রাজ্য সরকারের বাজেটে আগামী পাঁচ বছরে দেড় কোটি কর্মসংস্থান হবে বলে উল্লেখ করেছেন, তা কার্যত বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিক ভাবেই বাজেটের সরকারের এই ঘোষণা কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীদের।  বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে বেকার যুবক-যুবতীদের সিংহভাগ সমর্থন গিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির দিকে।

যার প্রধান কারণ, রাজ্যে ঠিকমতো কর্মসংস্থানের পরিবেশ না হওয়া। 10 বছর ধরে সরকার পরিচালনা করা সত্ত্বেও সেভাবে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করতে পারেনি তৃণমূল সরকার। যার জেরে প্রচারে সেই কথা তুলে ধরার কারণে বেকার যুবক-যুবতীদের সমর্থন অনেকটাই নিজেদের দিকে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছিল গেরুয়া শিবির। তবে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসতেই এবার পরবর্তী দিনগুলোর কথা মাথায় রেখে যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তাদের সাথেই থাকে, তার জন্যই আগামী পাঁচ বছরে দেড় কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার কথা রাজ্য বাজেটে তুলে ধরল তৃণমূল সরকার বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!