কেন বারবার বন্যা কবলিত হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গ? কারণটি প্রকাশ্যে এনে গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী জাতীয় তৃণমূল বিজেপি বিশেষ খবর রাজনীতি রাজ্য October 1, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মাস দুয়েক আগেই বন্যার কবলে পড়েছিল দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা। এবার আবার বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। দক্ষিণবঙ্গের এই পরিস্থিতির জন্য ডিভিসির বিরুদ্ধে প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষুব্দ মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, দক্ষিণবঙ্গের এই বন্যা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ম্যান মেড। মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, ঝাড়খন্ড, বিহারে বন্যা হলে, তা সামাল দিতে হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গকে। ডিভিসি, পাঞ্চেত, মাইথন, তেনুঘাটে বাঁধ কর্তৃপক্ষ ড্রেজিং ঠিকমত করেনি, এ কারণেই দক্ষিণবঙ্গে বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, রাত তিনটের সময় না জানিয়েই জল ছেড়েছে ডিভিসি। পুজোর আগে বাংলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরী করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে, বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তিনি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রসঙ্গত, ঝাড়খন্ডে প্রবল বৃষ্টির ফলে ব্যাপক পরিমাণে জল ছেড়েছে ডিভিসি। জানা যাচ্ছে, পরশু দিন রাত থেকে এখনো পর্যন্ত ডিভিসি মোট ২ লক্ষ ৭৫ হাজার কিউসেক জল ছেড়ে দিয়েছে। যার ফলে পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূমের বিস্তীর্ণ এলাকা জল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, পরশুদিন রাতে ঝাড়খন্ডে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে, আসানসোলে ৩৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। রাত তিনটার সময় না জানিয়ে জল ছেড়ে দিয়েছে ডিভিসি। যার ফলে গোটা আসানসোল ডুবে গিয়েছিল। ঝারখন্ড, বিহারে যদি বৃষ্টি হয়, তবে ভুগতে হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গকে। বাঁধ, খালগুলো পরিষ্কার করলে সেগুলো জল ধরে রাখতে পারতো। বারবার প্রতিবাদ করেও কোন কাজ হচ্ছে না। জানা যাচ্ছে, আগামীকাল আকাশ পথে রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করতে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলির পরিস্থিতি আকাশপথে ঘুরে দেখতে চলেছেন তিনি আগামীকাল। মুখ্যমন্ত্রীর একাধিক বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন যে, জল ছাড়ার অনেক আগেই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে তা জানিয়ে দেয়া হয়েছিল। তিনি অভিযোগ করেছেন, আগে থেকে জানানো হলেও মুখ্যমন্ত্রী কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। আপনার মতামত জানান -