প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে এতদিন চিকিৎসকরা আশার বাণী শোনালেও, আবারও ডাক্তারদের চিন্তায় ফেলেছে তাঁর শারীরিক অবস্থার খবর। বস্তুত, তাঁর স্নায়ুজনিত সমস্যা হয়েছে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। সেই সঙ্গে তাঁর আচ্ছন্ন ভাব বেড়েছে বলেও জানিয়েছেন ডাক্তারেরা। তবে ঠিক কি সমস্যা হচ্ছে তাঁর?

জানা গিয়েছে, গ্লাসগো কোমা স্কেলে তাঁর এই স্নায়ু জনিত অবনতি ধরা পড়েছে। মূলত মস্তিষ্কে চোটের পর রোগী কতটা সাড়া দিচ্ছে তা বোঝার জন্য এই স্কেল ব্যবহারের কথা বলা হয়। তবে সেই সঙ্গে অন্য কারণেও মস্তিষ্কে সমস্যা হলে এই সূচক ব্যবহার করা হয় বলেই জানা যায়। এই পদ্ধতিতে অনেকটাই সফল ভাবে মস্তিষ্কের সাড়া দেওয়ার ক্ষমতা বিচার করা যায় বলেই মনে করেন চিকিৎসকেরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৭৪ সালে এই সূচকের কথা ল্যান্সেট জার্নালে গ্রাহাম টিসডেল ও ব্রায়ান জেনেট প্রথম বার ব্যাখ্যা করেছিলেন। এর মাধ্যমে রোগী কতটা সজাগ ও সচেতন রয়েছেন বা তিনি কোমার ঠিক কোন স্তরে রয়েছেন তা বোঝা যায় বলেই জানিয়েছিলেন তাঁরা। এরপর থেকে সারা বিশ্বে এই সূচক অত্যন্ত জনপ্রিয় ও কার্যকরী বলে জানা যায়।

আর অভিনেতার ক্ষেত্রে এই সূচকই ১১ পর্যন্ত উঠেছিল বলে জানা যায়। পরে অবশ্য তা আবার নামতে শুরু করে। তবে তাঁর বাকি শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়া মোটামুটি স্বাভাবিক আছে বলে তুলনায় স্বস্তিতে রয়েছেন ডাক্তারেরা। বাকি প্যারামিটারগুলিও ঠিকঠাক রয়েছে বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর পাওয়া গেছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেও গ্লাসগো কোমা স্কেল অনুযায়ী, তাঁর পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল বলেই মনে করা হচ্ছিল। বস্তুত, গ্লাসগো কোমা স্কেল অনুযায়ী একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের মান ১৫ থাকা উচিত। অন্যদিকে, এই স্কেলে ৩ হলে রোগীর ব্রেন ডেথ ধরা হয়। কিন্তু অসুস্থতার প্রথমে সৌমিত্রের এই সূচক নামতে নামতে একসময় ৬-এ পৌঁছে গিয়েছিল বলে জানা যায়।

তবে গত বুধবার বিকেলে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সেই সূচক ১০-এ পৌঁছে গিয়েছিল বলে পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক বলেই মনে করেছিলেন চিকিৎসকরা। তবে সেইসময় তাঁর পরিস্থিতি আপাতত স্থিতিশীল বলে মনে করা হলেও সম্প্রতি সেই স্কেল অনুযায়ী আবার তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে বলে জানান হয়েছে। সেইসঙ্গে তাঁকে ফের স্টেরয়েড সহ অন্যান্য আরও কিছু ওষুধ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।