এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > খড়্গপুরের বিজেপির ক্ষোভ বাড়ছেই, মেটাতে আসরে শীর্ষনেতারা, বৃষ্টির মধ্যেও তৃণমূলের প্রচার

খড়্গপুরের বিজেপির ক্ষোভ বাড়ছেই, মেটাতে আসরে শীর্ষনেতারা, বৃষ্টির মধ্যেও তৃণমূলের প্রচার


 

বিধানসভা কেন্দ্রটির নাম খড়গপুর। 2016 সাল থেকে এই কেন্দ্রটি রাজ্য রাজনীতিতে হেভিওয়েট কেন্দ্র হিসেবেই পরিচিতি লাভ করতে শুরু করে। বঙ্গের বর্তমান বিরোধী দলের উত্থান এই কেন্দ্র থেকেই ঘটেছে বলে মনে করে রাজনৈতিক মহল। কেননা গত 2016 সালে এই খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে নিজের জয় নিশ্চিত করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

তারপরেই ধীরে ধীরে শাসকের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করে তৃণমূল। কিছুদিন আগেই লোকসভা নির্বাচনেও রাজ্যে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে বিজেপি। আর এই পরিস্থিতিতে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ হয়ে যাওয়া দিলীপ ঘোষের ছেড়ে যাওয়া আসন খড়্গপুরে উপর্নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

জানা গেছে, আগামী 25 নভেম্বর এই কেন্দ্রের নির্বাচন। তবে খড়গপুর বিজেপির পক্ষে সেফ সিট হলেও প্রথম থেকেই দলীয় প্রার্থী নিয়ে কোন্দল, অসন্তোষ প্রকাশ্যে চলে এসেছিল। প্রেমচাঁদ ঝাকে প্রার্থী করায় প্রবল অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন একাংশ। যা নিয়ে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়তে হয় বিজেপিকে।

এদিকে বিজেপির দলীয় কোন্দল যাতে আরো বৃদ্ধি পায়, তার জন্য মনে মনে প্রার্থনা করছিল ঘাসফুল শিবির। যার সুযোগে প্রদীপ সরকারকে প্রার্থী করে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে যেতে শুরু করেছিল তাঁরা। তবে এই কেন্দ্রটি যাতে নিজেদের দখলে রাখা যায় এবং দলের সমস্ত অসন্তোষকে যাতে দূরীভূত করা যায়, তার জন্য চেষ্টার খামতি নেই গেরুয়া শিবিরের অন্দরে।

সূত্রের খবর, শনিবার খড়গপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী নিয়ে সমস্যা মেটাতে সেখানে আসার কথা ছিল এই কেন্দ্রের ভূতপূর্ব বিধায়ক তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং বাংলার বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগ থাকায় এদিন তারা আসতে পারেনি। তবে এদিন বিজেপির তরফে একটি কর্মীসভার আয়োজন করা হয়। কিন্তু বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে খড়্গপুরে না আসলেও ফায়দা লুটতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস বলে দাবি একাংশের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা যায়, এদিন দলীয় প্রার্থী প্রদীপ সরকারের সমর্থনে সভা করার কথা ছিল জঙ্গলমহলের তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী সুভেন্দু অধিকারীর। কিন্তু দূর্যোগের কথা মাথায় রেখে যদি বাইরে সভা করা না যায়, তাহলে কোনো হল ঘরেই সভা করা হবে বলে জানিয়ে দেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি।

এদিকে এদিন সেই দুর্যোগকে উপেক্ষা করেই ছাতা নিয়ে জনতার দুয়ারে দুয়ারে যেতে দেখা যায় খড়্গপুরের তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকারকে। যা দেখে অনেকেই বলছেন, খড়গপুর আসনটি এবার বিজেপির কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে প্রদীপবাবু এবং তার দল তৃণমূল কংগ্রেস উঠে-পড়ে লেগেছেন। আর এখানেই একাংশের প্রশ্ন, তাহলে কি প্রদীপবাবুর জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা! কেননা বিজেপির অন্দরে যেভাবে প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ শুরু হয়েছে, তাতে দিলীপ ঘোষের দখলে থাকা এই কেন্দ্র কি এবার বিজেপি দখলে রাখতে পারবে!

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপি সভাপতি সমিত দাস বলেন, “দলের কিছু কার্যকর্তা এবং সাধারন ভোটারদের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব ছিল, এদিন সকালে আদালতের রায় বেরোনোর পর তা মিটে গিয়েছে। ভগবান রামচন্দ্র প্রেমচাঁদ ঝার জয় নিশ্চিত করে দিয়েছেন। একটা সংসারে ভাইয়ে ভাইয়ে বিরোধ থাকতেই পারে। তৃণমূল, প্রশাসন শুনে রাখুন এই সুযোগে অন্য কেউ এসে চোখ রাঙালে আমরা তার হাত ভেঙে দেব। এই আসনে জেতার জন্য আমাদের রামমন্দিরকে ইস্যু করতে হবে না। দীলিপবাবুর এই আসনে আমাদের জয় নিশ্চিত। আমরা উন্নয়নকে ইস্যু করব।”

এদিকে পাল্টা জনসংযোগের উপর ভরসা করে তারা জয়লাভ করবেন বলে জানান জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ চৌধুরী। যা দেখে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শেষ পর্যন্ত বিজেপির দখলে থাকা এই খড়্গপুরে কে শেষ হাসি হাসবে, তা ভোটের রেজাল্টেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। তবে দলের ক্ষোভ মেটাতে যেভাবে বিজেপির শীর্ষ নেতারা ময়দানে নামছেন এবং যেভাবে বিজেপিকে টেক্কা দিতে তৃণমূল নেতারা জনসংযোগে যাচ্ছেন, তাতে লড়াই এখানে অনেকটাই কঠিন হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!