এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > খড়গপুরে ভোটারদের উৎসাহ কম! পুলিশের সঙ্গে বিজেপি ও বাহিনীর সঙ্গে তৃণমূল নেতাদের বচসা

খড়গপুরে ভোটারদের উৎসাহ কম! পুলিশের সঙ্গে বিজেপি ও বাহিনীর সঙ্গে তৃণমূল নেতাদের বচসা

 

জনতা জনার্দনই প্রধান। তাদের ভোটদানের উপরই নির্ভর করে যে, ভবিষ্যতের শাসকের আসনে কারা বসবে! কিন্তু খড়গপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে সেই ভোটগ্রহণ পর্বে ভোটারদের উচ্ছ্বাস কম থাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যেই আশংকার সৃষ্টি হয়েছে। বস্তুত, সাধারণভাবে বাংলায় ভোটের দিন বুথের বাইরে সবসময়ই লাইন দেখা যায়। কিন্তু খড়্গপুরের সারাদিনই দু-একজন ছাড়া বুথের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেল না কাউকে।

অর্থাৎ যারা ভোট দিতে এসেছিলেন, তাদের কাউকেই বেশিক্ষণ বুথের বাইরে অপেক্ষা করতে হল না। কিন্তু সাধারণ মানুষের উচ্ছ্বাস এত কম কেন! জানা গেছে, এদিন খড়্গপুরের তালবাগিচা, ঝাপেটাপুর, পুরাতন বাজার, কৌশল্যা খরিদা, মথুরাকাটি, নিমপুরা সহ অনেক জায়গাতেই বিকেল পর্যন্ত ভোটারদের চোখে পড়েনি। যা দেখে রীতিমতো চিন্তিত হয়ে পড়েন তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকার থেকে বিজেপি প্রার্থী প্রেমচাঁদ ঝা।

পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে, নিউ সেটেলমেন্ট এলাকায় তৃণমূল কাউন্সিলর পূজা নাইডুকে ভোটারদের বুথমূখী করবার জন্য উদ্যোগ নিতে দেখা যায়। এদিন তিনি বলেন, “ভোটারদের বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসতে হচ্ছে। স্বেচ্ছায় ভোট দিতে আসার সংখ্যাটা খুবই কম। ভোটারদের মধ্যে ভোট দেওয়ার অনীহা দেখা দিচ্ছে। তারা অনেকে বলছেন, এইতো সেদিন ভোট দিলাম। আবার ভোট কেন! আমাকে বলতে হচ্ছে উন্নয়নের জন্য ভোট দিতে হবে।”

একইভাবে এই প্রসঙ্গে মথুরাকাটির তৃণমূল কাউন্সিলর ভেঙ্কট রামনা বলেন, “ভোটের সময় বুথে দীর্ঘ লাইন দেখে অভ্যস্ত। কিন্তু এদিন সেরকম কোনো লাইন দেখলাম না। একজন করে আসছেন, ভোট দিয়ে চলে যাচ্ছেন। ভোটারদের মধ্যে সেরকম কোনো উৎসাহ দেখলাম না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে তৃণমূল থেকে বিজেপি ভোটারদের বুথমুখী করতে নানা চেষ্টা চালালেও দিনের শেষে খড়্গপুরের জনতা জনার্দনের ভোটের ব্যাপারে উচ্ছ্বাসের ব্যাপক অভাব লক্ষ্য করা গেছে। কিন্তু বাংলায় নির্বাচন হবে, আর সেখানে দু-একটা বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটবে না, তা কি হয়! এদিন বড় রকমের কোনো গণ্ডগোল না হলেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাথে তৃণমূলের এবং রাজ্য পুলিশের সাথে বিজেপির বচসা লক্ষ্য করা গেল।

সূত্রের খবর, এদিন নিমপুরায এলাকায় রেলের সুপারভাইজার ট্রেনিং স্কুলে পুলিশের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় বিজেপি প্রার্থী প্রেমচাঁদ ঝাকে। পাশাপাশি মথুরাকাটি হেল্প সেন্টারে বিজেপি প্রার্থীকে বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে গোলবাজারের রেলওয়ে বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে তৃণমূল কর্মীরা জমায়েত করলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তাঁদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। আর এরপরই তৃণমূলের কাউন্সিলরের সাথে সেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রবল বিবাদ শুরু হয়।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, এত গন্ডগোল করেও যেন নিটফলটা জিরো না হয়। কেননা দুই দলই আশাবাদী যে, তারা এখানে জয়লাভ করবে। কিন্তু জনতা জনার্দন যারা গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে জেতাবেন, সেই জনসাধারনের মধ্যেই যেভাবে উচ্ছ্বাসের অভাব লক্ষ্য করা গেল, তাতে খড়্গপুরের উপনির্বাচন কতটা সার্থক হল! তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!