মোদীর এক প্যাঁচেই দিশেহারা! ভারতের সঙ্গে ‘পাঙ্গা’ নিয়ে লালফৌজের ক্ষতির বহর শুনে চমকে যাবেন! জাতীয় বিশেষ খবর July 4, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত ভারতের বুকে নিষিদ্ধ হয়ে গেছে একগুচ্ছ চিনা অ্যাপ। যার মধ্যে জনপ্রিয়তার নিরিখে সর্বোচ্চ স্থানে থাকা টিকটক অন্যতম। টিকটক এর মাধ্যমে এতদিন সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রিটি- প্রত্যেকেই নিজের মতন করে বিনোদন জগতে পা রেখেছিল। এই অবস্থায় টিকটক বন্ধ হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে অনেক জায়গায়। কিন্তু নিরাপত্তার খাতিরে ভারত সরকার চীনা অ্যাপ ব্যান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বলে জানা যাচ্ছে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সদ্য ভারত-চীন সীমান্ত ঘিরে আন্তর্জাতিক উত্তেজনা। টিকটক এর উপর অনেকদিন ধরেই অভিযোগ করা হচ্ছিল, তাঁরা সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য বিদেশে পাচার করছে। সেই অভিযোগ ক্রমশ আরো শক্তিশালী হচ্ছিল। যার ফলে ভারত সরকার এবার পাকাপাকি সিদ্ধান্ত নেয় চিনা অ্যাপগুলি বন্ধ করার। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, চীনের আগ্রাসী মনোভাবের জবাব দেওয়ার জন্য অর্থনৈতিকভাবে চীনকে দুর্বল করার উদ্দেশ্যে ভারতের এই কড়া সিদ্ধান্ত। সূত্রের খবর ভারত যা চাইছিল ঠিক সেটাই হয়েছে। এই মুহূর্তে একটি রিপোর্ট এসেছে ভারত সরকারের হাতে, যেখানে স্পষ্ট টিকটক বন্ধ হওয়ার ফলে চিনা সংস্থা বাইটডান্স লিমিটেড প্রবল ক্ষতির মুখে পড়েছে। এই বাইটডান্স লিমিটেডের আরও দুটি অ্যাপ হল হ্যালো ও ভিভা ভিডিও। দেখা যাচ্ছে, মোট তিনটে অ্যাপ এই সংস্থার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে, প্রায় 6 বিলিয়ন ডলারের ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে বাইটডান্স লিমিটেড সংস্থা। ভারতে কিন্তু বরাবর টিকটক অ্যাপটি প্রবলভাবে ডাউনলোড হত গ্রাহকদের মোবাইলে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এ বছরেও প্রথম তিন মাসে 611 মিলিয়ন সংখ্যক ডাউনলোড হয়েছিল টিকটক ভারতে। এই অবস্থায় অ্যাপ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যেভাবে বাইটডান্স লিমিটেড সংস্থা প্রবল ক্ষতির মুখে পড়েছে ঠিক সেভাবেই সেখানে কর্মরত প্রায় 2 হাজার ভারতীয় গভীর সংকটে এই মুহূর্তে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে সাইবার বিশেষজ্ঞ থেকে অনেকেই জোর দিচ্ছেন, বিকল্প অ্যাপ ব্যবহারের ওপর। তবে টিকটক নিয়ে অনেকেই আওয়াজ তুলতে শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে। বিশেষজ্ঞদের মতে সম্প্রতি ভারত এবং চীনের মধ্যে যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে সে কথা মাথায় রেখে চীনা দ্রব্য বর্জন করার উপর এবং আত্মনির্ভর ভারত গড়ার ওপর জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। মূলত আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে চিনকে চাপে ফেলার জন্যই বাণিজ্যিকভাবে চীনকে এভাবে কোণঠাসা করল ভারত সরকার বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে ভারতীয় কোম্পানিগুলি বিনোদনের জন্য বেশ কয়েকটি অ্যাপ সর্বসাধারণের জন্য আনতে চলেছে। সুতরাং মনে করা হচ্ছে, বিনোদনের জগৎ কখনো ফাঁকা থাকবে না। সাধারণ মানুষের কথা ভেবে চিনা অ্যাপের পরিবর্তে ভারতীয় অ্যাপের এবার যাত্রা শুরু হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আপনার মতামত জানান -