এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > কেন হঠাৎ রাজ্যসভায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত! প্রার্থী হওয়ার পরেই বিস্ফোরক জহর! জেনে নিন কারণ!

কেন হঠাৎ রাজ্যসভায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত! প্রার্থী হওয়ার পরেই বিস্ফোরক জহর! জেনে নিন কারণ!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-  রাজ্যসভায় দীনেশ ত্রিবেদী ছেড়ে যাওয়ার শুন্য আসনে তৃণমূলের প্রার্থী কে হবে, তা নিয়ে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছিল। কখনও মুকুল রায়, আবার কখনও প্রশান্ত কিশোর, আবার কখনও বা জহর সরকারের নাম সামনে আসতে শুরু করেছে। তবে 2024 এর লক্ষ্যে মোদী বিরোধিতায় জহুরী হিসেবে যে জহরকে খুব ভালো করেই চিনেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা বলাই যায়। সেদিক থেকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে রাজ্যসভার এই আসনে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে প্রসার ভারতীর প্রাক্তন অধিকর্তা জহর সরকারের নাম।

বলা বাহুল্য, তিনি কেন্দ্রের বর্তমান বিজেপি সরকারের অন্যতম বিরোধী মুখ বলেই পরিচিত। সেদিক থেকে প্রার্থী হওয়ার পরেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গেছে তাকে। যার জেরে মনে করা হচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক মতো করেই সর্বভারতীয় রাজনীতিতে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ঘুটি সাজাতে শুরু করেছেন। আর সেই কারণেই জহর সরকারের মত মুখকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে দেওয়ার কৌশল গ্রহণ করেছেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রার্থী হিসেবে জহর সরকারের নাম ঘোষণা করার পরেই ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন এই হেভিওয়েট ব্যক্তি। যেখানে তিনি লেখেন, “পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় আরও দুটি রাজনৈতিক দলের বিধায়ক রয়েছেন‌। বিজেপি এবং আইএসএফ। আমার ধারণা, এই দুটি দল আমাকে পছন্দ করে না। নরেন্দ্র মোদীর একনায়কতন্ত্র, হিন্দুত্ব এবং দেশজুড়ে অর্থনৈতিক ব্যবস্থার কারণেই আমি পাঁচ বছরের মেয়াদ ফুরানোর আগেই প্রসার ভারতীর অধিকর্তার পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। এরপর থেকে এনডিএর বিরুদ্ধে আমার বিশ্লেষণমূলক প্রচার অনেক বেশি ধারালো এবং ধারাবাহিক করেছি। যেভাবে মানুষের অধিকারকে দমন করা হচ্ছে, যেভাবে সাম্প্রদায়িকতার জিগির তোলা হচ্ছে, এসবের বিরুদ্ধে লড়াই চালাব। শুধু তাই নয়, দেশের অর্থনীতি, মুদ্রাস্ফীতি এবং করোনার মত বিষয়গুলি নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখব।” অর্থাৎ বলাই যায়, প্রার্থী হওয়ার সাথে সাথেই সংসদে গিয়ে যে তার মোদী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা, তা কার্যত ফেসবুক পোস্টের মধ্যে দিয়েই বুঝিয়ে দিলেন রাজ্যসভার তৃণমূল প্রার্থী।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন, সংসদে বিজেপিকে নানা দিক থেকে চেপে ধরতে। 2024 এর লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। আর সেই অনুসারে জহর সরকারের মত হেভিওয়েট মুখকে রাজ্যসভায় প্রার্থী করে বিজেপির বিড়ম্বনা বৃদ্ধি করেছেন তিনি। সেদিক থেকে প্রার্থী হওয়ার পরে যেভাবে জহর সরকার কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হলেন, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে আগামী দিনে রাজ্যসভায় যাওয়ার পর কিভাবে বিজেপির বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দেন এই হেভিওয়েট, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!