এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > কাটমানি নিয়েও বসে রয়েছেন হাত গুটিয়ে, তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার বিরুদ্ধে অভিযোগ ব্যবসায়ীর

কাটমানি নিয়েও বসে রয়েছেন হাত গুটিয়ে, তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার বিরুদ্ধে অভিযোগ ব্যবসায়ীর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার দাবিমতো ৪০ হাজার টাকা তাঁর হাতে তুলে দিয়েছিলেন, কিন্তু এরপরও তিনি তাঁর কাজ করে দেননি বলে, বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন জনৈক ব্যবসায়ী। পূর্ব বর্ধমানের দু নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা মিতা দাসের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করেছেন ওই এলাকার ব্যবসায়ী বিজয় সাঁই। তিনি অভিযোগ করেছেন, তার থেকে মোটা টাকা কাটমানি নিয়েও তার কাজ করে দেননি তিনি।

ব্যবসায়ী বিজয় সাঁই জানিয়েছেন যে, এনএইচ কর্তৃপক্ষ তার দোকান ভেঙে দিতে পারে এই আশঙ্কায় পেছনের ফাঁকা স্থানে দোকান ঘর তৈরির বিষয়ে চিন্তাভাবনা করেছিলেন তিনি। এ বিষয় নিয়ে তিনি উপস্থিত হন পঞ্চায়েত সদস্যা মিতা দাসের কাছে। সে সময় তাকে জানান তিনি, ঢালাইয়ের কাজ শুরু করতে। কোন সমস্যা হলে তিনি তা সামলে নেবেন। দোকানের প্ল্যান আনতে বলেন তাঁকে। প্ল্যান দেখার পর তিনি জানান, এর জন্য তার কাছে চল্লিস হাজার টাকা নগদ তুলে দিতে হবে। তাহলে আর কোন সমস্যা হবে না।

ব্যবসায়ী বিজয় সাঁই আরো জানিয়েছেন যে, মিতা দাসের সঙ্গে দেখা করার পর তাকে দোকানের প্ল্যান পাস করে দেবার ব্যাপারে তিনি অনুরোধ করেছিলেন। তখন তিনি তাকে দোকানের নকশা আনার নির্দেশ দেন। নকশা নিয়ে গেলে নকশা দেখে তাকে জানানো হয় যে, ৪০ হাজার টাকা তাঁর হাতে তুলে দিতে হবে। এই টাকা দিলে তার কাজটি করে দেবেন তিনি। প্ল্যান পাস করিয়ে দেবেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মিতা দাস জানান, ইঞ্জিনিয়ার, অফিসারকে টাকা দিতে হবে। এরপর কষ্ট করে টাকা যোগাড় করে তাঁর হাতে তুলে দিয়েছিলেন তিনি। তবে, তিনি অভিযোগ করেছেন যে, এরপর দু মাস কেটে গেছে, কিন্তু তার কাজ করে দেননি তিনি। টাকা দেবার পর তার কাছে গেলেই, খালি তাকে ঘোরাচ্ছেন তিনি। কাল-পরশু করে বারবার তাকে ঘোরাচ্ছেন তিনি। তবে, এই ঘটনা প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত সদস্যা মিতা দাস জানান, বিজয় সাঁই নামের কোন ব্যবসায়ীকে তিনি চেনেন না।

তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে, সেগুলোর কোনো ভিত্তি নেই। দলের কিছু অসাধু কর্মীও তাঁকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে, অভিযোগ করেছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, বিজয় সাঁই দোকানের জন্য যে জায়গাটি নিয়েছেন, তা অবৈধ।
পঞ্চায়েত সদস্যা মিতা দাস যে সাফাই দিন না কেন? তার বিরুদ্ধে এমন বিস্ফোরক অভিযোগ দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণে। তৃণমূলের পক্ষ থেকেও তাঁর এই কাজকে সমর্থন জানানো হয়নি।

অপর এক পঞ্চায়েত সদস্য মুজাম্মল শাহ এ প্রসঙ্গে জানালেন যে, এটাই প্রথম নয় এর আগেও মিতা দাসের বিরুদ্ধে বারবার নানা অভিযোগ উঠেছিল। তিনি অভিযোগ করেছেন, তিনি যে শুধু দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, তা নয়। বিভিন্ন সময়ে অন্যায় ভাবে অর্থ নিয়েছেন তিনি। তাঁর উপরে ওঠা এই অভিযোগ যথেষ্ট বাড়িয়েছে রাজ্যের শাসক দলের অস্বস্তি। তৃতীয়বার সরকার গঠনের পর মুখ্যমন্ত্রী বারবার দরকার নির্দেশ দিয়েছিলেন স্বচ্ছ থাকতে। কিন্তু, তার পরও এই ধরনের অভিযোগ যথেষ্ট উদ্বেগজনক।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!