এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > কেন্দ্রের তরফ থেকে নয়া নিয়ম জারি, আলাপনকে মুখ্য উপদেষ্টা করার পরেই বড় চাপ মমতার!

কেন্দ্রের তরফ থেকে নয়া নিয়ম জারি, আলাপনকে মুখ্য উপদেষ্টা করার পরেই বড় চাপ মমতার!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  সম্প্রতি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্র করে রাজ্য বনাম কেন্দ্রের দড়ি টানাটানি ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছিল। কলাইকুন্ডাতে দুর্যোগ-পরবর্তী বৈঠকের পর রাজ্য সরকারকে চাপে রেখে গত 31 মে অবসর নেওয়া আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে তার কর্মজীবনের শেষের দিন কেন্দ্রের চাকরিতে যোগদান করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোনোভাবেই যে রাজ্য ছাড়বে না, তা জানিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী কেন্দ্রের চাকরিতে যোগ না দিয়ে রাজ্যেই থেকে যান আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে 31 তারিখে অবসর নেওয়ার পর সেই আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরবর্তী তিন বছরের জন্য নিজের মুখ্য উপদেষ্টা পদে নিয়োগ করার কথা ঘোষণা করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরেই তৃণমূলের একাংশ দাবি করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রকে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে দড়ি টানাটানিতে কার্যত বড় জবাব দিয়ে দিলেন।

যার ফলে কেন্দ্র কিছুটা হলেও চাপের মুখে পড়ে গেল। তবে এভাবে একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্তাকে আবার টাকা দিয়ে নিয়োগ করা কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে বিরোধীরা। আর এই পরিস্থিতিতে এবার আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে অবসরের পর মুখ্য উপদেষ্টা করা হলে নতুন করে নিয়ম ঘোষণা করলো কেন্দ্রীয় সরকার।

যেখানে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কোনো আমলাকে সরকারি কাজে নতুন করে নিয়োগ করতে হলে ভিজিলান্স ছাড়পত্র লাগবে। স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্য আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্ঠা করার পরেই কেন্দ্র পাল্টা রাজ্যকে চাপে রাখতে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার ভিজিলান্স কমিশনের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। যেখানে জানানো হয়েছে, যদি কোনো সরকারি বা বেসরকারি পদে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি আমলাকে নিয়োগ করা হয়, তবে আগেভাগে এই ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। এক্ষেত্রে একটি বিজ্ঞাপন দিতে হবে। মূলত যে কোনো রাজ্য যাতে নিজেদের পছন্দের মত কোনো প্রশাসনিক কর্তাকে নিয়োগ করতে না পারে, তার জন্যই ভিজিলান্স কমিশনের এই নির্দেশিকা বলে মনে করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি একাংশ বলছেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে তার মুখ্য উপদেষ্টা করেছেন। যা কেন্দ্রের কাছে কিছুটা হলেও অস্বস্তিকর। বহু চেষ্টা করেও কেন্দ্র আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজেদের চাকরিতে যোগদান করানোর ইস্যুতে সফল হতে পারেনি। তাই এবার ভিজিলান্স কমিশনের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করে পরোক্ষে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিবকে মুখ্য উপদেষ্টা করার পরেই কমিশনের এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, ভিজিলান্স কমিশনের এই নির্দেশিকা যে আদতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে চাপে ফেলে দেওয়ার একটা অন্যতম উদ্দেশ্য, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কেন্দ্রীয় সরকার অনেক চেষ্টা করেছিল, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজেদের চাকরিতে যোগদান করিয়ে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়িয়ে দেওয়ার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার সাথে সাথেই তাকে পরবর্তী তিন বছরের জন্য নিজের মুখ্য উপদেষ্টা করে নেওয়ার কথা ঘোষণা করে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তারপর আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে এভাবে রাখা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছিল। আর এবার এই বিষয়ে যে ভিজিলান্স কমিশনের ছাড়পত্র প্রয়োজন, সেই নিয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করা হল। তবে কমিশনের পক্ষ থেকে এই নির্দেশিকাকে একাংশ স্বাগত জানালেও, কেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা করার পরেই এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল! তা নিয়ে প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণের অভিযোগ তুলছেন একাংশ।

অর্থাৎ তৃণমূল সরকারকে চাপে রাখতে ভিজিলান্স কমিশনের পক্ষ থেকে যে এই রকম নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত সমালোচক মহলের একাংশ। সব মিলিয়ে কমিশনের এই নির্দেশকে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকার কতটা চাপে পড়ে এবং তার ফলে কেন্দ্র বনাম রাজ্যের দ্বন্দ্ব আবার বৃদ্ধি পায় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!