এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > খেলায় ফেরা কি শুধুই বাহানা! আসলে কি ভোটের খেলা! লক্ষীর পদক্ষেপে বাড়ছে জল্পনা!

খেলায় ফেরা কি শুধুই বাহানা! আসলে কি ভোটের খেলা! লক্ষীর পদক্ষেপে বাড়ছে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে নাম লেখানোর পরেই হাওড়া জেলা তৃণমূলের অন্দরমহলে তৈরি হয়েছে সমস্যা। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেসুরো মন্তব্যের পর মঙ্গলবার হঠাৎ করেই জেলা সভাপতি এবং মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। স্বাভাবিকভাবেই তার এই ধরনের পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে চিন্তা বাড়িয়ে দেয় তৃণমূল নেতৃত্বের। যার ফলে নানা মহলে তৈরি হয় শোরগোল।

হঠাৎ করে কেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা দলীয় এবং প্রশাসনিক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন, তা নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করে। তবে লক্ষ্মীরতন শুক্লা মন্ত্রী এবং জেলা সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এতে চিন্তার কিছু নেই। নেগেটিভ ভাবার কিছু নেই। লক্ষ্মী খেলায় ফিরতে চায়। ওর জন্য শুভেচ্ছা রইল।” স্বাভাবিকভাবেই এই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখন নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বিশেষজ্ঞদের কাছে।

অনেকে রসিকতা করে বলতে শুরু করেছেন, খেলায় ফেরা কি শুধুমাত্র বাহানা নয়! যখন তৃণমূলে ভাঙ্গন ধরতে শুরু করেছে এবং দল ছাড়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে, তখন লক্ষ্মীরতন শুক্লার এইভাবে পদ ছেড়ে দেওয়া নিঃসন্দেহে চিন্তাকে বাড়িয়ে দিল। আসলে লক্ষ্মীরতনবাবু খেলা ছাড়ার কথা বলে কি তৃণমূল ছাড়ার ইঙ্গিত দিলেন! এখন তা নিয়ে জল্পনা আরও বাড়তে শুরু করেছে।

বিশেষ সূত্র মারফত খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একথা বললেও ঘনিষ্ঠমহলে লক্ষ্মীরতন শুক্লা জানিয়ে দিয়েছেন যে, ঠিকমত কাজ করা যাচ্ছে না। মন্ত্রী হওয়া সত্বেও তার কাছে কোনো ফাইল আসেনি। স্বাভাবিকভাবেই কাজ করতে না পারায় তিনি পদ থেকে সরে এসেছেন। আর এখানেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, আসলে এই সমস্ত কিছুই ভোটের খেলা। বিজেপি যেভাবে তৃণমূলের ঘর ভাঙতে শুরু করেছে, তাতে লক্ষ্মীরতনবাবুও হয়ত বা সেই পথে সামিল হবেন। তাই তার আগেই জেলা সভাপতি এবং মন্ত্রীপদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দলের সঙ্গে তিনি দূরত্ব বাড়িয়ে দিলেন বলে দাবি করছেন একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশ বলছেন, যদি সত্যিই এই আশঙ্কা সত্যি হয়, তাহলে তৃণমূল যে আসছে দিনে বড় সমস্যার মুখে পড়তে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা অনুযায়ী লক্ষ্মীরতন শুক্লা খেলায় ফিরতে চান। তাই তিনি এই পদ থেকে সরে গিয়েছেন। কিন্তু এতদিন তো তিনি মন্ত্রী এবং বিধায়ক ছিলেন। যখন তৃণমূল ভাঙতে শুরু করেছে এবং একের পর এক বিধায়কের ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা, ঠিক সেই সময়ই লক্ষ্মীরতন শুক্লার এই পদক্ষেপ চিন্তাকে যে বাড়িয়ে দিল, সেই বিষয়ে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

তাহলে কি লক্ষ্মীরতন শুক্লা দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন! নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাই সত্যি! পর্যবেক্ষকরা বলছেন, লক্ষ্মীরতন শুক্লা কি করবেন, তা একান্তই তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু তিনি বিজেপিতে যোগ দিন আর না দিন, তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে ইস্তফা এবং মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়াতে কার্যত পরিষ্কার যে, দলের ওপর তিনি কিছুটা হলেও ক্ষিপ্ত। আর সেই কারণেই মন্ত্রী এবং জেলা সভাপতির মত গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে ইস্তফা দিতে হল তাকে।

তবে তার এই ইস্তফা আগামীদিনের দলত্যাগের মত ঘটনাকেও অতিক্রম করে যায় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আর তারপরই স্পষ্ট হয়ে যাবে যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেছিলেন, তা সত্যি! নাকি ভোটের খেলার জন্য অদূর ভবিষ্যতকে সামনে দেখে আগেভাগেই তৃণমূলের পদ ছেড়ে দিলেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা! কি হবে, তা সময় বলবে। তবে তার আগে এই বিষয় নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে বঙ্গ রাজনীতিতে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!