এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কেন্দ্র টাকা দিলেই নবম-দশমের ছাত্রছাত্রীদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দিতে চান শিক্ষামন্ত্রী

কেন্দ্র টাকা দিলেই নবম-দশমের ছাত্রছাত্রীদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দিতে চান শিক্ষামন্ত্রী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি কেন্দ্রের নতুন শিক্ষানীতি নিয়ে শুরু হয়েছে দেশজুড়ে আলোচনা। বিভিন্ন রাজ্যের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন শিক্ষানীতি কিভাবে কাজ করবে তা নিয়েও চলছে পর্যালোচনা সর্বক্ষেত্রে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষানীতি কিভাবে প্রয়োগ হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এদিন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বিভিন্ন মতামত দিলেন সংবাদমাধ্যমে। করোনা পরিস্থিতি চলছে দেশজুড়ে। তার মধ্যেই এবার স্কুল খোলার ব্যাপার নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

কিন্তু এদিন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় পরিষ্কার করে জানিয়ে দিলেন, করোনা পরিস্থিতি না কাটা পর্যন্ত কোন স্কুল খুলবে না। এক্ষেত্রে তিনি জানিয়েছেন, স্কুল কবে খুলবে সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রীসভা। এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, অনলাইনে রাজ্যজুড়েই পড়াশোনা চলছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও। তবে প্রশ্ন উঠেছে, রাজ্যের সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের কি ইন্টারনেট সহযোগে অ্যানড্রয়েড ফোন ব্যাবহার করার মতন অবস্থা আছে?

আর এর উত্তরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর দায় চাপিয়ে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের বকেয়া 2300 কোটি টাকা দিয়ে দিলেই নবম ও দশম শ্রেণীর সমস্ত পড়ুয়াকে স্মার্ট ফোন দেওয়া হবে। মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এহেন বক্তব্য ঘিরেই শুরু হয়েছে জল্পনা। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন শিক্ষানীতি নিয়েও তিনি প্রবল সমালোচনা করেছেন এদিন এবং জানিয়েছেন, নতুন শিক্ষানীতি লাগু হলে রাজ্য সরকারগুলির উপর নতুন করে আর্থিক বোঝা চাপবে।

পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, করোনা পরিস্থিতিতে কোনো আলোচনা ছাড়া নতুন শিক্ষানীতি কিভাবে মন্ত্রীসভা থেকে পাস হলো? তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের বেসরকারিকরণের নীতি নিয়েও চূড়ান্ত কটাক্ষ করেছেন। অন্যদিকে ইউজিসি নির্দেশ দিয়েছে, আগামী 30 সেপ্টেম্বরের মধ্যে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে চূড়ান্ত বার্ষিক পরীক্ষা নিতে হবে। যদিও এই নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতে একটি মামলা চলছে বলে জানা যায়। এখনো তার রায় ঘোষণা হয়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে এ প্রসঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রী জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি আগের পরীক্ষার ফল মূল্যায়ন করে তার ওপরেই চূড়ান্ত বছরের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে পারে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। অন্যদিকে সম্প্রতি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রকের পক্ষ থেকে কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে আবেদন ফি মকুব করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন জানিয়ে দেন, যেসব কলেজ সরকারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগেই আবেদন ফি জমা নিয়েছে, তাঁদেরকে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হবে।

এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিশ্বভারতীর পাঁচিল ভাঙ্গা প্রসঙ্গেও কথা বলেন। তাঁর মতে, রবীন্দ্রনাথের হাতে গড়া বিশ্বভারতী বরাবরই উন্মুক্ত স্থান হিসেবে পরিচিত। সে জায়গায় পাঁচিল তোলার আগে অবশ্যই উপাধ্যক্ষের সবার মতামত নেওয়া উচিত ছিল। অন্যদিকে স্কুল খোলার ব্যাপারে নিত্যদিন আলোচনা চললেও অভিভাবকরা এই মুহূর্তে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে পাঠাতে মোটেই রাজি নয়। আর তা বহু সমীক্ষায় উঠে এসেছে বলে জানা যাচ্ছে।

তবে শিক্ষামন্ত্রীর ফোন প্রসঙ্গ নিয়ে এদিন শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা। শহরাঞ্চলের ছাত্রছাত্রীরা অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সুবিধা পেলেও গ্রামাঞ্চল থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামে এখনও পর্যন্ত বিদ্যুতই যায়নি তো ইন্টারনেট অনেক দূরের কথা। আর ইন্টারনেট থাকলেও মেলেনা কানেকশন। যেখানে দুবেলা খাবার জোটাতে হিমশিম খাচ্ছে নিম্নবিত্তের মানুষরা তাঁদের কাছে অ্যান্ড্রয়েডের ফোন থাকা তো দুর অস্ত বলে দাবী করছেন পর্যবেক্ষকরা। এই অবস্থায় আগামী দিনে ছাত্র ছাত্রীদের কথা চিন্তা করে শিক্ষা দপ্তর কি সিদ্ধান্ত নেয়, সে দিকেই এখন নজর সবার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!