এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > খড়গপুরে তৃণমূল- বিজেপির বহিরাগত নিয়ে আলোচনা! শান্তিতে ভোট না হলে অংক মিলছে না কারোরই?

খড়গপুরে তৃণমূল- বিজেপির বহিরাগত নিয়ে আলোচনা! শান্তিতে ভোট না হলে অংক মিলছে না কারোরই?

 

বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। কিন্তু তেরোটি পার্বণের মধ্যে মাঝেমধ্যেই এসে উঁকিঝুঁকি দেয় ভোট পার্বণ। আর 14 তম এই পার্বণটি মানুষকে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে সাহায্য করে। যার মাধ্যমে নির্ধারিত হয়, আগামী দিনে কে শাসকবর্গের আসনে বসবে, আর কারাই বা বিরোধি থাকবে! আজ সোমবার রাজ্যের তিন বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। যার মধ্যে কালিয়াগঞ্জ, করিমপুরের পাশাপাশি রয়েছে খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্র। নিঃসন্দেহে খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্রকে হেভিওয়েট কেন্দ্রই বলা চলে।

কেননা 2016 সালে এখান থেকেই জয়লাভ করে সারারাজ্যে পদ্ম ফোটানোর চেষ্টা করেছিলেন দীলিপ ঘোষ। তবে দীলিপবাবু সাংসদ হয়ে যাওয়ায় এবার তার ছেড়ে যাওয়া এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে। যেখানে তৃণমূলের টার্গেট, বিজেপির কাছ থেকে এই কেন্দ্র ছিনিয়ে নিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিজেদের শক্তিশালী করা। অন্যদিকে হাল ছাড়ার পাত্র নন দিলীপ ঘোষও।

দলীয় প্রার্থী প্রেমচাঁদ ঝার হয়ে খড়্গপুরে প্রচার করার পাশাপাশি ঘাঁটি গেড়ে রয়েছেন তিনি। আর দুই দলের বহিরাগতদের নিয়ে এবার তরজায় জড়ালো শাসক-বিরোধী দু’পক্ষ। প্রসঙ্গত, শনিবার প্রচার শেষ হয়ে যাওয়ার পর রবিবার সারাদিন সব দলের নেতা-নেত্রীরাই কে পোলিং এজেন্ট হবে, কোথায় প্রস্তুতি কেমন তার খোঁজখবর করছিলেন। আর এরই ফাঁকে একে অপরের বিরুদ্ধে সরব হয়ে বহিরাগত তকমা খাড়া করেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের মুখেই শোনা গেছে শান্তিতে নির্বাচন-প্রক্রিয়া করানোর কথা। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “আমরা চাই শান্তিতে ভোট হোক এবং তা হবেও। আসলে যত শান্তিপূর্ণ ভোট হবে, তত আমাদের পক্ষে মানুষ ভোট দেবেন। শান্তিতে যাতে ভোট হয়, প্রশাসন নিশ্চয়ই তার দায়িত্ব নেবে। আমরা যেভাবে প্রচার চালিয়েছি, তাতে আমাদের জয় নিশ্চিত। কিন্তু দীলিপবাবু এই এলাকার ভোটার নন। কিন্তু তিনি খড়্গপুরেই আছেন। আমরা বিষয়টা কমিশনের পর্যবেক্ষককে জানিয়েছি। তিনি এখানে থেকে সরকারি বাংলো ব্যবহার করে ভোটারদের প্রভাবিত করছেন।”

এদিকে তৃণমূলের এহেন অভিযোগের পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিজেপি। প্রথমেই ভোট প্রক্রিয়া শান্তিতে করানোর আহ্বান জানিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “আশা করছি শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনীও অাছে। অশান্তির চেষ্টা হলে আমরা আছি। জয় আমাদের নিশ্চিত।” অপরদিকে অজিত মাইতির বক্তব্যের জবাব দিয়ে রাজ্য বিজেপি নেতা তুষার মুখোপাধ্যায় বলেন, “দীলিপবাবু এখানকার সংসদ সদস্য। ওনার বাংলো আছে। সেখানে তিনি থাকতেই পারেন। তৃণমূলের যেসব বহিরাগত আছে, তাদের যদি ভোটের দিন এলাকায় দেখা যায়, তবে দীলিপবাবুও বাংলোর বাইরে বের হবেন।”

আর বহিরাগত নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপির এই তরজা এখন কোথায় গিয়ে পৌঁছয়, সেদিকে প্রত্যেকেরই নজর থাকবে। তবে ভোট যাতে শান্তিতে হয়, তার জন্য আবেদন জানাতে দেখা গেছে সিপিএম এবং কংগ্রেসকেও। এদের এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের নির্বাচনী কমিটির আহ্বায়ক দেবাশিস ঘোষ বলেন, “আশা করি ভোট শান্তিপূর্ণ হবে। কিন্তু শোনা যাচ্ছে বুথ দখল করার জন্য তৃণমূল বেশ কয়েকটি বুথ চিহ্নিত করেছে। প্রশাসনের সেদিকে নজর দেওয়া উচিত।”

এদিকে এই ব্যাপারে সিপিএমের সবুজ ঘোড়াই বলেন, “আমরাও চাই শান্তিতে ভোট হোক। আশা করি, প্রশাসন সেই ব্যবস্থা করবে। তবে আমরা শুনেছি, তৃণমূল এখানে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হতে দেবে না। কারণ ওরা জানে মানুষ ভোট দিতে পারলে ওদের প্রার্থী হেরে যাবেন।” তুমি কি জিতবে এবং কে হারবে তাই আগামী 28 শে নভেম্বর ভোটবাক্স খোলার পরেই প্রমাণ হয়ে যাবে। কিন্তু প্রার্থীদের যেদিন ভাগ্যপরীক্ষা হবে, সেই নির্বাচনের সময় যাতে কোনো অশান্তি না হয়, এখন তার প্রার্থনাই করছে প্রতিটি রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে ভোটকেন্দ্রে যাওয়া সাধারন মানুষরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!