এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কাশ্মীরে গণভোট থেকে রজনীকান্তকে ‘সুপরামর্শ’ – লোকসভার আগে তুফানী মেজাজে কমল হাসান

কাশ্মীরে গণভোট থেকে রজনীকান্তকে ‘সুপরামর্শ’ – লোকসভার আগে তুফানী মেজাজে কমল হাসান


গত 14 ই ফেব্রুয়ারি দেশের জম্মু-কাশ্মীরের উপত্যকা সীমান্তে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন দেশের প্রায় 42 জন জওয়ান। আর যে ঘটনায় সেই জওয়ানদের আত্মার শান্তি কামনায় ও পাকিস্তানের প্রতি বদলা নেওয়ার দাবিতে মোমবাতি মিছিল থেকে শুরু করে শোক মিছিলে হাঁটতে দেখা যাচ্ছে সমাজের সর্বস্তরের মানুষদের।

রাজনৈতিক নেতা- নেত্রী থেকে চলচ্চিত্রের অভিনেতা, অভিনেত্রীরা- প্রায় প্রত্যেকেই এই ব্যাপারে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নিজেদের মন্তব্যের সুরকে চওড়া করেছে। আর এবার অভিনেতা থেকে নেতা হয়ে ওঠা “মাক্কাম নিধি মইয়ম” দলের কমল হাসানও অবশেষে এই ব্যাপারে মুখ খুললেন।

সূত্রের খবর, এদিন কাশ্মীরের পুলওয়ামায় এই জঙ্গি হামলার ঘটনায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কমল হাসান একদিকে যেমন সেই কাশ্মীরে গণভোটের দাবি করলেন, ঠিক তেমনই কাশ্মীরকে আজাদ কাশ্মীর হিসেবেও আখ্যা দিলেন। কমল হাসান বলেন, “আমার সত্যিই খারাপ লাগে যখন মানুষ বলেন সেনা জওয়ানরা কাশ্মীরে শুধুই মরতে যান। আমি যখন মইয়ম নামের এক ম্যাগাজিন চালাতাম তখন আমি সেখানে কাশ্মীরকে নিয়ে লিখতাম। কিন্তু আজ আমি সত্যিই শোকস্তব্ধ। কারণ আমি জানতাম যে এরকম একটা দিন আসবে। তাই বলছি গণভোট করুন। সাধারণ মানুষকে কথা বলতে দিন।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে কিসের ভয়ে এই গনভোট করা হচ্ছে না এদিন তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কমল হাসান। অন্যদিকে আজাদ কাশ্মীরের কথা তুলে ধরে কমল হাসানের মন্তব্য, “যদি আমাদের প্রমাণ করতে হয় যে ভারত অনেক বেশি ভালো দেশ, তাহলে এইভাবে ব্যবহার করলে চলবে না। এখন থেকেই নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি শুরু করতে হবে।”

এদিকে সম্প্রতি দক্ষিণী সুপারস্টার হিসেবে পরিচিত রজনীকান্ত রাজনীতিতে নামলেও তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, আগামী 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দিতা করবেন না। এমনকি তার দলের লোগো, ফেস্টুন নিয়ে যেন কেউ তা ব্যবহার না করে তার জন্যও সকলের উদ্দেশ্যে আবেদন করেছিলেন তিনি।

এদিন সেই প্রসঙ্গেও রজনীকান্তকেও কিছুটা খোঁচা দিতে দেখা যায় কমল হাসানকে। এদিন এই প্রসঙ্গে কমল হাসান বলেন, “আমি যখন রাজনীতিতে প্রবেশ করেছি তখন আমি কিছুতেই নির্বাচনকে এড়িয়ে যেতে পারি না। রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাকে নির্বাচনের মুখোমুখি হতেই হবে। আমরা অনেক সময় যদি বলি যে পরের নির্বাচনে দেখব, তাহলে তা মোটেও ঠিক হবে না। একবার কলাপাতা পেতে ফেললে খাবারটাও খেয়ে যেতে হয়।”

সব মিলিয়ে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে না লড়ার জন্য রজনীকান্তকে কিছুটা খোঁচা, অন্যদিকে কাশ্মীরের জঙ্গি হামলার ঘটনা নিয়ে মুখ খুলে জাতীয় রাজনীতিকে কিছুটা সরগরম করে তুললেন কমল হাসান।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!