এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কর্ণাটকে কি হবে শেষ ফলাফল? কি বলছে সাট্টা বাজারের গতি প্রকৃতি? ফেভারিট কে?

কর্ণাটকে কি হবে শেষ ফলাফল? কি বলছে সাট্টা বাজারের গতি প্রকৃতি? ফেভারিট কে?


দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন এবং উপনির্বাচন চলছে। তারই মাঝে মহারাষ্ট্র, ঝাড়খন্ড, পশ্চিমবঙ্গ, হরিয়ানার পাশাপাশি উপনির্বাচনের আবহে গত 5 ডিসেম্বর কর্নাটকের 15 টি আসনে উপনির্বাচন হয়ে গেল। এবার ভোটের রেজাল্ট বেরোনোর পালা। উপ নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু হবে সোমবার 9 ডিসেম্বর। আর তার আগেই কর্নাটকের সর্বত্র একটাই আলোচনা, কে জিতবে এবারের বিধানসভা উপনির্বাচন? সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে জেডিএস এর পক্ষেই বেশিরভাগ মানুষ বাজি ধরছেন। তবে কর্ণাটকের শেষ ফলাফল কি হবে তা জানতে গেলে আগামী সোমবার অর্থাৎ 9 ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

কর্ণাটকের ফলাফল বেরোনোর কথা আগামী 9 ডিসেম্বর। কিন্তু তার আগেই কর্নাটকের সাট্টা বাজারে বিভিন্ন কেন্দ্রের নাম নিয়ে চলছে জোর লড়াই। বেশ কয়েকটি নাম এই লড়াইয়ের কেন্দ্রে রয়েছে। যার মধ্যে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে হুনসুর, কেআর পেট, হসকোট, চিক্কাবাল্লাপুর এবং গোকক আসনটি। তবে বেশিরভাগ কেন্দ্রেই জেডিএস এর পক্ষেই লোক বাড়ছে। তবে কোনো কোনো জায়গায় কংগ্রেসও পিছিয়ে নেই। কেআর পেট এবং হুনসুর আসনে প্রচারের সময় থেকেই জেডিএস আলোচনার মুখ্য ভাগ অধিকার করেছিল। তাই কর্ণাটকের বেশিরভাগ মানুষ জেডিএসকেই সমর্থন করছে বলে খবর। অন্য আসনগুলিতে অবশ্য রাজ্যের সবকটি রাজনৈতিক দলই জোরদার নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছিল।

যদিও ভোটের দিন দেখা যায়, হুনসুর আসনে কংগ্রেস বহুলাংশে এগিয়ে রয়েছে। এই এলাকাগুলির ব্যবসায়ীরা রাজনৈতিক নির্বাচনে এলাকাভিত্তিক সাট্টায় টাকা খাটাচ্ছেন। ব্যবসায়ীরা কেউ খাটাচ্ছেন দু লক্ষ টাকা কেউবা 5 লক্ষ টাকা। যদিও অনেকেই বলছেন কেআর পেট এবং হুনসুর আসনে বিজেপি এবং জেডিএসেরও যথেষ্ট মাত্রায় এগিয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অর্থাৎ বলা যায়, প্রায় নেক টু নেক লড়াই চলেছে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কর্ণাটক রাজ্যে অনেকেই জেডিএসকে ডার্ক হর্স বলে আখ্যা দিয়েছেন। জেডিএস এর পক্ষে ভক্কালিগা সম্প্রদায় দাঁড়িয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও দাবি করা হচ্ছে, জেডিএস সংখ্যালঘুদের মধ্যে বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। তাই সাট্টার নিয়ম অনুযায়ী, হোসকোট এবং চিক্কাবাল্লাপুর আসনে সাট্টার রেট গেছে বেড়ে। প্রায় 10 থেকে 15 লক্ষ টাকার বাজি ধরা হচ্ছে। এদিকে, চিক্কাবাল্লাপুর আসনে লড়াই দাঁড়িয়ে গিয়েছে মূলত বিজেপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে।

কর্ণাটক উপনির্বাচনে সাট্টায় টাকার বাজি ধরা ছাড়াও বাজি হিসেবে রয়েছে গোয়া ট্যুর। এছাড়াও বাজি হিসেবে ধরা হয়েছে ভেড়া, ছাগল। গোকক আসনে সাট্টার বাজারে ধরা হয়েছে বাজি হিসেবে বাইক। এ ছাড়াও টাকার মূল্য তো আছেই। কেউ বাজি ধরেছেন 10000, তো কেউ তিন লক্ষ টাকা। তবে রাজনৈতিক মানচিতত্রে এভাবে ভোট গণনার সময়কালকে মাথায় রেখে রাজনৈতিক দলগুলির ওপর টাকা খাটানোর ঘটনা বা বাজি রাখার ঘটনা সচরাচর দেখা যায় না। এক্ষেত্রে এই ঘটনা সত্যিই একটু আলাদা।

কর্ণাটক বিধানসভা উপনির্বাচনেও রাজ্য বিজেপি দলে দেখা গিয়েছিল বিতর্ক। তারিমধ্যে হয়ে গেল রাজ্যের উপ নির্বাচন। এই ভোটে বিজেপিসহ অন্যান্ন রাজনৈতিক দলগুলি বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল। আপাতত দেখার, কর্নাটকের রাজনৈতিক মঞ্চেও কি মহারাষ্ট্রের মতন বিজেপি কোণঠাসা অবস্থায় থাকবে নাকি ফল অন্যরকম হবে। আপাতত এ সম্পর্কে বিশদ বিবরণ জানতে গেলে অপেক্ষা করতে হবে আর দুদিন। মাঝের দুদিন কেটে সোমবার 9 ডিসেম্বর কর্নাটকের রাজনৈতিক ছবি দেশের সামনে পরিষ্কার হয়ে যাবে। আপাতত সেদিকেই নজর রাখছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ দল।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!