কেন রাজ্যসভার সাংসদ পদ ও দলের সদস্য পদ থেকে আচমকা ইস্তফা দীনেশ ত্রিবেদীর? জেনে নিন তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য February 12, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে আবার বড়োসড়ো ঝটকা রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের। একাধারে রাজ্যসভার সাংসদ পদ ও দলের সদস্য পদ থেকে আচমকা ইস্তফা দিলেন দীনেশ ত্রিবেদী। তাঁর বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা ক্রমশ বাড়ছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে, তৃণমূল ছেড়ে দিলেও রাজনীতি থেকে তিনি অবসর নিচ্ছেন না। ইস্তফা দেওয়ার পর দীনেশ ত্রিবেদী জানালেন যে, দলে থেকে তিনি কাজ করতে পারছিলেন না। তাঁর দম বন্ধ হয়ে আসছিল। তিনি তাঁর অন্তরাত্মার কথা শুনেছেন। আর চুপ করে থাকা তাঁর পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না। এজন্যই তিনি এমন একটি সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি জানালেন যে, চারদিকে রাজনৈতিক হিংসা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। গণতন্ত্রে আঘাত করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বারবার এই কথা বলেছেন। তিনি কী করবেন তা তিনি বুঝতে পারছিলেন না। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - দীনেশ ত্রিবেদী আরও জানালেন যে, দলে থেকে কিছুই তিনি করতে পারছিলেন না। চুপচাপ দেখা ছাড়া তাঁর আর কোন উপায় ছিল না। রবীন্দ্রনাথ, নেতাজির মাটি হলো তাঁর জন্মভূমি। এখানে থেকে কিছু বলতে বা করতে না পারলে সরে যাওয়াটাই ভালো বলে মনে করছেন তিনি। তিনি জানালেন, বাংলায় ফিরে বাংলার মানুষের পাশে থাকবেন তিনি। আজ রাজ্যসভায় একেবারে অকস্মাৎ তিনি ইস্তফা দিলেন। যার ফলে বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে যথেষ্ট বেকায়দায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। এ প্রসঙ্গে দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় জানালেন যে, আগে অভিযোগের কথা কিছুই জানাননি দীনেশ ত্রিবেদী। তাঁর এই সিদ্ধান্ত গ্রহণে তিনি দুঃখিত। আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবে তৃণমূল। ভোটের মুখে তাঁর এটা করা উচিত হয়নি বলে জানালেন তিনি। অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন যে, বিজেপিতে এলে তাঁকে তিনি স্বাগত জানাবেন। তৃণমূল দলে সকলকেই দমবন্ধ অবস্থায় থাকতে হয় বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। প্রসঙ্গত দীর্ঘ সময় ধরে তৃণমূল দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন দীনেশ ত্রিবেদী। ১৯৯৮ সাল থেকে তিনি তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর পূর্বে তিনি যুক্ত ছিলেন কংগ্রেসের সঙ্গে। আপনার মতামত জানান -