এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > কাশ্মীরবাসীর জন্য বড়সড় সুখবর! প্রায় ৩০ বছর পর পুনর্নির্মিত হবে শ্রীনগরের রঘুনাথ মন্দির!

কাশ্মীরবাসীর জন্য বড়সড় সুখবর! প্রায় ৩০ বছর পর পুনর্নির্মিত হবে শ্রীনগরের রঘুনাথ মন্দির!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- প্রাচীনকাল থেকেই মানুষে মানুষে বিভেদ এবং সংগ্রাম প্রভাব ফেলেছে সেই সমস্ত মানুষদের ধর্মবিশ্বাস জাতীয়তাবাদের উপর। বিরোধী গোষ্ঠীর বিশ্বাসকে চুরমার করে দেবার জন্য ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়া বহুকাল আগে থেকেই পরিচিত। বর্তমানেও তার অন্যথা হতে দেখা যায় না। তবে সম্প্রতি দেশে রাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে যেভাবে হিন্দু মুসলমানের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছিল, তার মাঝখানেই আবার আরো একটি মন্দির নির্মাণের খবর সম্প্রতি খুশি করেছে কাশ্মীরবাসীকে। জানা গেছে, অযোধ্যায় রাম মন্দিরের নির্মান কার্জ শুরু হওয়ার পর এবার দীর্ঘ ৩১বছর পর শ্রীনগরের রঘুনাথ মন্দির সংস্কারের কাজে হাত লাগাতে চলেছে রাজ্য পর্যটন সরকার।

উত্তর ভারতের অন্যতম বড় মন্দির রঘুনাথ মন্দির ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর অঙ্গরাজ্যের জম্মুতে অবস্থিত। মন্দিরটি ১৮২২-১৮৬০ সাল নাগাদ জামওয়াল রাজপুত গোষ্ঠির মহারাজা গুলাব সিং এবং তার পুত্র মহারাজা রনবির সিং দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই মন্দিরে অনেক দেবতার মূর্তি থাকলেও এখনকার প্রধান দেবতা হচ্ছেন বিষ্ণুর অবতার রাম। মন্দিরের পেঁচানো এবং স্বর্ণখচিত স্তম্ভগুলোতে মুঘল স্থাপত্যের চিহ্ন দেখা যায়। তবে প্রধান মন্দিরের উপরের স্তম্ভটি শিখ স্থাপত্য অনুসারে তৈরি। এছাড়াও মন্দিরের দেয়ালের বিভিন্ন তাকে ৩০০টি বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি দেখা যায়। প্রধান মন্দিরের ১৫ টি প্যানেলে বিভিন্ন চিত্রকর্ম রয়েছে, যা রামায়ণ, মহাভারত এবং ভগবত গীতার কাহিনী অনুসারে অঙ্কিত হয়েছে বলে জানা যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

১৮২২ সালে ( মতান্তরে ১৮৩৫ সাল) জম্মুর মহারাজা গুলাব সিং মন্দির তৈরির কাজ শুরু করেন বলে জানা যায়। যা কিনা তিনি তাঁর গুরু বাবা প্রেম দাসকে উৎসর্গ করতে চেয়েছিলেন। এরপর ১৮৬০ সালে তাঁর ছেলে মহারাজা রনবীর সিং এই মন্দিরের নির্মাণ শেষ করেন বলে জানা যায়।তবে মন্দিরের প্রবেশপথে ব্রাহ্মী ভাষায় উল্লেখিত একটি লেখায় গুলাব সিং এবং তার ভাই ধ্যান সিংকে এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

২০০২ সালের ৩০শে মার্চ একটি সন্ত্রাসী দল গ্রেনেড এবং গুলি ছড়তে ছুড়তে মন্দিরে ঢুকে পড়ে। নিরাপত্তা বাহিনী তাদের ঘিরে ফেললেও চার নিরাপত্তা রক্ষী এবং দুই সেনা সদস্য সহ দশ জন মারা যায় সেই ঘটনায় এবং আরও অনেকে আহত হন। এরপর দ্বিতীয়বার হামলার ঘটনা ঘটে ২৪শে নভেম্বর ২০০২। সেই সময় হিন্দুরা মন্দিরে পুজা করছিলেন। সেই ঘটনায় তেরো পুজারী মারা যান এবং অনেকে আহত হন। জানা গিয়েছিল এই হামলার পিছনে দায়ী ছিল লস্কর-ই-তাইয়েবা।

তবে সম্প্রতি, এই মন্দিরের সংস্কারের বিষয়ে সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্তে বেশ খুশির হাওয়া বইছে গোটা কাশ্মীরে। তবে শুধুমাত্র সেখানকার বসবাসকারী কাশ্মীরি পণ্ডিতরাই নন, সেখান থেকে বিতাড়িত হিন্দুরাও আনন্দিত হয়েছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করার পর সেখানে ধীরে ধীরে শান্তির পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। তাই অনুমান করা যায় কিছুটা হলেও সেখানকার মানুষদের মধ্যে শান্তি ফিরে আসছে। তবে ভারত সরকার যে কাশ্মীরে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে, সেখানকার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য এবং হিন্দু কাশ্মীরি ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যেই অবতীর্ণ হয়েছেন, সেটাই মনে করছেন অনেকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!