এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > কেটো ডায়েট করছেন? কুফল এর দিকগুলো মাথায় রাখুন, নইলে ভুগতে হবে ফল!

কেটো ডায়েট করছেন? কুফল এর দিকগুলো মাথায় রাখুন, নইলে ভুগতে হবে ফল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কথায় বলে অল্প বিদ্যা ভয়ংকরি। তবে সেই অল্প বিদ্যার প্রয়োগ যদি হয় নিজের শরীর স্বাস্থ্যের ওপর, তাহলে সেটার প্রভাব কিন্তু মারাত্মক হতে পারে। বর্তমানে রোগা হওয়ার অনেক উপায় সোশাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখতে পাওয়া যায়। সেই মত অনেকে রোগা হওয়ার জন্য বিশেষ বিশেষ উপায় অবলম্বনও করেন। তবে সেই উপায় সম্পর্কে কতটুকু জ্ঞান থাকে বেশিরভাগ মানুষের? ফলে নানা কারণে শরীরে তার কুপ্রভাব পড়তে বাধ্য।

এমন ডায়েট প্ল্যানের মধ্যে থেকে কেটো ডায়েটের নাম অনেকেই শুনে থাকবেন। তবে সেই ডায়েট করতে গিয়ে অভিনেত্রী মিষ্টি মুখোপাধ্যায়ের কিডনি অচল হয়ে যাওয়া এবং মৃত্যুর ঘটনা আবারও সাবধান করে দিচ্ছে সকলকে। বস্তুত অভিনেত্রীদের মধ্যে রোগা হওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায় ভীষণ। তাই এহেন ঘটনা ঘটা খুব একটা অস্বাভাবিক নয়। অনেকেই ভাবেন যে ওজন কম করা আর ডায়েট করা দুটো সমান।

কিন্তু না জেনে, না বুঝে কতটা খেলে বা না খেলে বিপদ হতে পারে, সেটা আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না। জানা গেছে, অভিনেত্রী এই ডায়েট করার পর দীর্ঘদিন ধরেই স্বাস্থ্য খারাপ হতে থাকে। শেষে মৃত্যুর কাছে হেরে অকাল প্রয়াণ হয় তাঁর। কেটো ডায়েটের ফলে বিকল হয়ে যায় মিষ্টির কিডনি। তাই আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ যদি এই ডায়েট ইতিমধ্যে অনুসরণ করে থাকেন, তাহলে এর সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া প্রয়োজন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কেটো ডায়েট বা কেডি বস্তুত এমন একটি ডায়েট যাতে প্রচুর পরিমাণ ফ্যাট, প্রোটিন খাওয়া হয়। যার তুলনায় খাবারে কার্বোহাইড্রেট কম থাকে। এটা সাধারণত ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য খুবই সহায়ক বলে মনে করা হয়। কারণ তাঁদের রক্তে ইনসুলিন ও চিনির মাত্রা কম থাকে। শুধু তাই নয়, এই ডায়েট মৃগি রোগীদের জন্যও উপকারি বলেই মনে করা হয়। তবে ভালোর সঙ্গে এর কিছু খারাপ দিকও লক্ষ্য করা যায়।

এক পুষ্টিবিদের মতে, কেটো ডায়েট অনুসরণ করলে এক সপ্তাহের মধ্যে ফল পাওয়া যায়। কারণ শরীরে যেহেতু কার্বোহাইড্রেট কম যায় তাই বেশি এনার্জি তৈরি করে ফ্যাট বার্ন করতে সাহায্য করে। কিন্তু অন্যদিকে যেহেতু বেশি ফ্যাট খাওয়া হয়, তাই কোলেস্টরল বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। অন্যদিকে বেশি প্রোটিন আবার কিডনির উপর চাপ সৃষ্টি করে। তাই অনেকেরই কেটো ডায়েট অনুসরণ করার পর নিম্ন রক্তচাপ বা হার্টের নানা সমস্যা দেখা যায়।

তবে ডাক্তারদের মতে, ওজন কমাতে গেলে কেটো ডায়েট অবশ্যই গ্রহণ করা যায়। কিন্তু তার আগে পুষ্টিবিদ বা ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা প্রয়োজন। কারণ প্রত্যেকের নিজের শরীরের একটা নির্দিষ্ট লক্ষণ আছে। তাই মনে রাখা দরকার কেটো ডায়েটে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ অল্পই থাকে। তাই দৈনন্দিন খাবার থেকে আচমকা কার্বোহাইড্রেট কমে গেলে শরীর তার প্রতিক্রিয়া কী ভাবে করবে, সেটা বলা যায় না। তাই পুষ্টিবিদদের মতে কেটো ডায়েটের পরিবর্তে লো কার্ব বা কম কার্ব যুক্ত ডায়েট করাই ভালো। এতে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট- দুটোর মাত্রার মধ্যেই একটা সামঞ্জস্য থাকে। ফলে শরীরে একটা ব্যালান্স বজায় থাকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!