এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কেরলের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে তুমুল বিতর্ক রাজনৈতিক মহলে

কেরলের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে তুমুল বিতর্ক রাজনৈতিক মহলে


কেরালার বাম সরকারের বিরুদ্ধে অনেক আগে থেকেই অভিযোগ ছিল পাকিস্তান ও সংখ্যালঘুদের প্রতি তাঁরা সহানুভূতিপূর্ণ মনোভাব দেখান। তা আরেকবার জোরালোভাবে সামনে নিয়ে এলো কেরালা কংগ্রেস। এবার কেরালা অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এর পরীক্ষা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। কংগ্রেসের অভিযোগ, এই বছর কেরালা সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় যে প্রশ্নপত্রটি দেওয়া হয় তার সঙ্গে মিল পাওয়া গেছে পাকিস্তানের সিভিল সার্ভিসেস এর প্রশ্নপত্রের। যদিও এই দাবি প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই খারিজ করে দিয়েছেন কেরালা পাবলিক সার্ভিস কমিশনের প্রধান। তবে এই ঘটনায় চূড়ান্ত বিতর্ক শুরু হয়েছে কেরালার রাজনৈতিক মহলে।

গত শনিবার কেরালায় হয়ে গেল ‘কেরল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস’ এর পরীক্ষা। তবে পরীক্ষা শেষ হওয়া মাত্রই এই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে বিতর্কের ঝড় বয়ে যাচ্ছে। তুমুল হইচই শুরু হয়েছে এই প্রশ্নপত্রকে কেন্দ্র করে। অভিযোগ উঠেছে, কেরল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস যার মাধ্যমে ডেপুটি কালেক্টর সহ একাধিক সম্মানীয় উচ্চ সহকারী পদে নিয়োগের পরীক্ষা হয়, সেই পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসেস এর প্রশ্নপত্রের হুবহু মিল আছে। আর এই মিল থাকার কারণেই শুরু হয়েছে তুমুল হইচই।

বলা হচ্ছে, কেরলের পাবলিক সার্ভিস কমিশনের যে প্রশ্নপত্রটি দেওয়া হয়েছে সেখানে বহু প্রশ্নই 2001 সালে পাকিস্তানের সিভিল সার্ভিসেস এর প্রশ্ন থেকে হুবহু তুলে নেওয়া। এই দাবি স্বয়ং পরীক্ষার্থীদের। এ প্রসঙ্গে কেরলের পিএসসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশের তাবড় শিক্ষাবিদরা অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি করেন। সুতরাং প্রশ্নপত্রের সঙ্গে যদি অন্য কোন দেশের প্রশ্নের মিল পাওয়া যায় তা খুব একটা অস্বাভাবিক নয়। এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি করার কোন কারণ নেই। অন্যদিকে এই মুহূর্তে এই বিতর্ককে কেন্দ্র করে রীতিমতো কোণঠাসা অবস্থায় রয়েছে কেরল বাম প্রশাসন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, কেরলের কংগ্রেস শিবির এই ঘটনায় তদন্তের দাবি তুলেছে। কেরল কংগ্রেসের বক্তব্য, ইচ্ছাকৃতভাবেই পিএসসি কর্তৃপক্ষ এ ধরনের গাফিলতি করেছে। তবে কেরলের পিএসসি পরীক্ষা নিয়ে এর আগেও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর আগে অনৈতিকভাবে কেরলের পিএসসি পরীক্ষায় পাশ করে দুই এসএফআই নেতা চাকরি পাওয়ায় প্রবল বিতর্ক শুরু হয়। সে সময় অভিযোগ ওঠে, দুই এসএফআই কর্তা শুধুমাত্র দুর্নীতির উপর নির্ভর করে এই চাকরি জোগাড় করেছেন। তারপর থেকে কেরল পিএসসি নিয়ে একের পর এক অভিযোগ উঠতেই থাকে।

তবে এই মুহূর্তে কেরাল প্রশাসনের এ ধরনের গাফিলতির কথা সামনে আশায় তুমুল হৈচৈ শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কেরলের বাম প্রশাসনের এহেন গাফিলতিকে সামনে এনে রাজনৈতিক মঞ্চে আলোকবৃত্তে চলে এসেছে কংগ্রেস শিবির। তবে এই প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত, যেকোনো বড় পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি করে সারাদেশের বিখ্যাত শিক্ষাবিদরা। তাই কোন দেশের প্রশ্নপত্রের সঙ্গে যদি মিল পাওয়া যায় তাহলে তা সরকারের গাফিলতি হিসেবে দেগে দেওয়ার কোন কারণ থাকেনা। আপাতত এই বিতর্ককে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি কোথায় দাঁড়ায় সে দিকে লক্ষ্য রাখছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!