এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > “খেলা হবে” দিবসের ঠেলায় ব্রাত্য রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব! কটাক্ষ বিরোধীদের!

“খেলা হবে” দিবসের ঠেলায় ব্রাত্য রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব! কটাক্ষ বিরোধীদের!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- আজ 16 আগস্ট রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি হিসেবে আগেভাগেই ঘোষণা করা হয়েছে, আজ “খেলা হবে” দিবস পালন করা হবে। যদিও বা এই “খেলা হবে” দিবস পালন করা নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের কড়া বিরোধিতা করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে রাজ্যের বর্তমান শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস এবং তাদের নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব সময় বাংলার সংস্কৃতি এবং মনীষীদের কথা তুলে ধরে বাংলা আগামী দিনে ভারতবর্ষকে পথ দেখাবে বলে দাবি করেন। কিন্তু নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহৃত “খেলা হবে” স্লোগান প্রশাসনিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার দিনে কি বাংলার সংস্কৃতি এবং পরম্পরা কার্যত ভুলে গেল রাজ্যের শাসক দল!

ইতিমধ্যে এই ব্যাপারে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। বলা বাহুল্য, আজ রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের তিরোধান দিবস। বিরোধীদের দাবি, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে কার্যত রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের তিরোধান দিবসকে সেভাবে পালন করা হচ্ছে না। আর বিরোধীদের এই বক্তব্যে রাজ্য সরকারের অস্বস্তি দ্বিগুণভাবে বাড়তে শুরু করেছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আজ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যখন “খেলা হবে” দিবস পালন করা হচ্ছে, তখন ধর্মীয় স্থানগুলোতে রামকৃষ্ণদেবের প্রতি স্মরনানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। কেননা আজ রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের তিরোধান দিবস। আর এখানেই বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছেন, কোথায় গেল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সংস্কৃতিপ্রেম! কথায় কথায় যিনি বাংলার মনীষীদের কথা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, সেই তিনি কেন “খেলা হবে” অনুষ্ঠানকে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে ভুলে গেলেন রামকৃষ্ণদেবকে?

একাংশের কটাক্ষ, “খেলা হবে” স্লোগানের মধ্যে দিয়ে প্রচ্ছন্ন হুমকির আভাস পাওয়া যায়। হয়ত বা রাজ্য সরকারের তেমনটাই ইচ্ছা। আর সেই কারণে কথায় কথায় মনীষীপ্রেমের বুলি আওড়ানো সরকারের পক্ষ থেকে “খেলা হবে” দিবসের ঠেলায় কার্যত চাপা পড়ে গেলেন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব বলেই সরব হয়েছেন একাংশ।তবে বিরোধীদের পক্ষ থেকে এই কটাক্ষ করা হলেও তাতে গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসক শিবির। তাদের দাবি, সরকারের পক্ষ থেকে “খেলা হবে” দিবসের আয়োজন করা হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু সরকার মনীষীপ্রেম থেকে সরে আসেনি।

ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ফেসবুক পেজের মধ্যে দিয়ে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের তিরোধান দিবসের কথা তুলে ধরে তাঁকে স্মরণ করেছেন। সাম্প্রদায়িক বিভাজন সৃষ্টি করা বিরোধীদের উদ্দেশ্য। আর সেই কারণেই তারা এই ধরনের কথা বলে অশান্তি তৈরি করতে চাইছে বলে দাবি শাসক শিবিরের। তবে গোটা বিষয়টিকে নিয়ে শাসক বনাম বিরোধীদের তরজা যে পর্যায়েই পৌঁছে যাক না কেন, বাংলার সংস্কৃতি এবং মনীষীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নতুন এবং পুরোনো সকল ক্ষেত্রের প্রতিই যে সম্মান বজায় রাখা উচিত, সেই বিষয়ে কার্যত একমত বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!