কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ কতটা সত্যি? তদন্ত শুরু বিজেপির! উত্তরবঙ্গ বিজেপি রাজনীতি রাজ্য July 30, 2021 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে বিতর্কের মুখে পড়ে গিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বারলা। প্রথমে উত্তরবঙ্গ ভাগের দাবি, পরবর্তীতে সরকারি জায়গা দখল এবং তারপর ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আড়াল করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্যের বিরুদ্ধে এই ধরনের লাগাতার অভিযোগ ওঠায় রীতিমতো চাপের মুখে পড়ে গিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তাই এবার পরিস্থিতি সামাল দিতে গোটা বিষয়টি খোঁজ নিতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। পরিস্থিতি যাতে কোনোভাবেই প্রতিকূলে চলে না যায় এবং মানুষের মনে যাতে বিজেপির বিরুদ্ধে কোনো প্রতিক্রিয়া তৈরি না হয়, তার জন্যই গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপ নেওয়া হল বলেই মনে করছেন একাংশ। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই রাজ্য নেতৃত্বে নির্দেশে নাগরাকাটা এবং মালবাজারে গিয়েছেন আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপির সভাপতি বাপি গোস্বামী। যেখানে সাধারন মানুষের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গেও আলোচনা করতে দেখা যাচ্ছে তাকে। অর্থাৎ কোনভাবেই যাতে পরিস্থিতি তাদের বিপক্ষে না যায়, তার জন্য এখন থেকেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পড়ল ভারতীয় জনতা পার্টি। বস্তুত, সম্প্রতি এক মহিলা অভিযোগ করেন যে, এক ধর্ষণকারীকে আড়াল করবার জন্য চাপ দিচ্ছেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলা। আর তারপর থেকেই রীতিমতো চাপের মুখে পড়ে যায় ভারতীয় জনতা পার্টি। যেখানে প্রতি মুহূর্তে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নানা অন্যায়মূলক কাজের প্রতিবাদ করতে দেখা যায় গেরুয়া শিবিরকে, সেখানে তাদের দলের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ যে শাসক শিবিরের হাতে বাড়তি হাতিয়ার তুলে দেবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই এই পরিস্থিতিতে বিতর্ককে প্রথম থেকেই সামাল দিতে এই সুকৌশলী পদক্ষেপ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পর্যবেক্ষকদের মতে, সামনেই 2024 এর লোকসভা নির্বাচন। তার আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার সম্প্রসারণ করেছেন নরেন্দ্র মোদী। যেখানে বাংলা থেকে চারজন সাংসদকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় যুক্ত করেছেন তিনি। আর এই চার জন সাংসদের মধ্যে দুজন সাংসদ উত্তরবঙ্গের। তবে প্রথম থেকেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন জণ বারলা। আর এবার ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আড়াল করার চেষ্টার যে অভিযোগ তার বিরুদ্ধে উঠেছে, তাতে যে তিনি আরও ব্যাকফুটে পড়ে গেলেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে, তৃণমূলের পক্ষ থেকে যে পাল্টা বিজেপিকে কটাক্ষ করা হবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত ছিল গেরুয়া শিবির। আর সেই কারণেই গোটা বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে চূড়ান্ত বিষয়ে পৌঁছতে চাই ভারতীয় জনতা পার্টি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, দলীয় স্তরে এই ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়ার পর বিজেপির পক্ষ থেকে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -