এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > কতদিন পর্যন্ত শরীরকে নিরাপদ রাখতে পারে করোনার ভ্যাকসিন? কি বলছেন বিজ্ঞানীরা?

কতদিন পর্যন্ত শরীরকে নিরাপদ রাখতে পারে করোনার ভ্যাকসিন? কি বলছেন বিজ্ঞানীরা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা সংক্রমণ রোধ করতে গেলে ভ্যাকসিন নেওয়া আবশ্যক বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানীরা। তবে, বছর বছর যেভাবে করোনা ফিরে আসছে, তাতে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর, তা কতদিন কার্যকরী থাকবে? তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন। এবার এ বিষয়ে গবেষণা চালান বহু বিজ্ঞানী। একাধিক বিজ্ঞানীদের গবেষণায় উঠে এসেছে যে, করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার পর এক বছর পর্যন্ত তা কার্যকরী থাকে। এক বছর পর তার কার্যক্ষমতা কিছুটা হলেও কমে যায়। সে ক্ষেত্রে করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে করোনা আক্রান্ত হলেও সংক্রমণ ভয়াবহ হবে না। কিন্তু সংক্রমণ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হতে গেলে ভ্যাকসিন নেবার এক বছর পর বুস্টার ডোজ নেবার প্রয়োজন হতে পারে।

পৃথিবীর মোট সাতটি করোনার ভকসিনের উপরে গবেষণা চালিয়েছিলেন একাধিক বিজ্ঞানি। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা করেছেন তাঁরা। এরপর তাদের গবেষণায় বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে। তাঁদের গবেষণায় দেখা গেছে যে, ভ্যাকসিন নেবার পর শরীরে তৈরি হওয়া নিরপেক্ষ এন্টিবডি এক বছর পর কমে আসতে শুরু করবে। তবে ভ্যাকসিন নেবার এক বছর পর যদি করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়। তবে, তা তীব্র আকার ধারণ করবে না। এক্ষেত্রে ভয়াবহ সংক্রমণ হবে না, তা থেকে মৃত্যু ঘটার আশঙ্কাও অনেকটাই কম থাকবে।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, কোন ভ্যাকসিন যদি ৫০% কার্যকারী হয়। তবে সেই ভ্যাকসিন করোনা মুক্ত হওয়া কোন ব্যক্তিকে দিলে অধিক কার্যকরী হবে। কিন্তু করোনা আক্রান্ত না হওয়া কোন ব্যক্তিকে সেই ভ্যাকসিন দিলে তার কার্যকারিতা অনেক কম হবে। তবুও তা শরীরকে রক্ষা করতে পারবে।
সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজিস্ট জেমস ট্রিকাস এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, ফাইজার মর্দানার মত ভ্যাকসিনগুলি অধিক পরিমাণে এন্টিবডি তৈরি করতে পারে। তবে এমআরএন ভ্যাকসিন গুলির তুলনায় এস্ট্রোজেনেকো ভ্যাকসিনগুলি কম পরিমাণ এন্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম। তবে, সমস্ত ভ্যাকসিনের কার্যক্ষমতা এক বছর পর হ্রাস পায়। এরপর এর কার্যক্ষমতা বাড়াতে অতিরিক্ত বুস্টার ডোজ নেওয়া যেতে পারে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আবার, জাপানের ইয়াকোহামা সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক জানিয়েছেন যে, যে সমস্ত মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাদের শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করলে এক বছর পর্যন্ত শরীরে প্রচুর এন্টিবডি ছিল। কিন্তু যারা করোনা আক্রান্ত হননি বা যাদের মধ্যে করোনার লক্ষণ প্রকাশ পায় নি, তাদের শরীরে এন্টিবডি অনেক কম পাওয়া গেছে।
লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের গবেষক ড্যানিয়েল আল্টম্যান জানিয়েছেন যে, করোনার ভ্যাকসিন ও অনাক্রম্যতা সম্পর্কিত ভবিষ্যৎ কৌশল গঠন করতে বিজ্ঞানীদের এই গবেষণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জানিয়েছেন, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ভিত্তি করে গবেষকদের ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা মূল্যায়ন করা সহজসাধ্য। তবে এ বিষয়ে আরও গভীর মূল্যায়ন ও আরও অধিক তথ্য সংগ্রহের প্রয়োজন আছে। করোনার উপসর্গ যাদের ছিল না, তাদের শরীরে কম পরিমাণে এন্টিবডি তৈরি হয়েছে।

অর্থাৎ, বিজ্ঞানীদের গবেষণায় এ বিষয়টি বেরিয়ে এসেছে যে, ভ্যাকসিন নেওয়ার এক বছর পরেও শরীরে এন্টিবডি থেকে যায়। তবে তার সংখ্যা কমে যায়। এ জন্য ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা হ্রাস পায়। তবে একবার ভ্যাকসিন দেওয়া থাকলে, মারাত্মকভাবে করোনা হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। তবে করোনা থেকে শরীরকে সম্পূর্ণ মুক্ত রাখতে গেলে ভ্যাকসিন নেওয়ার এক বছর পর বুস্টার ডোজ নেওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছেন বিজ্ঞানীরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!