বিজেপির কর্ণাটক দখল কি শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা? নতুন রাজনৈতিক গতিবিধিতে জল্পনা চরমে জাতীয় January 15, 2019 কংগ্রেসের ঘরে বিজেপির থাবা! ১৯’এর লোকসভা ভোট ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে। আর এই মুহূর্তে কর্ণাটক কংগ্রেসের উদ্বেগকে বাড়াতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে গেরুয়াশিবির। কর্ণাটক কংগ্রেসের ঘর ভাঙার ইঙ্গিত পেতেই চিন্তায় মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে এইচ ডি কুমারস্বামীর নেতৃত্বাধীন সরকারের। গতকালই কর্নাটক কংগ্রেসের এক প্রভাবশালী নেতা ডি কে শিবকুমার স্বীকার করেছিলেন তাঁর দলের তিন বিধায়ককে মুম্বাইয়ে আটক করে রেখেছে বিজেপি। তাঁদের সংগঠনে ফাটল ধরিয়ে কর্নাটকের কংগ্রেস-জেডিএস সরকারের পতন ঘটাতে চাইছে বিজেপি। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী,প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং কর্নাটক কংগ্রেসের সভাপতি দীনেশ গুণ্ডু রাও-ও জানেন বলে দাবী করেন শিবকুমার। এরপর কংগ্রেসের চিন্তা দ্বিগুণ বাড়িয়ে আরো অপ্রত্যাশিত খবর সামনে আসে। কানাঘুষো শোনা গিয়েছে,তিন জন নয়,কমপক্ষে কংগ্রেসের পাঁচজন বিধায়ক গা ঢাকা দিয়েছেন। বেশ কিছুদিন ধরে দলের সঙ্গে কোনো যোগাযোগই রাখেননি তাঁরা। ঘোর সংকটের ইঙ্গিত পেয়ে ঘর গোছাতে ইতিমধ্যেই দলের জরুরি বৈঠকের ডাক দিয়েছে কর্ণাটক কংগ্রেস। তবে এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে কিছু স্বীকার করতে চায়নি কংগ্রেস নেতারা। লোকসভা ভোটের আগে তাঁরা এমন কোনো মন্তব্য করতে চাইছেন না যাতে বিরোধীরা অক্সিজেন পায়,এমনটাই অভিমত বিশ্লেষকদের। প্রকাশ্যে এ প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতারা দাবী করেছেন,লোকসভা ভোটের আগে কর্ণাটকের সরকার পতনের কোনো সম্ভাবনাই নেই। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - দলের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখলেও ওই সংশ্লিষ্ট বিধায়কদের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। খোদ কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীও তাঁর সরকার পতনের সমস্ত সম্ভাবনাকে অস্বীকার করলেন। তিনি বললেন,ওই পাঁচজন বিধায়ক তাকে জানিয়েই মুম্বাই গিয়েছেন। দলের সঙ্গে সম্পূর্ণ যোগাযোগ রেখেছেন তাঁরা। তবে পরিস্থিতি যদি বিরূপ হয় তাহলে বিপল্প ব্যবস্থা নিতে পিছপা হবেনা মুখ্যমন্ত্রী,এমনটাও হুঁসিয়ারী দিয়ে রেখেছেন। কর্ণাটক সরকারের তরফ থেকে ঠিক করা হয়েছে,যদি কোনো বিধায়ক এই মুহূর্তে দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে বিরোধীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে তাহলে দলবিরোধী আইনে তাঁর বিধায়ক পদ বাতিল করে দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে ম্যাজিক সংখ্যা নেমে আসলেও সরকার পতনের কোনো সম্ভাবনা থাকবে বলেই দাবী কর্নাটক কংগ্রেসের। অভিজ্ঞমহলের ধারণা,লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি চাইছে বিরোধীশিবিরের সংগঠনে ফাটল ধরিয়ে তাঁদের বড়সড় ধাক্কা দিতে। যেভাবে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিজেপির জনপ্রিয়তা কমছে তাতে ১৯’এর লোকসভা ভোটে মোদী-ম্যাজিক আদৌ কাজ করবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে গেরুয়াশিবির কর্তাদের মনে। তার উপর সদ্য সমাপ্ত পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে বিজেপির নজিরবিহীন খারাপ ফলাফলে মনোবল-ই ভেঙে গিয়েছে মোদী-শাহের। তাই এই মুহূর্তে বিজেপির নিশানায় রয়েছে বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলি। তাছাড় বিজেপি বিরোধী জোটও চাপে ফেলছে পদ্মশিবিরকে। তাই দাক্ষিণাত্যের এই জোট সরকারের মূলে আঘাত করে কোনোমতে যদি এই সরকারের পতন ঘটানো যায় তাহলে লোকসভা ভোটের আগে গোটা দেশের উদ্দেশ্যে এই বার্তা দেওয়া সহজ হবে যে,জোট সরকার কখনো মজবুত হয় না। এতে বিজেপির ভোটব্যাঙ্কে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। অন্যদিকে,কোনোভাবেই লোকসভা ভোটের আগে জোট সরকার পতন হতে দেবে না কর্ণাটকের কংগ্রেস-জেডিএস সরকার। কিন্তু একটা সমস্যা রয়েই গিয়েছে। সেটা হল কংগ্রেসের বেশ কিছু বর্ষীয়ান নেতা মন্ত্রীত্ব না পাওয়ায় বেজায় ক্ষেপে রয়েছে। কংগ্রেসের ঘর ভাঙতে এঁদেরকে বিজেপি টার্গেট করছে কিনা তা নিয়ে তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে কর্ণাটক কংগ্রেসের দলীয় অন্দরে। আপনার মতামত জানান -