এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কাশ্মীরে মৃত ৫ শ্রমিকের দায় মুখ্যমন্ত্রীর! বিস্ফোরক দাবি দিলীপ ঘোষের!

কাশ্মীরে মৃত ৫ শ্রমিকের দায় মুখ্যমন্ত্রীর! বিস্ফোরক দাবি দিলীপ ঘোষের!


নতুন করে ভূস্বর্গ আবার রক্তাক্ত হয়েছে। মঙ্গলবার 370 ধারা বিলোপ এর পর এই প্রথম ভূস্বর্গে রক্তাক্ত পরিবেশের সৃষ্টি হল। জঙ্গিদের গুলিতে কাশ্মীরের গ্রামে নিহত হয়েছে মুর্শিদাবাদের ব্রাহ্মণী গ্রামের 5 জন শ্রমিক। তাঁরা আপেল বাগানে কাজ করার উদ্দেশ্যে কাশ্মীরের কুলগ্রামে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে বাস করত। সেই বাড়ি থেকে মঙ্গলবার রাতে তাঁদেরকে টেনে বার করে পরপর দাঁড় করিয়ে জঙ্গিরা এলোপাথারি গুলি করে হত্যা করে। ঘটনার নৃশংসতায় বাংলার রাজনৈতিক দলগুলি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে জম্মু কাশ্মীরের কুলগ্রামে নিহত 5 বাঙালি শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের দাবি করেছেন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হাতে বর্তমানে জম্মু-কাশ্মীরের শাসনভার।তা সত্ত্বেও এরকম একটি জঙ্গি আক্রমণের ঘটনা কি করে ঘটল তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেছেন।

অন্যদিকে এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দোষী সাব্যস্ত করে কাঠগড়ায় তুলেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বাংলার মাটিতে শুরু হয়েছে তৃণমূল ভার্সেস বিজেপির লড়াই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুর্শিদাবাদের নিহত শ্রমিকের পরিবারকে 5 লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেন। এদিন তিনি টুইটারে লিখেছেন, “গতকাল একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে কাশ্মীরে। 5 নিরাপরাধ শ্রমিককে পূর্বপরিকল্পনা করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা ব্যথিত।”

তিনি কেন্দ্রকে আক্রমণ করে আরও লিখেছেন, “কাশ্মীরে এখন কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নেই। আইনশৃঙ্খলা ভারত সরকারের হাতে। আমরা পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চাই। আসল সত্যিটা বেরিয়ে আসুক, সেটাই চাই। সত্যিটা জানতে দক্ষিণবঙ্গের এডিজি সঞ্জয় সিংকে দায়িত্ব দিয়েছি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর এই আক্রমণের জবাব দিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “পেটের দায়ে সীমান্তে গিয়েছেন বাংলার পাঁচ শ্রমিক। বাংলার ছেলেরা হাতে প্রাণ নিয়ে কেন সীমান্তে যাচ্ছেন? তাঁদের এখানে কাজ দিন। ঘটনার দায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কেরল, গুজরাট, রাজস্থান ও কাশ্মীরে মারা যাচ্ছেন বাঙালি শ্রমিকরা। আমাদের ছেলেদের ঘরছাড়া করেছে রাজ্য সরকার।”

মুর্শিদাবাদের ব্রাহ্মণী গ্রামের 5 শ্রমিকের হত্যার ঘটনায় পাকিস্তানি জঙ্গি গোষ্ঠীর যোগ দেখছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “পাকিস্তান থেকে বারবার হামলা করা হচ্ছে। ভারত এটাই দাবি করে আসছে। সেটাই আবার প্রমাণ হল। দুর্ভাগ্যবশত মুর্শিদাবাদের ছেলেরা মারা গেছে।”কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে রাজ্য বিজেপি ও তৃণমূল এর মধ্যে তুমুল সংঘাত শুরু হয়েছে।

অন্যদিকে, জানা গেছে কাশ্মীরে মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি দলের 23 জন সদস্য কাশ্মীর পর্যবেক্ষণে এসেছিলেন। রাজনৈতিক মহলের দাবি, সেই আন্তর্জাতিক মহলকে একটা জবাব দেওয়ার জন্যই এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালালো জঙ্গিরা বলে মনে করা হচ্ছে। তবে লক্ষণীয়, 370 ধারা বাতিলের পর এই প্রথম এত বড় নৃশংসতার ঘটনা ঘটল কাশ্মীরে। এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে বিরোধীরা কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করতে শুরু করেছে। আপাতত কেন্দ্রীয় সরকার এই ঘটনায় পরবর্তী কি পদক্ষেপ নেয় সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!