এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পুজোর আগে মোদীর ভাষণ, কারণ ‘ফাঁস’ তৃণমূল সাংসদের! পাল্টা দিলেন হেভিওয়েট বিজেপি নেতাও

পুজোর আগে মোদীর ভাষণ, কারণ ‘ফাঁস’ তৃণমূল সাংসদের! পাল্টা দিলেন হেভিওয়েট বিজেপি নেতাও


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বাংলা ও বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই ব্যাপক তরজার সৃষ্টি হয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে। ষষ্ঠীতে মায়ের বোধনের দিন বঙ্গবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণ রাখার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। কিন্তু দুর্গাপুজোর আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণ রাখাকে কেন্দ্র করে এবার চরম তরজায় জড়িয়ে পড়ল শাসক এবং বিরোধী।

যেখানে তৃণমূলের পক্ষ থেকে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য নরেন্দ্র মোদীকে দায়ী করা হচ্ছে। অন্যদিকে পাল্টা তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি। স্বাভাবিকভাবেই দুর্গাপুজোর আবহের মধ্যে দুই রাজনৈতিক দলের এই বিবাদ নিঃসন্দেহে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে বঙ্গ রাজনীতিতে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেন, “সঠিক নীতি না নেওয়ায় করোনা ভাইরাস বেড়েছে। 2014 থেকে 2019 সাল পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদী কোনো বার্তা দেননি। ভোটের কথা মাথায় রেখে পুজোর আগে বলছেন। রাজ্যগুলি অর্থের অভাব সত্ত্বেও করোনা ভাইরাস মোকাবিলা করেছে‌। ভ্যাকসিন দিতে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সেটা নিশ্চিত করুন।”

এদিকে সৌগত রায়ের এই মন্তব্যের পাল্টা বক্তব্য দিয়েছেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। তিনি বলেন, “উৎসবের অতিরিক্ত উৎসাহ যেন দুঃখের কারণ না হয়, সেকথা দেশবাসীকে মনে করিয়ে দিতেই বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের প্রধানমন্ত্রী তার কর্তব্য পালন করেছেন।” স্বভাবতই শাসক থেকে বিরোধী দুই রাজনৈতিক দলের নেতার মধ্যে এই তরজা চরম আকার ধারণ করায় এখন চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। একাংশ বলছেন, তৃণমূল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই ভাষণকে “রাজনৈতিক স্বার্থ” বলে দাবি করতে শুরু করেছে।

তবে বিজেপি তৃণমূলের এই দাবিকে নস্যাৎ করে উৎসবের মরসুমে যাতে মানুষের বিপদ না হয়, তার জন্যই প্রধানমন্ত্রী সতর্ক বার্তা দিয়েছেন বলে দাবি করছে। তবে এই সমস্ত কিছুই যে আগামী 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে দুই রাজনৈতিক দলের দুই হেভিওয়েট নেতার তরজা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় এবং এর ফলে কি প্রভাব পড়ে বঙ্গ রাজনীতিতে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!