এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > ভুয়ো ইডির ফাঁদে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা, খোয়ালেন টাকা, উঠছে বড়সড় প্রশ্ন!

ভুয়ো ইডির ফাঁদে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা, খোয়ালেন টাকা, উঠছে বড়সড় প্রশ্ন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যজুড়ে একসময় সারদা থেকে নারদা, রোজভ্যালি থেকে পিনকন প্রতিটি ঘটনাতেই আর্থিক কেলেঙ্কারির যোগসূত্র পাওয়া গেছে। আর সেখান থেকেই নাম এসেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাসংস্থা ইডির। কিন্তু কেউ বোধহয় স্বপ্নেও ভাববে না ইডির নাম নিয়ে প্রতারণা চক্র চালিয়ে নিয়ে যাবার। কিন্তু এরকমটাই ঘটেছে মালদা শহরে। এক ব্যক্তির প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে মালদার তৃণমূল নেতা সহ বেশ কয়েকজন চূড়ান্ত আর্থিকভাবে প্রতারিত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

ইতিমধ্যে পুলিশেও অভিযোগ করা হয়েছে বলে খবর। ইডির নাম নিয়ে মালদা জেলার তৃণমূল টাউন যুব সভাপতি শুভ্রদীপ দাসকে মোবাইলে মেসেজ করে দুর্নীতি সংক্রান্ত ব্যাপারে ভয় দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাওয়া হয়। তড়িঘড়ি সুব্রত দাস ওই ব্যক্তিকে ফোন করেন বলে জানা গেছে এবং তখনই প্রতারণার ফাঁদে পা দেন তিনি। উক্ত ব্যক্তি কলকাতার ইডির দপ্তরের বাইরে দেখা করতে বলেন শুভ্রদীপকে। শুভ্রদীপ যান এবং ওই ব্যক্তি দেখা করে 2 লক্ষ 45 হাজার টাকা দাবি করেন।

কিন্তু সেই সময় শুভ্রদীপ টাকা না থাকায় ফিরে আসেন মালদায় এবং পরবর্তীতে ওই ব্যক্তির হাতে 2 লক্ষ 45 হাজার টাকা তুলে দেন। আর এর পরেই আসল সত্য প্রকাশ্যে আসে। শুভ্রদীপ জানিয়েছেন, ছ মাস পরে জানা যায়, উক্ত ব্যক্তি এভাবেই আরো বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে টাকা আদায় করেছে। খোঁজখবর নিয়ে জানা যায় দমদমের বাসিন্দা প্রতারক যুবকের শ্বশুরবাড়ি হচ্ছে মালদায় এবং সেখান থেকেই সে সমস্ত খবর নিত। পুলিশে অভিযোগ জানানোর পর অভিযুক্ত প্রতারক শুভ্রদীপকে ফোন করে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনুরোধ করে, টাকা ফিরিয়ে দেবে কিন্তু পুলিশে যেন কোন অভিযোগ না জানানো হয়। কিন্তু কিছুদিন পর থেকেই দেখা যায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই প্রতারক ব্যক্তি তৃণমূল নেতা শুভ্রদীপ দাস এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম অপপ্রচার চালাচ্ছে। আর তারপরেই সোজা থানায় অভিযোগ করেন ওই তৃণমূল নেতা। এ প্রসঙ্গে জেলার অন্য আরেকজন তৃণমূল নেতা নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি জানিয়েছেন, শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলের নয়, সাধারণ মানুষকেো ইডির ভয় দেখিয়ে ওই প্রতারক টাকা তুলেছে। অন্যদিকে জেলার বিজেপির নেতা গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল এ ব্যাপারে তৃণমূলের সুরে সুর মিলিয়ে জানিয়েছেন, ”কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার নামে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে অভিযুক্ত। এখনই ওকে গ্রেফতার করা উচিত।”

অন্যদিকে মালদার পুলিশ সুপার অলক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, অভিযোগ অনুযায়ী পুরো ব্যাপারটি তদন্তসাপেক্ষ। তবে এখনো পর্যন্ত উক্ত অভিযুক্ত পুলিশের হাতে ধরা পড়েনি বলে খবর। অন্যদিকে শুভ্রদীপ দাস এর ব্যাপারেো প্রশ্ন উঠেছে। যদি কোন রকম অন্যায় কিছু না করে থাকেন শুভ্রদীপ, তাহলে তিনি এত টাকা এক কথায় কেন দিয়ে দেবেন কাউকে না চিনে, না খোঁজখবর নিয়ে? আর এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে তীব্র গুঞ্জন। আপাতত উক্ত প্রতারক ধরা পড়ার অপেক্ষায়। আর মনে করা হচ্ছে, তার পরেই আসল ব্যাপার সামনে আসবে। আপাতত পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!