এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > জোটের মধ্যেও অনেক কাঁটা অনেক অঙ্ক, শুরুর আগেই বেশ নড়বড়ে কংগ্রেস-জেডিএস জোট

জোটের মধ্যেও অনেক কাঁটা অনেক অঙ্ক, শুরুর আগেই বেশ নড়বড়ে কংগ্রেস-জেডিএস জোট


কর্নাটকে বিজেপিকে পরাস্ত করে বড় জয় পেয়েছে কংগ্রেস জেডিএস জোট। আগামী বুধবার সব ঠিক থাকলে শপথ নেবেন জেডিএস এর কুমারস্বামী। কিন্তু এখনো কাঁটার মতো আটকে রয়েছে মন্ত্রীসভা গঠন। কেননা মুখ্যমন্ত্রী পদ কুমার স্বামীকে দেওয়া হলেও বাকি মন্ত্রীপদ নিয়ে চূড়ান্ত কিছু হয় নি তবে জানা যাচ্ছে আজ সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর সাথে দেখা করে সেই বিষয়টিকে চূড়ান্ত করতে চলেছেন কুমারস্বামী। তবে রাজনৈতিকমহলের মতে জোটের সরকার গঠন হতে এখনো অনেক ধাপ বাকি। কেননা তাদের যুক্তি :-

১. জানা যাচ্ছে যে জেডিএস এর দাবি অনুযায়ী ৩৩ জনের মন্ত্রীসভায় অন্তত ১৩ টি পদ পেতে চাইছেন জেডিএস। আর অন্যদিকে কংগ্রেসকে ছাড়ছেন ২০টি পদ। কিন্তু ৭৮ জন বিধায়কের মধ্যে ২০ জন মন্ত্রী হলে বাকিরা তা মেনে নেবেন কি প্রশ্ন থাকছে তাতেও। কেননা মাত্র ৩৭ টি আসন পেয়ে তারা দাবি করছেন ১৩ টি মন্ত্রী পদ যে শতাংশের হিসাবে দাঁড়ায় কংগ্রেসের ২৬ শতাংশ আর জেডিএস -এর ৩৫ শতাংশ।

২. তাছাড়া গুরুত্ত্বপূর্ণ যে মন্ত্রক আছে শোনা যাচ্ছে তাও নাকি হাতে রাখতে চাইছে জেডিএস।

৩. এদিকে এখনো পর্যন্ত বুধবার এইচ ডি কুমারস্বামী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন এটা ছাড়া আর কোনো বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি যার থেকে জোটের সরকারের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা যায়। এদিকে কর্ণাটক কংগ্রেসের জেনারেল সেক্রেটারি কে সি বেনুগোপাল ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন যে, ‘বুধবার শুধু কুমারস্বামী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন, আর বৃহস্পতিবার বিধানসভায় দেবেন শক্তির পরীক্ষা। ওই দিনই স্পিকারও নির্বাচন করা হবে। ‘ আর সেই মতো বিধায়কদের বেঙ্গালুরু বিমান বন্দরের কাছে হিলটন হোটেলে নজরে রেখেছে কংগ্রেস-জেডিএস যাতে বিজেপি হাত বাড়াতে না পারে বা জোটের সরকার গঠনে কোনোভাবে ব্যাঘাত ঘটাতে না পারে।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

৪. জানা গেছে যে দলিত বিধায়ক জি পরমেশ্বর-কে কংগ্রেস উপমুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য ঠিক করেছিল কিন্তু লিঙ্গায়েত সম্প্রদায় তাঁকে মেনে নিতে নারাজ। তাঁদের দাবি উপমুখ্যমন্ত্রী তাঁদের সম্প্রদায়ের কাউকে করা হোক। ফলে যদি তাই হয় সেখানেও একটা মন কষাকষি থাকছে। কেননা এই সম্প্রদায়কেই ভোটের আগে সিদ্দারামাইয়া সরকার সংখ্যালঘু তকমা দিতে চেয়েছিল।ফলে এই সম্প্রদায়ের মানুষ খুব একটা খুশি নয় কংগ্রেসকে নিয়ে অন্যদিকে তাদেরকে খুশি করতে হলে এখানেও ত্যাগস্বীকার করতে হবে কংগ্রেসকে।

৫.অন্যদিকে শোনা যাচ্ছে যে ৩০ মাস করে করে মুখ্যমন্ত্রীত্ব করবে দুদলই, এমনটাই নাকি রফা হয়েছে। কিন্তু কংগ্রেস বা জেডিএস দুই দল একে শুধু রটনা বলে উড়িয়ে দিলেও কুমারস্বামী এদিন বলেছেন যে মুখ্যমন্ত্রী তিনি থাকছেন বরাবর। ফলে কিছু তো আশঙ্কা আছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিকমহল।

তবে যাই হোক জোট সরকারকে সফল করতে নাকি দুই দলই নিজেদের জয়ী বিধায়কদের বুঝিয়েছেন দলের ইস্তিত্ব রক্ষায় ক্ষমতায় থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ এবং দুদলই অনেকদূর পর্যন্ত স্বার্থ ত্যাগ করতে ইচ্ছুক। কিন্তু যাই হোক আজকের বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে গোটা ভারত।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!