এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কাশ্মীরে গিয়ে প্রাক্তন জোটসঙ্গী ও বিরোধীদের নিয়ে কী কী ‘বিস্ফোরণ’ ঘটালেন অমিত শাহ?

কাশ্মীরে গিয়ে প্রাক্তন জোটসঙ্গী ও বিরোধীদের নিয়ে কী কী ‘বিস্ফোরণ’ ঘটালেন অমিত শাহ?


জম্মু-কাশ্মীরে প্রধান শরিক দল পিডিপি-র সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার পর সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ এই প্রথম জম্মু কাশ্মীরের মাটি পা রাখলেন। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে আয়োজিত ‘বলিদানদিবস’ এর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনি জম্মুতে গেলেও আসলে লোকসভা ভোটের আগে উপত্যকায় বিজেপি শিবিরের হালচাল জানতেই গিয়েছিলেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিকমহল।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

শ্যামাপ্রসাদকে শ্রদ্ধার্ঘ জানিয়ে তিনি জনসভাও করেছিলেন এদিন। এছাড়া বিজেপি কর্মী সমর্থকদের নিয়ে মিছিলেও মাতালেন গোট এলাকা। তবে জনসভায় ভাষণ দিতে উঠে প্রথম থেকেই তীব্র বাক্যবাণে বিঁধলেন প্রাক্তন জোটসঙ্গী পিডপিকে। অভিযোগের তীর ছুঁড়ে জানান যে, মোদীজি ভেবেছিলেন যে উপত্যকার ভারসাম্যে উন্নয়ন হবে। সে উন্নয়নের ভাগীদার যতটা কাশ্মীর হবে ততোটাই জম্মু-তে। কিন্তু বাস্তবে হল তার বিপরীত। উন্নয়নের জন্য মোদী সরকারের তরফ থেকে দেওয়া কোটি কোটি টাকা নয় ছয় করেছে পিডিপির মুফতি সরকার। তাছাড়া জম্মুকে নিয়ে একদমই মাথা ঘামায়নি তাঁরা। এছাড়াও উপত্যকার জঙ্গি-দমনেও তাদের বিন্দুমাত্রর উদ্যোগ দেখা যায়নি।

এদিন জনসভার পরে গেরুয়াশিশিবিরের সহযোদ্ধাদের নিয়ে অমিত শাহ বৈঠকেও বসেন। পিডিপির সঙ্গে জোট ভেঙে যাওয়ার পর পদ্মশিবিরের অভিমুখ এবং আসন্ন লোকসভা ভোটে বিজেপির রণনীতি নিয়েও আলোচনা করেন শাহ। তবে মোদীজি এবং অমিত শাহের যৌথ পরিকল্পনাতেই যে বিজেপি-পিডিপির জোটসরকার ভেঙেছে তা একরকম বুঝিয়েই দেন এদিন বিজেপি সুপ্রিমো এবং আগের থেকে অঙ্ক মিলিয়েই কাশ্মীরের বদলে জম্মুকেই বেছে নিয়েছে বিজেপি। কারণ বিজেপির শক্তিঘাঁটি হিসাবে জম্মুর গ্রহনযোগ্যতাই সবথেকে বেশি।

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

উল্লেখ্য, বর্তমান সময়ে রাজ্যপাল শাসিত কাশ্মীরে শান্তি স্থাপনের বার্তা দিলেন খোদ রাজ্যপাল এন এন ভোরা। সম্প্রতি বিজেপি-পিডিপির ভাঙনের পর বিধানসভায় বিজেপি দাঁড়িয়ে আছে ২৫ জন বিধায়ক নিয়ে এবং পিডিপির ঝুলিতে আছে ২৮ জন বিধায়ক। অন্যদিকে, এনসি এবং কংগ্রেসের আওতায় রয়েছে যথাক্রমে ১৫ এবং ১২ জন বিধায়ক। তাই বর্তমান শত্রু শিবির পিডিপিকে হটাতে কেন্দ্রীয় পদ্ম নেতৃত্বরা লোকসভা ভোটের আগেই করে ফেলতে চাইছে মাস্টারপ্ল্যান। আর এর রাজনৈতিক সূচনা জাতীয় বিজেপি সভাপতির জম্মু কাশ্মীর সফরে জনসভা আর মহামিছিলের মাধ্যমেই হয়ে গেছে বলে আন্দাজ করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞের একাংশরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!