এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > “কাটমানি না দিলে পশ্চিমবঙ্গে কোন সরকারি কাজ হয়না” বিস্ফোরক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়

“কাটমানি না দিলে পশ্চিমবঙ্গে কোন সরকারি কাজ হয়না” বিস্ফোরক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি কেন্দ্রের স্মার্ট সিটি প্রকল্পের টাকা পাওয়া থেকে আসানসোল পুরনিগম বঞ্চিত হচ্ছে বা উন্নয়ন ঘিরে রাজনীতি হচ্ছে, এমনটা অভিযোগ করেই তৃণমূলের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ালেন আসানসোলের পুর প্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। সেখানে যদিও এই ঘটনার পর চুপ করে থাকেননি পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও।

পুর প্রশাসকের চিঠি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গেছে তাঁকে। জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে উল্টে কটাক্ষ করতে দেখা যায় তাঁকে। আর সেখানেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন দুই নেতার আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণে দলের অন্দরে অস্বস্তি কাঁটা আরও তীব্র হচ্ছে। সেইসঙ্গে তৃণমূলের অন্দরে গোষ্ঠী কোন্দলের উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে বলেও অনুমান করেছেন তাঁরা।

আর সেই প্রসঙ্গেই এবার তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে শোনা গেল কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে। সেখানে এই প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক তথা কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় জানান, “কাটমানি না দিলে পশ্চিমবঙ্গে কোন সরকারি কাজ হয়না”। এদিন বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এমনটাই জানিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেখানে ডায়মন্ড হারবারে আক্রমনের ঘটনাকে উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, বুলেট প্রুফ গাড়ি তাঁর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। তাঁর কথায়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে নির্দেশ এসেছে সাধারন গাড়িতে যেন তিনি না ঘোরেন। সেই কারণেই তিনি হয়তো বুলেট প্রুফ গাড়ি ব্যবহার করবেন বলেই মন্তব্য করেন। এছাড়া, “বাংলায় সাধারন মানুষের জীবন সুরক্ষিত নয়। এখানে আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে” বলেও মন্তব্য করতে শোনা যায় তাঁকে।

সেইসঙ্গে দলীয় কর্মী খুনের ঘটনার কথা সামনে এনে তিনি বলেন, “প্রত্যেকদিন আমাদের কোন না কোন কার্যকর্তার মৃত্যু হচ্ছে এবং এইসব মমতাজী ও তার ভাইপোর ইশারায় হচ্ছে”। এরই সঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক তথা কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় অভিযোগ করেন যে, “এই সরকারের দুটোই ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু। এক মুখ্যমন্ত্রী দ্বিতীয় ভাইপো। মুখ্যমন্ত্রীর ছবিটা পরিষ্কার। কিন্তু ভাইপোর ছবি দুর্নীতিগ্রস্ত”।

সেইসঙ্গে রাজ্যে কাটমানির অভিযোগের কথা সামনে এনে তিনি বলেন, “কাটমানি না দিলে কোন সরকারি তহবিল বরাদ্দ হয় না। সেই কারণেই রাজ্যে উন্নয়নের কাজ আটকে আছে”। তাঁর অভিযোগ, “এখানে কোন মেয়র কোন মন্ত্রী কোন উন্নয়নের কাজ করতে পারেনা যতক্ষন না ভাইপোকে কমিশন দেওয়া হয়”। ফলে তাঁর অভিযোগ যে কেবল মুখ্যমন্ত্রীর নামের গন্ডি ছাড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত পৌঁছে গেছে, তেমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!