চাপের খেলা খেলতে গিয়ে কর্নাটকে আবার মুখ পুড়ল বিজেপির,তবু হাল ছাড়তে নারাজ জাতীয় May 26, 2018 বিজেপির হটকারী সিদ্ধান্ত ফের একবার প্রমাণ করলো তাঁদের কৌশলগত ব্যর্থতাকে। বহু নাটকীয় মুহূর্ত পেরিয়ে কর্নাটকের সরকার গঠনের দায়িত্ব পেলো কংগ্রসে-জেডিএস জোট। আস্থা ভোটেও সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিয়ে বিজেপিকে পদানত করে গঠিত হল কুমারস্বামীর সরকার। আগেও একবার বিজেপি তরফের বিএস ইয়েদুরাপ্পা কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়ে আস্থা ভোট এড়াতে দায়িত্ব থেকেই সরে দাঁড়ালেন সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারবেন না এই আশঙ্কায়। সেই ঘটনার ফের পুনরাবৃত্তি হল, যা কালিমালিপ্ত করল বিজেপির গরিমাকে। রাজনৈতিক সূত্রের খবর থেকে জানা গেছে, কর্নাটকের নতুন স্পিকারের পদের জন্য বিজেপি পাঁচ বারের বিধায়ক এস সুরেশ কুমারের এর প্রস্তাব রেখে কংগ্রসকে চমকে দেবে। এমনটাই গতরাত অব্দি সিদ্ধান্ত ছিল কর্নাটকের গেরুয়াপার্টির। তবে এদিন বিধানসভায় সবাই চমকে গেলো সুরেশ কুমারের বক্তব্যে। তিনি জানান যে, দলের শীর্ষ নেতাদের নির্দেশ অনুযায়ী তিনি স্পিকার নির্বাচনী লড়াই থেকে পিছু হটছেন। তাঁর এই বক্তব্যের জেরে জল্পনা তুঙ্গে উঠল রাজনৈতিক মহলে। রাতারাতি এভাবে বিজেপির সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কারণ খুঁজতে জল ঘোলা হল ভালোই। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, সুরেশ বাবুকে জেতানোর মতো যথেষ্ট আসনসংখ্যা ছিল না বিজেপির কাছে। তবে অনেকে আবার এটাকে বিজেপি কৌশলগত ব্যর্থতা বলেও মনে করেছেন। তবে বিজেপির অন্দরের খবর থেকে জানা গেছে, রাজ্যস্তরের নেতাদের অতিরিক্ত উৎসাহেই বিজেপি শিবির সবুজ সংকেত দেখেছিলেন। তবে অন্তিমলগ্নে তাঁরা বুঝতে পারেন লড়াই এ দাঁড়িয়ে হেরে যাওয়ার থেকে লড়াই থেকে সরে যাওয়াই ভালো। তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো অমিত শাহের দল। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এরকরম পরিস্থিতিতে জয়ের খেতাব ফের ছিনিয়ে নিল কংগ্রেস- জেডিএস জোট। স্পিকারের পদটি রয়ে গেলো কংগ্রেসের তরফের রমেশ কুমারের কাছেই। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ না করেই এইক্ষেত্রেও জিতে গেল জোট সরকার। অন্যদিকে কুমারস্বামীর সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠার প্রমাণে অনেকটাই এগিয়ে আছে বিজেপির থেকে। তাই বিজেপি আপাতত ঘোড়া কেনাবেচা বদনামের বোঝা আর ভারী করতে চাইছে না। তবে কুমারস্বামীর সরকারকে সাড়াশী চাপে রাখতে পরিকল্পনা করতে থামছে না বিজেপি। ইয়েদুরাপ্পা এদিন কর্নাটকের জোট সরকারকে শাসানি দিয়ে জানান,”এই কুমারস্বামীই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় এলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি থেকে নেওয়া ৫৩ হাজার কোটি টাকা কৃষিঋণ মকুব করে দেবেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিনি কথা না রাখলে রাজ্য জুড়ে আন্দোলন শুরু হবে।” কুমারস্বামী জানান যে ১ দিনের ভিতর প্রতিশ্রুতি পূরণ হবে কিনা তিনি বলতে পারছেন না,তবে কৃষিঋণ নিয়ে দেওয়া কথা তিনি রাখবেন অবশ্যই। জানা যাচ্ছে যে, কর্নাটকের বিধানসভার মোট আসন ২২৪ টি। এর ভিতর কুমারস্বামীর তরফে রয়েছে ১১৬ টি এবং কংগ্রেসের তরফে রয়েছে ৭৮ আর জেডিএসের ৩৬ টি আসন। এছাড়াও বিএসপি পক্ষে আছে ১ জন এবএবং কেপিজেপির আছে একমাত্র নির্দল বিধায়ক। এখন প্রশ্ন উঠেছে বিরোধীমহল থেকে যে এই চাপের মুখে কতদিন লড়াই করবে কুমারস্বামীর সরকার? জবাবে কুনারস্বামী জানান যে আগামী পাঁচ বছর এই সরকার কাজ করবে মানুষের জন্য। আপনার মতামত জানান -