এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে একের পর এক গুরুতর অভিযোগ, তীব্র অস্বস্তি বিজেপির

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে একের পর এক গুরুতর অভিযোগ, তীব্র অস্বস্তি বিজেপির


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সদ্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদল বা সম্প্রসারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বহু নতুন মুখ স্থান পেয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার মোট ৭৮ জন সদস্যের মধ্যে ৩৩ জন সদস্যের বিরুদ্ধে রয়েছে একের পর এক অভিযোগ। যা শতাংশের বিচারে ৪২ শতাংশ। আবার ২৪ জন সদস্যের বিরুদ্ধে আছে গুরুতর অভিযোগ। নয়া মন্ত্রিসভা গঠনের পরই এমন অভিযোগ ওঠায়, অস্বস্তি বেড়েছে গেরুয়া শিবিরে।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছে। এই সংস্থা নির্বাচনী হলফনামার ভিত্তিতে প্রকাশিত তথ্য থেকে তাদের রিপোর্ট সামনে এনেছে। তাদের এই রিপোর্টে জানানো হয়েছে যে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার ৪২% সদস্যর হলফনামায় তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধমূলক মামলা রয়েছে। ৩১ % মন্ত্রীর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, ডাকাতির মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।

কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা অনুসারে খুনের অভিযোগ রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ১১ টি মামলা রয়েছে। যার মধ্যে বেশ কিছু রয়েছে গুরুতর। আবার, আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লার বিরুদ্ধেও ৯ টি মামলা রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ। খুনের চেষ্টার অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ নম্বর ধারায় উত্তরপ্রদেশের সাংসদ পঙ্কজ চৌধুরী মহারাষ্ট্রের সাংসদ ভি মুরলীধরনের বিরুদ্ধেও মামলা রয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আবার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় মদত দেয়ার অভিযোগ রয়েছে কিছু শীর্ষস্থানীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এছাড়াও রয়েছেন গিরিরাজ সিং, শোভা কারান্দলাজে, নিত্যানন্দ রাই, প্রহ্লাদ যোশীর। আবার বেশকিছু মন্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্বাচনের সময় হিংসা ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যাদের মধ্যে আছেন নিতিন গডকড়ি, সত্যপাল সিং বাঘেল, গিরিরাজ সিং, পঙ্কজ চৌধুরী, অশ্বিনী কুমার চৌবে, ভাগ্যনাথ খুবা, কৌশল কিশোর প্রমুখরা।

আবার, মন্ত্রিসভার ৭৮ জন মন্ত্রীর মধ্যে ৭০ জন মন্ত্রী হলেন বিপুল সম্পত্তির অধিকারী। দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার মন্ত্রীরা গড়ে ১৬.২৪ কোটি টাকার সম্পত্তির অধিকারী। আবার ৪ জন মন্ত্রী রয়েছেন যাদের সম্পত্তি ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি। তাঁরা হলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, পীযূষ গোয়েল, নারায়ণ রাণে, রাজীব চন্দ্রশেখর প্রমুখরা। এভাবে মন্ত্রিসভা গঠনের পরই অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস এর এই তথ্য অস্বস্তিতে ফেলেছে গেরুয়া শিবিরকে।

তবে, একথাও ঠিক যে সমস্ত দলের মধ্যেই কমবেশি এই বিষয়টি রয়েছে। রাজনৈতিক জগতে এমন মানুষ খুব কমই রয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই, কোন কলঙ্কও নেই। আবার, রাজনীতির কারবারিদের বিপুল ধন সম্পত্তির মালিক হয়ে ওঠা, কোন নতুন বিষয় নয়, শুধু বিজেপি কেন? সমস্ত দলের মধ্যেই যা দেখা যায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!