এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > কেন্দ্রীয় নীতিকে ছুঁড়ে ফেলে সিঙ্গুরের হাত ধরে নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে বড়সড় পদক্ষেপ মমতার?

কেন্দ্রীয় নীতিকে ছুঁড়ে ফেলে সিঙ্গুরের হাত ধরে নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে বড়সড় পদক্ষেপ মমতার?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিগত বাম আমলে কৃষকদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখার আন্দোলন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতার অলিন্দে পৌঁছে দিয়েছিল। সিঙ্গুরে বাম সরকারের বিরুদ্ধে 26 দিন অনশন- আন্দোলন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেসকে গোটা বাংলার কাছে নতুনভাবে গ্রহণযোগ্য করে তোলে। যার ফলে 34 বছরের বাম সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে 2011 সালে নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুর সহ একাধিক ইস্যুর জন্য ক্ষমতা দখল করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস।

আর এক সময় বাম আমলে সিপিএমের অস্বস্তি এই ইস্যুর মধ্যে দিয়ে বৃদ্ধি করা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কৃষক বিরোধী অভিযোগকে কাজে লাগিয়ে নতুন করে দলকে আন্দোলনে নামার নির্দেশ দিয়েছেন। যার অঙ্গ হিসেবে এদিন সিঙ্গুর কলেজের সামনে সিঙ্গুর ট্রমা সেন্টারের পাশে বেড়ের জমিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়। সূত্রের খবর, এদিনের এই কর্মসূচিতে যোগ দেন কিষান ক্ষেতমজুর তৃণমূল সভাপতি তথা বিধায়ক বেচারাম মান্না। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারেননি তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কিন্তু সশরীরে তিনি এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকতে না পারলেও, বিধায়ক বেচারাম মান্নার ফোন মারফত এদিনের সভায় উপস্থিত সমস্ত কৃষক সম্প্রদায়ের মানুষ এবং দলের কৃষক সংগঠনের কর্মীদের বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় তৃণমূল নেত্রীকে।

 

এদিন নিজের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপি ফড়েদের নিয়ন্ত্রণ করছে‌। চাষিদের থেকে আলু, পিয়াজ কম দামে কিনে বিদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে। তাতেই আলু পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। এর জন্য দায়ী কেন্দ্রীয় সরকার। সবই যদি বাংলায় তৈরি হয়ে বাইরে চলে যায়, তবে দেশের লোকেরা খাবে কি! বড় কেলেঙ্কারি করছে কেন্দ্র। আমরা এর প্রতিবাদ করছি। আঙ্গুর ফল টক। বিজেপি আঙ্গুর ফলের কথা বলবে। ওদের কাছে যাবেন না। মরলে আমি মরব‌। জীবন দান করতে হলে তাও আমরাই করব। ছোটখাটো ভুলত্রুটি এলাকায় কেউ করলেও, তা সংশোধন করতে হবে। যে কোনো মানুষমাত্রেই ভুল হয়। সেটাকে সংশোধন করে নিতে হবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক সময় এই সিঙ্গুর থেকেই নিজের রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তখন তার লড়াই ছিল বাম তৎকালীন সরকারের বিরুদ্ধে। আর এখন সামনের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি যখন রাজ্য ক্রমশ তাদের শক্তি বাড়াতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই কেন্দ্রের কৃষক বিরোধী নীতিকে সামনে রেখে সেই সিঙ্গুরের মাটি থেকেই আবার নিজেদের কৃষক বিরোধী মনোভাব প্রকাশ করার চেষ্টা করলেন তৃণমূল নেত্রী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিকে এদিন বেচারাম মান্নার ফোন মারফত বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিঙ্গুরের শিল্প সম্ভাবনা নিয়েও মন্তব্য করতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বলেন, “আমি মনে করি সিঙ্গুরের মানুষ একদিকে কৃষি, আরেকদিকে হাইওয়ে ধরে শিল্প তৈরি হোক। তাতে এলাকার উন্নত হবে। সিঙ্গুরে agro-industrial পার্ক হচ্ছে। জায়গা নির্বাচন করেছি। অ্যাগ্রো-প্রসেসিং কৃষিজাত পণ্য নিয়ে কাজ করবে। বহু মানুষের চাকরি হবে।”

এদিকে এদিন তৃণমূলের এই কর্মসূচিতে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন আইনুল হক এবং ডাঃ রেজাউল করিম। অর্থাৎ একদিকে কৃষক সংগঠনের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে সিঙ্গুরের মাটি থেকে তৃণমূলের প্রতিবাদ এবং অন্যদিকে বিজেপির হেভিওয়েট নেতাদের যোগদান করিয়ে গেরুয়া শিবিরকে রীতিমত কোণঠাসা করার চেষ্টা করলেন ঘাসফুল শিবিরের নেতারা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে সিঙ্গুরের মাটিতে আবার বিজেপি বিরোধী মনোভাব নিয়ে তৃণমূলের এই কর্মসূচি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে শাসক দলকে কতটা স্বস্তি দেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!