এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কাটছে না জট, ডি এ মামলা নিয়ে ক্রমশ বাড়ছে অস্বস্তি, জেনে নিন বিস্তারিত !

কাটছে না জট, ডি এ মামলা নিয়ে ক্রমশ বাড়ছে অস্বস্তি, জেনে নিন বিস্তারিত !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ডিএ নিয়ে জট ক্রমাগত বাড়ছে রাজ্যে। প্রসঙ্গত, গত বছর 26 শে জুলাই স্যাটের নির্দেশানুসারে কেন্দ্রীয় সরকার যে নিয়মে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা দেয়, সেই নিয়ম মেনে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দেওয়ার কথা ছিল রাজ্য সরকারের। তিন মাসের মধ্যে রাজ্যের মুখ্য সচিবকে সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছিল স্যাট। কিন্তু সম্প্রতি রাজীব সিনহা মুখ্য সচিবের পদ থেকে অবসর গ্রহণ করায় নতুন মুখ্য সচিব হয়ে এসেছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।

তাই নতুন করে আবার সরকারি কর্মচারী পরিষদকে সংশোধিত আবেদন জমা করতে বলা হয়েছে। রাজ্য প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল অথবা স্যাট এর তরফ থেকে বলা হয়েছে নতুন আবেদনে নতুন মুখ্য সচিবের নাম সাতদিনের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি গত 26 শে জুলাইয়ের রায় সহ একটি নোটিশ পাঠাতে হবে নতুন মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলে জানা গিয়েছে। স্যাটে সরকারি কর্মচারী পরিষদের তরফে যে মামলা চলছে, তার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী 20 শে জানুয়ারি।

গত 23 শে সেপ্টেম্বর কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্টস এমপ্লয়িজ এবং ইউনিটি ফোরামের ডিএ সংক্রান্ত যে মামলা চলছিল, তাতে স্যাট জানিয়ে দিয়েছিল, আগামী 16 ই ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানির আগে সরকারকে আগের রায় কার্যকর করতে হবে। অর্থাৎ, ষষ্ঠ বেতন কমিশন কার্যকর করার আগেই বকেয়া ডিএ রাজ্য সরকারকে দিয়ে দিতে হবে সকল সরকারি কর্মচারীদের। কিন্তু বেতন কমিশন কার্যকর হয়ে গেলেও ডিএ কিন্তু এখনো কার্যকর হয়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর তাই স্যাটে আদালত অবমাননার মামলা করেছিল সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলি। সেই সূত্রেই জানা গেছে, কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্টস এমপ্লয়িজকে আবার নতুন করে নতুন মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গত রায়ের প্রতিলিপি পাঠাতে হবে। তবে নির্ধারিত 16 ডিসেম্বরের শুনানির দিন বদল হবে কিনা তা এখনো জানা যায়নি। যদিও এর আগে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, ডিএ সংক্রান্ত সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দিতে হবে রাজ্যকে।

তার পরেও সরকারের পক্ষ থেকে কোন সদিচ্ছা দেখা যায়নি। বরং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোষাগার ফাঁকা হওয়ার কারণ দেখিয়ে ছিলেন। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনে আসছে একুশের বিধানসভা নির্বাচন। তার মধ্যে যদি রাজ্য সরকার তথা শাসক দল ডিএ সংক্রান্ত সমস্যা মেটাতে না পারে, তাহলে আগামী দিনে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা তৃণমূল সরকারকে বিপাকে ফেলতেই পারে এবং এর কিছুটা প্রতিচ্ছবি দেখা গেছে 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে। আপাতত পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয় তার ওপর নজর রাখছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!