এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কাশ্মীরে সেনা ছাউনি ওড়াতে চাওয়া জঙ্গিকে আজ বনগাঁ আদালতে পেশ

কাশ্মীরে সেনা ছাউনি ওড়াতে চাওয়া জঙ্গিকে আজ বনগাঁ আদালতে পেশ


জম্মু কাশ্মীরের সেনা ছাউনিতে হামলা এবং ভারতে জঙ্গিঘাঁটি তৈরি করাই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য। আর এই গুরুতর অপরাধের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছিল লস্কর-ই-তোইবার জঙ্গি নেতা শেখ আবদুল নইম ওরফে সমীরকে। কিন্তু গ্রেপ্তার হওয়ার পর কার্যত ফিল্মি কায়দায় ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যায় ওই মূল অভিযুক্ত। কিন্তু শেখ আবদুল পালালেও তাঁর সহযোগী দুই পাকিস্তান সহ মোট তিন লস্কর জঙ্গির এবার ফাঁসির সাজা দেওয়ার কথা ঘোষনা করল বনগাঁ আদালত।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 2007 সালে 4 এপ্রিল চার লস্কর জঙ্গি শেখ আবদুল নইম ওরফে সমীর, মহম্মদ ইউনুস, আবদুল্লা, মুজাফ্ফর আহমেদ রাঠোরকে বিএসএফ পেট্রোপল সীমান্তে আটক করে বনগাঁ পুলিশের হাতে তুলে দিলে এই গোটা ঘটনায় তদন্তের ভার গ্রহন করে সিআইডি। আর এই তদন্তভার নেওয়ার পরই অনেক অনুসন্ধানের পর গোয়েন্দারা জানতে পেরেছিলেন যে, এই চার জঙ্গি পাকিস্তানের লস্কর শীর্ষনেতাদের কাছ থেকে প্রশিক্ষন নিয়েছিলেন। যেখানে একে 47 চালানো থেকে শুরু করে গ্রেনেড ছোড়া, বোমা তৈরি সব কিছুই শেখানো হত।

জানা গেছে, এই চার জনের নেতা ছিলেন শেখ আবদুল নইম। কিন্তু কে এই নইম? কি তার পরিচয়? সূত্রের খবর, মহারাস্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের নইম প্রথমে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেছিল। ইংরেজী এবং ভারতীয় আইন সম্পর্কেও যথেষ্ট দক্ষতা ছিল তার। কিন্তু হঠাৎই 2006 সালে মুম্বই বিস্ফোরোনে নাম জড়ায় শেখ আবদুল নইমের। এরপর এই রাজ্যের বনগাঁ আদালতে সেই মামলা চলার সময় গত 2014 সালের ডিসেম্বর মাসে মুম্বই নিয়ে যাওয়ার সময়ই সে হঠাৎ ছত্তিশগঢ় এলাকাতে ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যায়। আর তারপর থেকে সেই নইমের কোনো খোঁজ মেলেনি।

এদিকে বনগাঁ আদালতে চলা মামলা অনুযায়ী 2017 সালের 21 জানুয়ারী ফাস্ট ট্র্যাক-1 কোর্টের বিচারক বিনয়কুমার পাঠক তিন জঙ্গি সদস্য আবদুল্লা, ইউনুস এবং মুজাফ্ফরের ফাঁসির সাজা ঘোষনা করে। আর এই ফাঁসির সাজা ঘোষনার পরই সেই বছরেরই 28 নভেম্বর এনআইয়ের তরফে লখনউ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মূল অভিযুক্ত নইমকে।

সূত্রের খবর, এদিন সেই নইমকে বনগাঁ মহকুমা আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক 1 কোর্টে হাজির করা হলে কার্যত অসহায় হয়ে বিচারককে নইম জানান, বাড়ির লোকের সাথে যোগাযোগের জন্য তাকে একটি ফোন করতে দেওয়া হোক। এদিকে তার পক্ষে কোনো আইনজীবি না থাকায় লিগাল এইড থেকে এক আইনজীবি দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। আগামীকাল ফের এই মামলায় হাজিরা রয়েছে। এখন সেখানে বিচারক কোনো নির্দেশ দেন কি না সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!