এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কাশ্মীরে বিঘ্নিত হতে পারে শান্তি! বিমানবন্দর থেকেই ফেরানো হল বিরোধী নেতাদের

কাশ্মীরে বিঘ্নিত হতে পারে শান্তি! বিমানবন্দর থেকেই ফেরানো হল বিরোধী নেতাদের


কিছুদিন আগেই জম্মু-কাশ্মীরের ক্ষেত্রে সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের কেন্দ্রীয় সরকার। সকলকে মাস্টারস্ট্রোক দিয়ে কাশ্মীরের 370 ধারার অবলুপ্তির ঘটিয়ে সংসদে আইন পাস করিয়েছে কেন্দ্রের বর্তমান শাসক দল। যার পরে বিভিন্ন মহলে বিজেপির তরফ থেকে এই সাহসী পদক্ষেপ নেওয়ায় সকলেই কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রশংসার বন্যায় বইয়ে দিলেও বিরোধীদের তরফে এই ব্যাপারে সরকারের কড়া সমালোচনা করা হয়েছিল।

সম্প্রতি কাশ্মীরের রাজ্যপাল কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীকে সেই কাশ্মীরে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন। আর এরপরই সেই চ্যালেঞ্জকে গ্রহণ করে কাশ্মীরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন রাহুল গান্ধী। তবে এমন একটা পরিস্থিতিতে দেশের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের এই হেভিওয়েট নেতা যদি কাশ্মীরে যান, তাহলে অনেক ঘটনাই ঘটতে পারে বলে বিভিন্ন মহলের তরফে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল।

এমনকি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী কাশ্মীরে যাওয়ার কর্মসূচি নিলে জম্মু-কাশ্মীরের তথ্য এবং জনসংযোগ মন্ত্রকের তরফে টুইট করে বলা হয়, “বর্ষীয়ান নেতাদের এমন কোনো প্রচেষ্টা করা উচিত নয়, যাতে কাশ্মীরের শান্তি বিঘ্নিত হয়। রাজনৈতিক নেতাদের কাছে অনুরোধ, আপনারা প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করুন। এই পরিস্থিতিতে কাশ্মীরে আসবেন না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই বার্তা দেওয়ার পরই অনেকে বলেছিল পরোক্ষে রাহুল গান্ধীকেই এই বার্তা দেওয়া হল। কেননা রাহুল গান্ধী কাশ্মীরের রাজ্যপালের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে কাশ্মীর যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে যাতে তিনি কাশ্মীরে না আসেন, তার জন্যই এই টুইট করা হয়েছিল। তবে এই সমস্ত কিছুকে অতিক্রম করে শেষ পর্যন্ত আজ রাহুল গান্ধী সহ অন্যটি 9 টি রাজনৈতিক দলের মোট 11 জন নেতা কাশ্মীরে ঢোকার চেষ্টা করেন। কিন্তু শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকেই তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। যা প্রত্যাশিত বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, এদিন বিরোধীদলের একটি প্রতিনিধিদল কাশ্মীরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। যেখানে ছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ, কংগ্রেস সাংসদ আনন্দ শর্মা, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআইএমের ডি রাজা, ডিএমকের ত্রিরুচি শিবা, আরজেডির মনোজ ঝাঁ, তৃণমূলের দীনেশ ত্রিবেদী, বর্ষিয়ান নেতা শরদ যাদব সহ এনসিপির এক প্রতিনিধি।

তবে বিরোধীদের তরফে এই বিরাট প্রতিনিধিদল কাশ্মীরে গেলেও তাদের যে কাশ্মীরে ঢুকতে দেওয়া হবে না, তা আগেভাগেই আঁচ করতে পেরেছিলেন অনেকে। কেননা কিছুদিন আগেই এই ব্যাপারে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের পক্ষ থেকে টুইট করে রাজনৈতিক নেতাদের শান্তি স্থাপনের জন্য বার্তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও যেভাবে রাহুল গান্ধীরা এদিন কাশ্মীরে গেলেন এবং যেভাবে তাদের বিমানবন্দর থেকেই ফিরিয়ে দেওয়া হল, তাতে সেই বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা যে অনেকটাই ব্যাকফুটে পড়ে গেল সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

এদিকে জম্মু কাশ্মীরে 370 ধারা বাতিল হওয়ার পরই এই প্রথম শনিবার কেন্দ্রের তরফে একটি প্রতিনিধিদল শ্রীনগরে মেহেবুবা মুফতি এবং ওমর আবদুল্লদের সঙ্গে দেখা করার ব্যাপারে যোগাযোগ শুরু করেছে বলে জানা গেছে। সব মিলিয়ে যত দিন যাচ্ছে, ততই যেন পরিস্থিতি পাল্টাচ্ছে কাশ্মীরের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!