প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বিভিন্ন ইস্যুতে পদক্ষেপ গ্রহণ করার সাথে সাথেই তারা কোনো একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ করতে দেখা গিয়েছে ঘাসফুল শিবিরকে। তবে সম্প্রতি ইডির পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। যেখানে কয়লা কাণ্ডে জেরা করতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সহধর্মিণী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লির অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছিল‌।

তবে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমান পরিস্থিতিতে দিল্লিতে যাওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থান নিয়ে তৈরি হয়েছিল জল্পনা। আর এই পরিস্থিতিতে বিশিষ্ট সমাজ কর্মী সাকেত গোখলের একটি টুইট রিট্যুইট করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে সেই টুইটের মধ্যে দিয়ে ইডির ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইডি এবং কেন্দ্রীয় শাসকদল যথেষ্ট চাপের মুখে পড়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর এদিন একটি টুইট করেন বিশিষ্ট সমাজকর্মী সাকেত গোখলে। যেখানে ইডির ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তিনি। আর সেই টুইট রিট্যুইট করতে দেখা যায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যেখানে লেখা রয়েছে, “বেদনাদায়ক! প্রত্যেক সরকারী কর্মচারীকে প্রতি বছর তাদের স্থাবর সম্পত্তির হিসাব জমা দিতে হয়। কিন্তু ইডির ডিরেক্টর এস কে মিশ্র 2017 থেকে 2020 তে অবসরগ্রহণের সময়কাল পর্যন্ত সেই হিসেব জমা দেননি। এর তদন্ত কে করবে? এন সীতারামন? আমরা করব?”

অর্থাৎ বিশিষ্ট সমাজকর্মী সাকেত গোখলে এই টুইট করে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন। আর সেই টুইট রিট্যুইট করে পাল্টা সরব হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যা রাজনৈতিক ভাবে বর্তমান সময়ে অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।পর্যবেক্ষকদের মতে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে গোটা বিষয়ে সরব হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, ইডির শীর্ষকর্তাও বেনিয়মের ঘটনায় জড়িত।

তাই যারা বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চাইছে, তারা নিজেরা আগে নিজেদের দোষ ত্রুটি খতিয়ে দেখুক বলেই এই ট্যুইটের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। স্বভাবতই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় সরকারের চাপ যে ক্রমশ বৃদ্ধি পেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কি বিবৃতি দেওয়া হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।