এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কেন্দ্রের নয়া তিন কৃষি আইন বাতিল করা না হলে আরও বড়োসড়ো আন্দোলনের হুমকি বিক্ষুব্দ কৃষকদের

কেন্দ্রের নয়া তিন কৃষি আইন বাতিল করা না হলে আরও বড়োসড়ো আন্দোলনের হুমকি বিক্ষুব্দ কৃষকদের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত সেপ্টেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় সরকার প্রবর্তিত নয়া তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বিক্ষোভ চলছে দেশের একাধিক স্থানে। দিল্লি ও দিল্লির নিকটস্থ বেশ কিছু অঞ্চলে বিক্ষুব্দ কৃষকদের আন্দোলন এক মাস অতিক্রম করেছে। দিল্লির প্রবল শীতকে উপেক্ষা করেই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ কৃষকেরা। এই পরিস্থিতিতে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসে মধ্যস্থতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

বিক্ষুব্দ কৃষকদের সঙ্গে কেন্দ্রের বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছে। কিন্তু তাতে সমস্যার কোন সমাধান হয়নি। বিক্ষুব্ধ কৃষকেরা নয়া তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন জারি রেখেছেন। এই আইন বাতিল চান তারা। এই পরিস্থিতিতে আগামী ২৯ তারিখ কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছেন বিক্ষুব্ধ কৃষকেরা। ইতিপূর্বে পাঁচবার কৃষক নেতাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের আলোচনা হয়েছে। কিন্তু এর পরেও মেটানো যায় নি কৃষকদের ক্ষোভ। তাঁরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন যদি বাতিল করা না হয়, তবে আগামী ৩০ তারিখ সিঙ্ঘু সীমানা থেকে ট্রাক্টর মার্চ করবেন বিক্ষুব্ধ কৃষকেরা।

কেন্দ্রের নয়া তিন কৃষি আইনের মধ্যে রয়েছে অত্যাবশ্যক পণ্য আইন। যেখানে বলা হয়েছে যে, যুদ্ধকালীন অবস্থা বাদ দিলে অন্যান্য সময়ে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো কৃষি পণ্য মজুত রাখতে পারবে। আবার, এই আইনের মধ্যে রয়েছে খামার চুক্তি পরিষেবা আইন। যেখানে চুক্তিচাষকে গুরুত্ব দেওয়া হলেও, একজন কৃষক কিভাবে তাঁর ন্যায্য মূল্য পাবেন? সে কথা বলা হয়নি। এছাড়াও রয়েছে ব্যবসায়ীর কাছে কৃষকের ফসল বিক্রির আইন। কিন্তু মান্ডি থেকে ফসল কিনতে হলে যে নূন্যতম সহায়ক মূল্য কৃষকদের দেয়া হতো, তার কথা এখানে জানানো হয়নি। এই আইন গুলি বাতিল করার দাবি করেছেন বিক্ষুব্ধ কৃষকেরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ প্রসঙ্গে কৃষক নেতা দর্শন লাল জানিয়েছেন যে, আগামী ২৯ তারিখে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার পর কেন্দ্রীয় সরকার যদি এই বিতর্কিত আইন বাতিল না করে তবে কুণ্ডলী,মানেসর,পালওয়াল হাইওয়েতে পরদিন অর্থাৎ ৩০ সে ডিসেম্বর ট্রাক্টর মার্চ করতে চলেছেন কৃষকেরা। দিল্লি ও দিল্লির নিকটস্থ অঞ্চলের সকলকে তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়ে নতুন বছর উদযাপন করার আহ্বান জানালেন তিনি।

অন্যদিকে, ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের মুখপাত্র রাকেশ টিকাইত অভিযোগ করেছেন যে, তাঁকে হত্যার হুমকি দিয়ে বিহার থেকে একটি ফোন এসেছে। তিনি এই ফোনের কল রেকর্ড করে তা জানিয়েছেন পুলিশকে। এদিকে, আগামিকাল মহারাষ্ট্রের সাঙ্গোলা থেকে পশ্চিমবঙ্গের শালিমার পর্যন্ত কিষান রেলের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্স করে। আবার বড়দিনের দিন কৃষকদের জন্য অর্থসাহায্য ও নয়া কৃষি আইনের পক্ষে বক্তব্য রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে, এরপরও ক্ষোভ মেটেনি কৃষকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!