কাতর আবেদনই সার! হেভিওয়েট নেত্রীকে গ্রহণ করা নিয়ে কড়া বার্তা মৌসমের! তৃণমূল মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজনীতি রাজ্য May 24, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত বিধানসভা নির্বাচনে হবিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রে তাকে প্রার্থী করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও কার্যত তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে শাসক দল ছেড়ে বিরোধীদল ভারতীয় জনতা পার্টিতে নাম লিখিয়েছিলেন সরলা মূর্মু। কাউকে টিকিট না দেওয়ার জন্য, আবার কেউ বা দলের অপমানিত হয়ে কোণঠাসা হওয়ার জন্য বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন। কিন্তু সরলাদেবী টিকিট পাওয়ার পরেও যেভাবে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন, তাতে কার্যত ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিল তৃণমূলের রাজ্য থেকে শুরু করে জেলা নেতৃত্ব। তবে বিধানসভা নির্বাচনে শাসক দল তৃতীয়বার রাজ্যের ক্ষমতা দখল করার পরই পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। যারা বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে গিয়েছিলেন, তারা এখন আবার তৃণমূলে ফিরে আসতে চেয়ে আবেদন শুরু করেছেন। আর এই পরিস্থিতিতে সরলা মূর্মুও সেই দলে নাম লিখিয়েছেন। ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করে দলে ফেরার ব্যাপারে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি। তবে দলে আসতে চেয়ে যে সমস্ত নেতা নেত্রীরা আবেদন করছেন, আগামী ছয় মাস তাদের নেওয়ার ব্যাপারে যে কোনো চিন্তা-ভাবনা করা হবে না, তা জানিয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে যে সরলা মূর্মু এখন দলে আসার ব্যাপারে এত আবেদন করছেন, এবার তার ব্যাপারে কড়া বার্তা পোষণ করতে দেখা গেল মালদহ জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী তথা সাংসদ মৌসম বেনজির নূরকে। যেখানে সরলা মুর্মুকে গ্রহণ করার ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে দিলেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্য নেতৃত্ব যদিও বা বেশ কিছু সময় পরে এই সমস্ত নেতা-নেত্রীদের দলে গ্রহণ করার ব্যাপারে সুর নরম করে, তবুও মালদহ জেলা নেতৃত্বের আপত্তি করার কারণে সরলা মুর্মু আবার তৃণমূলে ফিরতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে একটা বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রবিবার তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে ফিরতে চেয়ে আবেদন করেন সরলা মুর্মু। আর তারপর থেকেই তাকে যাতে দলে গ্রহণ করা না হয়, তার জন্য তৃণমূলের একাংশ দাবি করতে শুরু করেন। আর এবার সেই সরলা মুর্মুর ব্যাপারে কড়া অবস্থানের কথা জানিয়ে দিলেন মালদহ জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর। এদিন তিনি বলেন, “ওনাকে দলে ফেরানো যাবে না। অনেক আবর্জনা দল থেকে গিয়েছিল, তাতে ভালো হয়েছে। উনি শুধুমাত্র ক্ষমতা আর পদের জন্য নিজের স্বার্থে দল করতেন, তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওনাকে টিকিট দিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও নেত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। তাই দলে ওনার জায়গা হবে না।” স্বাভাবিক ভাবেই জেলা সভানেত্রীর এই কথায় সরলা মুর্মুর ইচ্ছা যে কার্যত বিশবাঁও জলে চলে গেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, ইতিমধ্যেই সোনালী গুহ দলে ফিরতে চেয়ে নিজের ভুল হয়েছে বলে আবেদন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। আর তারপরই একের পর এক বিজেপিতে যাওয়া নেতা-নেত্রীরা তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে আবেদন করতে শুরু করেছেন। যার মধ্যে অন্যতম মালদহের সরলা মুর্মু এবং উত্তর দিনাজপুরের অমল আচার্য। তবে তৃণমূলের একাংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করেছেন, কোনোভাবেই এই সমস্ত নেতাদের যাতে দলের গ্রহণ করা না হয়। কারণ তারা বিপদের সময় দলের পাশে ছিলেন না। তাই এখন তারা আবার সুবিধা নিতে দলে যোগদান করবেন। স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল নেতৃত্বের কি পদক্ষেপ হয়, তার দিকে নজর ছিল সকলেরই। অবশেষে তৃণমূলের বর্ষিয়ান সাংসদ সৌগত রায় জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী ছয় মাস এই নিয়ে তৃণমূল কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে না। অর্থাৎ দলবদলকারীরা দলে ফেরার ব্যাপারে যতই ইচ্ছা পোষণ করুন না কেন, তাদের যে আপাতত দলে ফেরা হচ্ছে না, তা সৌগতবাবুর মন্তব্যের মধ্যে দিয়েই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে সরলা মূর্মু টিকিট পেয়েও যখন বিজেপিতে চলে গিয়েছেন, তখন বর্তমানে তিনি দলে ফিরতে চাইলেও, তার জন্য যে রাস্তা কার্যত বন্ধ, তা বুঝিয়ে দিলেন মালদহ জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর। যার ফলে সরলাদেবী যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়ে গেলেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -