এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > কেন বারবার ঘর ভাঙছে তৃণমূলের? এর প্রকৃত কারণ কি?

কেন বারবার ঘর ভাঙছে তৃণমূলের? এর প্রকৃত কারণ কি?

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ক্রমশ ঘর ভাঙছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের। দলের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে বেশকিছু হেভিওয়েট দল ছেড়ে দিয়েছেন। কেউ কেউ দল ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন। যেকোনো সময় দলের একাধিক নেতা দল ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারেন। দলে ক্রমশ বাড়ছে বিক্ষুব্ধদের সংখ্যা। অনেকেই বলছেন যে, দলের সাংগঠনিক পরিবর্তন মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। অনেকেই দলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও পিকের বাড়বাড়ন্তকে মেনে নিতে পারছেন না। কিন্তু বিশ্লেষকদের দাবি, এগুলো দলের ভাঙ্গনের কারণ হতে পারে। কিন্তু মূল কারণ নয়।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, শাসকদল তৃণমূলের ক্রমাগত ভাঙ্গনের পেছনে দাঁড়িয়ে আছেন তৃণমূলের একসময়কার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড, যিনি এখন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়। তাঁর গোপন চেষ্টাতেই একটু একটু করে ফাটল ধরতে শুরু করেছে তৃণমূলে। দলে ক্রমশ বাড়ছে বিক্ষুব্ধদের সংখ্যা। কেউ দল ছেড়ে দিচ্ছেন, কেউ বা ছেড়ে দেবার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। অনেকেই মনে করছেন, দলে থেকে কাজ না করতে পারার কারণে, দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে, এমনটাও নয়।

কারণ বিজেপিতে যোগদান করার পর শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন যে, মুকুল রায় তাঁকে ইতিপূর্বে জানিয়েছিলেন যে, সম্মান নিয়ে বিজেপিতে চলে আসতে। যারা সম্মান নিয়ে থাকতে চান, তাঁরা কখনোই তৃণমূল দলে থাকতে পারেন না। যা থেকে অনেকেই মনে করছেন যে, দীর্ঘদিন ধরেই শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন মুকুল রায়। তাঁকে বুঝিয়ে বুঝিয়ে দলে আনতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। ইতিপূর্বে সৌমিত্র খাঁ, অর্জুন সিং প্রমুখদের দলবদলের পেছনেও একটা বিরাট ভূমিকা ছিল মুকুল রায়ের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এমনকি সব্যসাচী দত্তও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছেন তাঁর প্রচেষ্টাতেই। এমনকি শীলভদ্র দত্ত, সুনীল মণ্ডলকেও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আনার পেছনে নেপথ্যে কাজ করেছেন মুকুল রায়। এ প্রসঙ্গে মুকুল রায় জানিয়েছেন যে, দল ভাঙানোকে তিনি রাজনীতির অঙ্গ বলেই মনে করে থাকেন। এ বিষয় নিয়ে কোনোরকম গোপনীয়তা রাখতে চান না তিনি। সূত্রের খবর, তৃণমূলের একাধিক নেতা নেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন মুকুল রায়। বারবার তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের মন বোঝার চেষ্টা করেন তিনি।

দলের বিরুদ্ধে তাঁদের কোনরকম ক্ষোভ দেখতে পেলেই তাঁকে দল ছেড়ে বিজেপিতে আসার বুদ্ধি দেন তিনি। জানা গেছে তৃণমূলের বেশ কিছু হেভি ওয়েটের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন মুকুল রায়। শতাব্দী রায় দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতেই তাকে কুনাল ঘোষের সামনেই ফোন করেছিলেন তিনি।
অনেকেই মনে করছেন, একসময় তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড ছিলেন মুকুল রায়। তৃণমূল দলের বিস্তারের যথেষ্ট সাহায্য করেছিলেন তিনি।

এরপর দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়। ক্ষোভের কারণে দল ছাড়েন তিনি। এবার পূর্ব দলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতেই দলে ভাঙ্গন ঘটাচ্ছেন বলে অনেকে মনে করছেন অনেকে। তবে, সম্প্রতি শুধু মুকুল রায়ই নন, শুভেন্দু অধিকারীও হয়ে উঠেছেন তৃণমূলের একজন বড়োসড়ো মাথা ব্যথার কারণ।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!