এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কেন ডিএমকে বৈঠকে ডাকেননি , জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

কেন ডিএমকে বৈঠকে ডাকেননি , জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বিভিন্ন বিষয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিমাতৃসুলভ আচারণ করার অভিযোগ তোলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বেশ কিছু জেলার জেলাশাসক এবং বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের একটি ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কিন্তু সেই বৈঠকের পর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, কাউকে বলতে দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি।

এক্ষেত্রে এটা বিভিন্ন রাজ্যের অপমান বলেও সোচ্চার হতে দেখা যায় তাকে। কিন্তু সত্যিই কি বাস্তব চিত্র এটা? নাকি এর পেছনে লুকিয়ে রয়েছে অন্য কোনো ঘটনা! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলতে না দেওয়ার অভিযোগ তোলার সাথে সাথেই এবার পাল্টা বিজেপির পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে অস্বস্তি বাড়িয়ে দেওয়া হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

মূলত, প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন জেলার জেলাশাসককেও এদিনের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে করোনা ভাইরাস নিয়ে উত্তর 24 পরগনার জেলাশাসককে কথাই বলতে দেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে অভিযোগ করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। স্বাভাবিক ভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলতে না দেওয়ার যে অভিযোগ তুলেছিলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর তা কার্যত ধোপে টিকল না বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

বস্তুত, এই ভার্চুয়াল বৈঠকে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও যে সমস্ত জেলায় করোনা ভাইরাস বাড়ছে, সেখানকার জেলাশাসকদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৈঠকের পর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, কাউকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। তাই তারাও অপমানিত বোধ করেছেন। কিন্তু বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অন্য দাবি করে বসলেন।

যেখানে উত্তর 24 পরগনার জেলাশাসককে কথাই বলতে না দিয়ে জেলাশাসকের থেকে তিনি বেশি জানেন বলে বৈঠকে দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিক ভাবেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই বক্তব্যে যে তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর অস্বস্তি যে অনেকাংশে বৃদ্ধি পেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। জানা যায়, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে সোচ্চার হওয়ার পর পাল্টা সরব হন বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদৃ এদিন তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং জেলাশাসকদের মধ্যে বৈঠক ডাকা হয়েছিল, ভালো কাজ নিয়ে আলোচনা করার জন্য। আর সেটা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যা করলেন, সেটা অশোভনীয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোটা আলোচনাকে ভুল পথে চালানোর চেষ্টা করেছেন। উত্তর 24 পরগনা জেলার জেলাশাসককে তিনি কোনো কথাই বলতে দেয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ডিএম কি জানে, আমি ওর থেকে বেশি জানি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বভাবতই বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই মন্তব্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকের পরই কথা বলতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন। এক্ষেত্রে তার বেশ কিছু বিষয় তুলে ধরার কথা থাকলেও, কাউকে কথা বলতে না দিয়ে অপমান করা হয়েছে বলে সোচ্চার হতে দেখা গিয়েছিল তাকে। স্বাভাবিক ভাবেই কেন তাহলে প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করলেন, তা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের পড়েই নানা মহলে প্রশ্ন করতে শুরু করেছিল।

কিন্তু বাস্তব বিষয়টা যে আলাদা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগের পরে তা তুলে ধরে তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে সরব হলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। যেখানে উত্তর 24 পরগনার জেলাশাসককে কথা বলতে দেওয়ার সময় বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। আর বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলার সাথে সাথেই একাংশ প্রশ্ন করছেন, কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এইরকম কাজ করলেন! তিনি মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন।

কিন্তু বিভিন্ন জেলার প্রশাসনিক কাজের দায়িত্ব তো সেই জেলার জেলাশাসকের। সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী বাস্তব তথ্য জানতে এই বৈঠক ডেকেছিলেন। সেক্ষেত্রে কেন জেলাশাসককে কথা বলতে বাধা দিয়ে তিনি “বেশি জানেন” বলে দাবি করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! এক্ষেত্রে বৈঠকের উদ্দ্যেশ্যে যেমন ব্যাহত হল, ঠিক তেমনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে এক হলেও, বাইরে এসে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছেন বলে সরব হতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। সব মিলিয়ে বৃহস্পতিবারের ভার্চুয়াল বৈঠক নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের বক্তব্য তৃণমূলকে যে যথেষ্ট চাপের মুখে ফেলে দিল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!