এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > কেমন হলো রাজ্যের চারটি কেন্দ্রের উপনির্বাচন ? জেনে নিন বিস্তারিত

কেমন হলো রাজ্যের চারটি কেন্দ্রের উপনির্বাচন ? জেনে নিন বিস্তারিত


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট  রাজ্যের চারটি কেন্দ্রে মিটেছে  টানটান উপনির্বাচন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরবর্তীকালে রাজ্যের পাঁচটি কেন্দ্রে উপনির্বাচনের পরিস্থিতি এসে দাঁড়ায়। যার মধ্যে সবথেকে হেভিওয়েট কেন্দ্র ছিল ভবানীপুর। কারণ সেখানে মমতা ব্যানার্জি দ্বিতীয়বার উপনির্বাচনের লড়াইতে নামেন এবং ইতিহাস সৃষ্টি করে তিনি জয়লাভ করেন। আর এরপর বাকি থাকা চারটি কেন্দ্রের উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা হয় 30 শে অক্টোবর। যে চারটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়েছে, সেগুলি হল গোসাবা, খড়দা, দিনহাটা এবং শান্তিপুর। সকাল থেকেই ভোটদান চলছে নিয়মমতো কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের কড়া নজরদারিতে।

তবে সকাল থেকেই বিক্ষিপ্ত অশান্তিরও খবর পাওয়া গেলেও শনিবার সকালে খড়দায় বিজেপি প্রার্থীকে ঘিরে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ঠিক সেভাবেই দিনহাটাতেও বিজেপি প্রার্থীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে বলে জানা গেছে । অন্যদিকে খড়দার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই অবশ্য খড়দা এবং দিনহাটাকে সবচেয়ে উত্তেজনাপ্রবণ কেন্দ্র বলে চিহ্নিত করেছে। সেই অনুযায়ী সেখানে পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ছিলো।

শনিবার সকালে ভোট শুরু হওয়ার পর থেকে খড়দা এবং দিনহাটা থেকেই কিন্তু বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছিলো। দিনহাটায় একাধিক বুথের বাইরে তৃণমূল কর্মীরা বেআইনি জমায়েত করেছেন বলে বিজেপি প্রার্থী অভিযোগ করেন। আর তার পরেই তৎপর হয় পুলিশ। অন্যদিকে দিনহাটার বিজেপি প্রার্থী অশোক মন্ডল ভোট দিতে এসে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। একইভাবে খড়দা সূর্যসেন হাইস্কুলের বুথের 100 মিটারের মধ্যে তৃণমূলের পতাকা লাগানোর অভিযোগ তোলে গেরুয়া শিবির। পরে অবশ্য সেই পতাকা খুলে ফেলেন তৃণমূল কর্মীরা সেক্টর অফিসারের নির্দেশে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ভোট শুরু হওয়ার পর খড়দাতেও তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপি প্রার্থী জয় সাহা। কার্যত তিনি করোনা বিধি-নিষেধ ভঙ্গ করেছেন বলে অভিযোগ তোলে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। পাশাপাশি তিনি ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ তোলা হয়। অন্যদিকে খড়দার তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সরাসরি অভিযোগ এনেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বিরুদ্ধে। তবে শান্তিপুরেও ছোটখাটো অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছে।

শান্তিপুর বিধানসভার গোবিন্দপুরে 40 নম্বর বুথে ইভিএম বিকল হয়ে গিয়েছে। লাইন দিয়েও ভোট দিতে পারেননি অনেকেই। তবে নতুন করে ভোট গ্রহণের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে চারটি কেন্দ্রের উপনির্বাচন ঘিরে উত্তেজনার পারদ ক্রমশ চড়ছে। আগেরবার বিজেপির ঝুলিতে এসেছিল 0, আর তৃণমূলের হাতে এসেছিল তিনটি আসন। এবারেও কি তৃণমূল চারটি আসনের অধিকারী হবে? নাকি ঘুরে দাঁড়াবে বিজেপি? সে দিকেই এখন নজর রাখছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!