এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > কেন অগ্নিমূল্য হচ্ছে জ্বালানি? পরস্পরের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি তৃণমূল ও বিজেপির

কেন অগ্নিমূল্য হচ্ছে জ্বালানি? পরস্পরের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি তৃণমূল ও বিজেপির


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দিনে দিনে বাড়ছে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম। আজ কলকাতায় পেট্রোলের দাম ৯৯ টাকা ৮৪ পয়সা, ডিজেলের দাম ৯২ টাকা ২৭ পয়সা প্রতি লিটার। রাজ্যের বহু জেলায় পেট্রোলের দাম সেঞ্চুরি পার করেছে। সিকিমে পেট্রোলের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। দিল্লিতে পেট্রোলের দাম ১০০ এর কাছাকাছি চলে গেছে। মুম্বাই, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদে পেট্রোলের দাম ১০০ টাকা পার করে গেছে। জ্বালানির ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধির কারণে কেন্দ্রকে অভিযুক্ত করেছে রাজ্য সরকার। অন্যদিকে এই ইস্যুতে তৃণমূলকে পাল্টা অভিযোগ করেছে বিজেপি।

পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে কেন্দ্রকে তোপ দেগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করেছেন যে, জ্বালানি তেলের দাম ঐতিহাসিক উচ্চতায় চলে গেছে। যা দেখে মনে হচ্ছে মানুষের সমস্যা বাড়াতে খুব পরিশ্রম করছে কেন্দ্র সরকার। ২০২০ সালের পর থেকে অবস্থার তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। দেশের মানুষের দাবিকে উপেক্ষা করে দোষারোপ করার খেলায় মেতে রয়েছে কেন্দ্র। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও একাধিক তৃণমূল নেতৃত্ব পেট্রোপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির জন্য দোষারোপ করেছেন কেন্দ্র সরকারকে। যার মধ্যে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, ব্রাত্য বসু প্রমুখরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই পরিপেক্ষিতে বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলের উদ্দেশ্যে জানানো হয়েছে যে, পেট্রোলের দাম জিএসটির আওতাভুক্ত নয়। তাই এর উপরে কতটা ট্যাক্স বসানো যাবে? তা রাজ্য সরকার ঠিক করে থাকে। তাই যখন পেট্রোলের দাম বাড়ছে, তখন রাজ্য সরকার ট্যাক্স এর পরিমাণ কিছুটা কমিয়ে দিতে পারে। তাতে সাধারণ মানুষের কিছুটা হলেও সুরাহা হবে। বিজেপির পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়েছে, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কেন হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? পেট্রোপণ্যের ওপর চড়া ট্যাক্স বসিয়ে তা থেকে আয় বাড়ানোর জন্য কি? ৪২ % এর যে ট্যাক্স ধার্য করেছে তৃণমূল সরকার, সাধারণ মানুষের কথা ভেবে সেটা তো খানিকটা কমিয়ে দেওয়া যেতে পারে।

এভাবে পেট্রোল, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ করেছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। পেট্রোল-ডিজেলের দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে সমস্যা বাড়ছে সাধারণ মানুষের। পেট্রোল,ডিজেলের দাম বাড়ার কারণে বাজারে মূল্যবৃদ্ধির যেমন সম্ভাবনা রয়েছে, তেমনি বাস ভাড়া, ট্যাক্সি ভাড়া বৃদ্ধি পেয়ে সাধারণ মানুষের বিপদ আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পেট্রোপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন বহু অর্থনীতিবীদ। অনেকেই পেট্রোপণ্যকে জিএসটির আওতাভুক্ত করার দাবি করেছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!