কেরলে আটকে পরা বাঙালিদের সহায়তায় বিশেষ পদক্ষেপ অধীর চৌধুরীর – জেনে নিন বিস্তারিত জাতীয় রাজ্য August 21, 2018 প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার কেরল রাজ্য। টানা কয়েকদিন বৃষ্টিতে ঐ রাজ্যের প্রবল বন্যায় বিপন্ন মানুষজন। লক্ষাধিক মানুষ গৃহহীন হয়ে পরেছেন। মৃতের সংখ্যাও প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই মুহূর্তে ঐ রাজ্যে বিভিন্ন প্রয়োজনে পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু মানুষ রয়েছেন।এবার তাদের সহায়তায় বিশেষ তৎপরতা দেখালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। প্রসঙ্গত এই রাজ্য থেকে বহু মানুষ বেশি অর্থের বিনিময়ে জীবিকার প্রয়োজনে ঐ রাজ্যে বসবাস করে। সেখানকার বর্তমান দুর্যোগপূর্ণ পরিবেশে ঐ সকল মানুষদের সহায়তার জন্যে দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও প্রধানমন্ত্রীর দফতরে চিঠি পাঠান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। সেই চিঠিতে তিনি বন্যাদুর্গত কেরলে কন্ট্রোল রুমগুলিতে দোভাষী লোক নিয়োগের আর্জি জানালেন। সোমবার বহরমপুরে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এই রাজ্যের কর্মসূত্রে কেরল প্রবাসী দুর্গত মানুষজনের কথা চিন্তা করে তাঁর নেওয়া এই উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপের কথা প্রকাশ্যে ঘোষণা করলেন। একই সাথে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করতেও কোনো কসুর করলেন না তিনি। অধীর বাবু এদিন বললেন,”এই বাংলাকে মুখ্যমন্ত্রী বিশ্ব বাংলা বলেন। তাই মুখ্যমন্ত্রী কেরলে কর্মরত মানুষদের তেমন খোঁজ নিচ্ছেন না। সেখানে খোঁজ নিতে গেলে সকলে বুঝতে পেড়ে যাবে, এই বাংলা যদি বিশ্ব বাংলা হয় তবে তাঁরা কেন কেরলে কাজের টানে আসেন। বন্যাদুর্গত কেরলে অন্য রাজ্যগুলি যখন সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে, ঠিক তখনই এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অর্থ সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন।” আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে একই দিনে সাংবাদিক বৈঠক করলেন মুর্শিদাবাদ জেলার জেলা শাসক পি উলগানাথন। তিনি বললেন, মুর্শিদাবাদ একটি অনুন্নত জেলা। এই জেলায় কাজের ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো সুযোগ সুবিধা না থাকায় এখানকার মানুষজন ভিনরাজ্যে পাড়ি দেয়। এইরকমই এই জেলার বহু মানুষ বর্তমানে কর্মসূত্রে কেরলে রয়েছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে তাঁরাও সেখানে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন। শুধু তাঁরা নয় তাঁদের পরিবারের লোকজনও চরম উৎকন্ঠায় রয়েছেন। এই অস্বস্তিকর অবস্থা থেকে তাঁদের স্বস্তি দিতে মুর্শিদাবাদ জেলার প্রায় প্রতিটি ব্লক অফিস ও এসডিও অফিসে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ঐ কন্ট্রোল রুমগুলি প্রায় তিন থেকে চার হাজার পরিবার আবেদন করেছেন। এই সমস্ত আবেদন স্বরাষ্ট মন্ত্রককে পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করলেন জেলা প্রশাসনের এই শীর্ষ কর্তা। আপনার মতামত জানান -