এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ফের রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত আসন্ন, পাহাড় নিয়ে ক্রমশ জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি?

ফের রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত আসন্ন, পাহাড় নিয়ে ক্রমশ জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –বুধবার বিকেলেই দিল্লি উড়ে গিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। যেখানে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। আর সেই বৈঠকের পরই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের সাংবিধানিক প্রধান।

জানা গেছে, দিল্লি সফর থেকে ফিরেই প্রায় এক মাসের জন্য পাহাড় সফরে যাচ্ছেন জগদীপ ধনকর। স্বাভাবিকভাবেই তার এই সফরকে কেন্দ্র করে এবার নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। রাজ্যপালের এই সফরের মধ্যে কোনো রকম রাজনৈতিক ইঙ্গিত রয়েছে কিনা, তা নিয়ে বিস্তর জল্পনা তৈরি হতে শুরু করেছে। জানা গেছে, রাজ্যপালের এই দার্জিলিং সফরকে খুব একটা ভালো চোখে দেখছে না রাজ্য প্রশাসন। স্বভাবতই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবার নতুন করে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সম্পর্কের অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

যদিও বা রাজ্য প্রশাসনের একাংশ রাজ্যপালের এই সফরকে ভালো চোখে না দেখলেও, তাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এদিন তিনি বলেন, “আমি দার্জিলিং যেতেই পারি। এর আগেও তিনবার উত্তরবঙ্গে গিয়েছি। প্রশাসনকে চিঠি দিলে উত্তর পাওয়া যায় না। তাই কাজ করার জন্য, মানুষের মন বোঝার জন্য উত্তরবঙ্গে যেতে চাই। সেখানকার মানুষের কথা শুনতে চাই।” অর্থাৎ রাজ্য প্রশাসন এই ব্যাপারে সহমত না হলেও, রাজ্যপাল যে কারও কথা শুনবেন না, তা কার্যত নিজের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে পরিষ্কার করে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের সাংবিধানিক প্রধান।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশ বলছেন, রাজ্যপালের সঙ্গে এই ব্যাপারে রাজ্য প্রশাসনের যেমন তীব্র দ্বৈরথ সৃষ্টি হতে পারে, ঠিক তেমনই এই গোটা ঘটনায় কেন্দ্র বনাম রাজ্যের মধ্যে দূরত্ব ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে পারে। কেননা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরই রাজ্যে ফিরে পাহাড় সফর করবেন রাজ্যপাল। স্বাভাবিকভাবেই এই গোটা ঘটনায় রাজ্যের শাসকদলের ঘনিষ্ঠ অনেকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের দিকে অভিযোগ তুলতে শুরু করেছেন। যার ফলে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।

অনেকে বলছেন, সম্প্রতি পাহাড়ের রাজনীতিতে কিছুটা হলেও পরিবর্তন এসেছে। এতদিন বিমল গুরুং বিজেপির দিকে থাকলেও, সম্প্রতি এনডিএ ত্যাগ করে তিনি তৃণমূলের পাশে থাকার কথা বলেছেন। সেদিক থেকে বিমল গুরুং যদি তৃণমূলে সক্রিয় হতে শুরু করেন, তাহলে বিনয় তামাংয়ের গোষ্ঠী তার বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করবে। যার ফলে নতুন করে পাহাড়ে আশঙ্কার মেঘ ঘনীভূত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

সেদিক থেকে বিধানসভা নির্বাচনের আগে যদি পাহাড় অশান্ত হয়ে পড়ে, তাহলে বিজেপি এই গোটা ঘটনাকে নিয়ে ফায়দা তুলতে পারে এবং চাপে পড়তে পারে তৃণমূল কংগ্রেস বলে দাবি একাংশের। তাই এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের দার্জিলিং সফর নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। যদি রাজ্যপাল সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে পাহাড়ের শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে এমনটা বুঝতে পারেন, তাহলে তিনি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট পেশ করবেন বলেও আশঙ্কা করছেন একাংশ। যার ফলে রাজ্য সরকার আরও চাপে পড়তে পারে। সব মিলিয়ে রাজ্যপালের এই সফরকে কেন্দ্র করে এবার ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!