এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কেউ করোনা আক্রান্ত হলেও পুরো এলাকা কন্টেইনমেন্ট করা হবে না! বড় সিদ্ধান্ত এবার বাংলার বুকে

কেউ করোনা আক্রান্ত হলেও পুরো এলাকা কন্টেইনমেন্ট করা হবে না! বড় সিদ্ধান্ত এবার বাংলার বুকে


দেশজুড়ে করোনার সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতিও যথেষ্ট সঙ্কটজনক। তবে এই মুহূর্তে আশার কথা, করোনা ক্রমাগত বেড়ে চললেও সুস্থ হচ্ছেন প্রচুর মানুষ। জানা যাচ্ছে নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার অনুপাতে সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যা বেশি পশ্চিমবঙ্গে। করোনা সংক্রমণকে হারিয়ে এদিন বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন অনেকেই। এই সংখ্যা এযাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ বলে দাবি করা হচ্ছে রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবন থেকে।

অন্যদিকে আগেই করোনা আক্রান্ত এলাকাগুলিকে রেড, অরেঞ্জ এবং গ্রীন জোনে ভাগ করে দেওয়া হয়। সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হলে কনটেইনমেন্ট জোন হিসাবেও এলাকা ভাগ করে দেওয়ার চল শুরু হয়। দেখা যাচ্ছিল, বেশ কিছুদিন ধরেই কলকাতা পুর এলাকায় কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বাস্থ্য ভবনের তথ্য অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, কলকাতার 144 টি ওয়ার্ডের মধ্যে 113 টি ওয়ার্ডই কনটেইনমেন্ট জোনের  মধ্যে পড়ে গেছে, যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে এক্ষেত্রে কনটেইনমেন্ট জোন বেড়ে যাওয়ার দেখা যাচ্ছে, এলাকা আটকে যাওয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা ছাড়া অন্যান্যদের স্বাভাবিক জীবন বজায় রাখতে যথেষ্ট অসুবিধা হচ্ছে। এবার তাই কনটেইনমেন্ট জোনের বিধি-নিষেধ কিছুটা আলগা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। বুধবার এই প্রসঙ্গে একটি বিশেষ বৈঠক হয় পুরো কমিশনার ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে। এই বৈঠকে পরিস্থিতি পর্যালোচনায় উঠে এসেছে নতুন নিয়ম। এবার থেকে কেউ করোনা আক্রান্ত হলে তাঁর বাড়ি এবং সংলগ্ন প্যাসেজটি সম্পূর্ণ আটকে দেওয়া হবে।অন্যান্যরা স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ প্রসঙ্গে পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ‘গোটা এলাকা কন্টেইনমেন্ট হলে সাধারণ মানুষের খুবই অসুবিধা হচ্ছে। এব্যাপারে আমি কলকাতার পুলিস কমিশনার অনুজ শর্মার সঙ্গেও কথা বলেছি। এরপরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।‘ অন্যদিকে সম্প্রতি ঠিক হয়েছে, কলকাতার রেদ জোনগুলিকে তিন ভাগে ভাগ করা হবে- এ, বি এবং সি। কি পদ্ধতিতে প্রতিটি এলাকা একটি জোনের অন্তর্ভুক্ত হবে, সে ব্যাপারে দীর্ঘ আলোচনা হয় বলে জানা গেছে।

করোনা পরিস্থিতির সরেজমিনে তদন্ত করতে বৃহস্পতিবার রাজ্যের সমস্ত পুরসভার চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, পুর কর্তারা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, লকডাউন এর জন্য দীর্ঘদিন গোটা শহর স্তব্ধ হয়ে রয়েছে। এই অবস্থায় আবারও বেশ কিছু এলাকা কনটেইনমেন্ট জোনের মধ্যে পড়েছে, তাতে সংকট আরো তীব্র হয়ে দেখা গিয়েছে। তাই অবিলম্বে কনটেইনমেন্ট জোনের জন্য বিধিনিষেধ আলগা হল বলে দাবী করা হচ্ছে।

অন্যদিকে করো না টেস্টের গতিপথ আরো দ্রুত করতে চাইছে কলকাতা পুরসভা। সেই কারণেই এবার শহরে পথে নামছে চৌদ্দটি মোবাইল ভ্যান বা অ্যাম্বুলেন্স। এখনো পর্যন্ত ছটি মোবাইল ভ্যান বা অ্যাম্বুলেন্স শহরের বুকে সোয়াব টেস্ট চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি জানা গেছে, রাজ্যের অন্দরেই করোনা টেস্ট কীট প্রস্তুত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই টেস্ট কীট ব্যবহারের ফলে আক্রান্তের সংখ্যা নির্ধারণ করা আরো সহজ হয়ে উঠবে। তবে রাজ্যের অন্যান্য অংশের তুলনায় শহর কলকাতার পরিস্থিতি যে নিত্যদিন খারাপ হচ্ছে, তা নিয়ে এক প্রকার নিশ্চিত চিকিৎসক মহল। আপাতত পরিস্থিতি কোন দিকে যেতে চলেছে সেদিকেই কড়া নজর এখন ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!