এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কাশ্মীরের রাজনীতিতে আসছে নয়া মোড়? সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ হেভিওয়েট নেতাকে উপরাজ্যপাল দায়িত্ব ঘিরে জল্পনা

কাশ্মীরের রাজনীতিতে আসছে নয়া মোড়? সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ হেভিওয়েট নেতাকে উপরাজ্যপাল দায়িত্ব ঘিরে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাম মন্দিরের ভূমি পূজনের উৎসবের পটভূমিতে গোটা দেশের দৃষ্টি যখন অযোধ্যার দিকে নিবদ্ধ, ঠিক সেসময়ে জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যে ঘটে গেল একটা বিরাট পরিবর্তন। উপ রাজ্যপালের পদ থেকে অকস্মাৎ ইস্তফা দিলেন গিরিশচন্দ্র মুর্মু পরিবর্তে স্থলাভিষিক্ত হলেন, মনোজ সিংহ। গতকাল এমনিতেই জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের এক বছর পূর্ণ হয়েছিল। এবার সেই বর্ষপূর্তির দিনেই জম্মু-কাশ্মীর মন্ত্রিসভায় ঘটে গেল এই বিরাট পরিবর্তন।

গতকাল সন্ধ্যার সময় নিজের ইস্তফা পত্র রাষ্ট্রপতির নিকট প্রেরণ করলেন প্রাক্তন উপ রাজ্যপাল গিরিশচন্দ্র মূর্মু। আজ সকাল সাতটার সময়ে রাষ্ট্রপির কাছে গৃহীত হলো এই আবেদনপত্র টি। আর এরপই রাষ্ট্রপতি মনোজ সিংহকে জম্মু-কাশ্মীরের পরবর্তী উপ রাজ্যপাল পদে নিয়োগে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের কথাও জানিয়ে দিলেন।

প্রসঙ্গত, একজন বিশ্বস্ত বন্ধু তথা কাছের মানুষ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর অতি ঘনিষ্ঠজন হলেন উত্তরপ্রদেশের গাজীপুরের পরপর তিন বারের বিজয়ী সাংসদ মনোজ সিংহ। বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে তাঁকে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী করার প্রস্তাব নাকি গৃহীত হয়েছিল বিজেপির অন্দরে। পরে মূলত সংঘ পরিবারের চাপেই বিজেপির সিদ্ধান্ত বদল। এরপর গত বছরের লোকসভা নির্বাচনে তাঁর পরাজয়ের পর তিনি কিছুটা গৌণ হয়ে যান জাতীয় রাজনীতি থেকে।তবে উপ রাজ্যপালের পদ লাভের পর তিনি বার জাতীয় রাজনীতিতে ফিরে যেতে চলেছেন স্বমহিমায়, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

অন্যদিকে, গুজরাত ক্যাডারের আমলা গিরিশচন্দ্র মূর্মুও প্রধানমন্ত্রীর যথেষ্ট বিশ্বস্ত যোদ্ধা। তিনি প্রথমে গুজরাট, পরে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের সচিব পদে অনেকবছর ধরে বহাল ছিলেন। পদ থেকে অবসর গ্রহণের পর তাঁকে জম্মু-কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল পদে নিযুক্ত করা হয়। কিন্তু বর্তমানে একাধিক বিতর্কে তিনি জড়িয়ে পড়েছেন। প্রথমত, কাশ্মীরে ফোর-জি মোবাইল পরিষেবা নিয়ে তিনি স্বরাস্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়েছেন, দ্বিতীয়ত, তিনি মন্তব্য করেছিলেন জম্মু-কাশ্মীরে চলতি বিধানসভা আসনের পুনর্বিন্যাস শেষ হয়ে গেলেই, সেখানে বিধানসভা নির্বাচনের আয়োজন করা হবে। এ প্রশ্নআগে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচনের নেবার সিদ্ধান্ত একমাত্র নির্বাচন কমিশনই নিতে পারেন, উপ রাজ্যপাল নন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, প্রাক্তন উপ রাজ্যপাল গিরিশচন্দ্র মূর্মুকে কাশ্মীরের সিএজি প্রদানের পদে নিয়োগের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে কেন্দ্র সরকার। কিন্তু এই প্রসঙ্গে বিরোধীদের অভিযোগ, কাশ্মীরের বেসিরভাগ নেতা যেখানে এক বছর ধরে মূলত গৃহবন্দী, সেখানে রাজনৈতিক আলোচনা কিভাবে সম্ভব? বিরোধীদের অভিযোগ, সিএজি থেকে সরকারের বিরোধিতা সম্পূর্ণ রূপে স্তব্ধ করতেই গিরিশচন্দ্র মূর্মুকে এই পদে নিয়োগের পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার।

এ প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি মন্তব্য করেছেন, “‘‘দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের পতনের পিছনে সিএজি-র চক্রান্ত ছিল কি না তা ভবিষ্যত বলবে। সেই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় তাই বর্তমান সিএজি প্রধান রাজেশ মহর্ষির ইস্তাফার পরে মুর্মুকে বসিয়ে বিরোধিতার সব দিক বন্ধ রাখতে চাইছে মোদী সরকার।’’ যদিও কেন্দ্রের দাবি, কাশ্মীরে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে একবছরে ঘটা আস্থা, বিশ্বাস এর ঘাটতি দূর করতেই  সংঘ ঘনিষ্ঠ মনোজ সিংহকে উপরাজ্যপাল পদে নিযুক্ত করা এবং একাধিক বিতর্কের কারণেই গিরিশচন্দ্র মূর্মুকে উপরাজ্যপাল থেকে অপসারিত করে সিএজি প্রধান করে দেওয়া।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!