এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় >  কর্নাটকে কি জোটের সমাপ্তি হতে চলেছে খুব শীঘ্রই, কুমারস্বামীর মন্তব্য ঘিরে জোর জল্পনা

 কর্নাটকে কি জোটের সমাপ্তি হতে চলেছে খুব শীঘ্রই, কুমারস্বামীর মন্তব্য ঘিরে জোর জল্পনা


কর্নাটকের জোট সরকারের ভবিষ্যৎ ফের প্রশ্নচিহ্নের মুখে। লোকসভার ভোটের মুখেই দক্ষিণের এই রাজ্যটিতে জোটসরকার নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছে বহুদিন ধরেই। চলতি মাসেই কর্ণাটক কংগ্রেসের পাঁচ বিধায়কের নিখোঁজ হওয়াকে কেন্দ্র করে জোটসরকার ভাঙন নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। ঘটনার সঙ্গেই বিজেপির অপারেশন লোটাসের অভিযোগ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল।

তবে সমস্ত জল্পনায় গোড়ায় জল দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী ঘোষণা করেছিলেন,কর্নাটকের জোটসরকার পড়ে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই এখন। সেই কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর মুখেই সম্পূর্ণ ভিন্ন মেরুর কথা শুনে চোখে কপালে উঠল ওয়াকিবহাল মহলের। কর্নাটক কংগ্রেসের সঙ্গ ছাড়ার ইঙ্গিত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। কংগ্রেস তার মন্ত্রী এবং বিধায়কদের নিয়ন্ত্রণ করতে অক্ষম,এই অভিযোগ তুলেই জোটসরকারের থেকে পদত্যাগ করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন কুমারস্বামী বলেন,”কংগ্রেসের বিধায়করা বলছেন সিদ্ধারামাইয়া তাঁদের নেতা। এসব আমার দেখার কথা নয়। তারা যদি এমনটাই করতে থাকেন তাহলে আমি পদত্যাগ করতে তৈরি। কংগ্রেস সীমা অতিক্রম করছে।” মুখ্যমন্ত্রীর এই হুঁসিয়ারীর পর রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে কর্ণাটক কংগ্রেস শিবিরে।

গত জুনে কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ্যে আসলে দেখা যায়,২২৪ টি আসনের মধ্যে বিজেপি হাসিল করেছে ১০৪ টি। আর কংগ্রেস এবং জনতা দল সেকুলার যথাক্রমে পেয়েছে ৮০ টি এবং ৪০ টি আসন। অর্থাৎ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে বিজেপি মাত্র ৯ টি আসন দূরে থাকে।

এরপর রাজ্যপালের দপ্তর থেকে বিজেপির ডাক পড়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসাবে সরকার গঠনের জন্যে। কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমান সংখ্যা জোগাড় করতে না পারায় আস্থাভোটের আগেই পদত্যাগ করেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা। দক্ষিণের এই রাজ্যে পতন হয় বিজেপি শাসনের।

এরপর কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন জনতা দল সেকুলার নেতা এইচডি কুমারস্বামী। কিন্তু কর্ণাটকের দায়িত্বে আসার পর থেকেই কংগ্রেসের সঙ্গে কুমারস্বামীর সম্পর্ক সন্দেহ জাগায় রাজনৈতিকমহলের মনে। বিভিন্ন সময়ের কংগ্রেসের সঙ্গে কুমারস্বামীর মনোমালিন্য প্রকাশ্যে আসে। কংগ্রেসের দাদাগিরিতে বীতশ্রদ্ধ মুখ্যমন্ত্রী,এমনটা বহুবার বয়ানে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

এবার ফের কংগ্রেসের জন্যে ধৈর্য হারিয়ে ফেললেন তিনি। এই প্রেক্ষিতে লোকসভা ভোটের মুখে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কুমারস্বামীর ক্ষোভ প্রকাশ জোটসরকারকে অস্বস্তিতে ফেলল। কর্ণাটকের জোটসরকার কতোদিন স্থায়ী হবে? এই প্রশ্নকে নিয়ে এই মুহূর্তে ফের সন্দেহ রয়েছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মনে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!