এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > খেলা হবে দিবসের অনুমতি বাতিল করল বিজেপি শাসিত দুই রাজ্য, তীব্র বিতর্ক রাজনৈতিক মহলে

খেলা হবে দিবসের অনুমতি বাতিল করল বিজেপি শাসিত দুই রাজ্য, তীব্র বিতর্ক রাজনৈতিক মহলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট খেলা হবে দিবস নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একমাত্র লক্ষ্য দিল্লির বুকে মোদী শাসনের অবসান। কার্যত বর্তমানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াই যে বিজেপি শিবিরের বিরুদ্ধে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। অন্যদিকে বিজেপিকে সরাতে তৃণমূল সুপ্রিমো ইতিমধ্যেই অন্যান্য দলগুলিকে একজোট হবার আহ্বান জানিয়েছেন। কার্যত তাঁর আহবানে সাড়া দেবার প্রস্তুতি চলছে দেশের সর্বত্র বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারানোর পর তৃণমূলের লক্ষ্য এই মুহূর্তে বিভিন্ন রাজ্যে সংগঠন বিস্তার করা।

আর সেই সূত্রেই তৃণমূল এবার খেলা হবে দিবস পশ্চিমবাংলার সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য রাজ্যেও পালন করার বার্তা দিয়েছে। এবং অন্যান্য রাজ্যের মধ্যে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিও রয়েছে। যথারীতি একুশে জুলাইয়ের কর্মসূচিও বিভিন্ন রাজ্যে পালন করার কথা বলা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী ত্রিপুরা থেকে উত্তর প্রদেশ একুশে জুলাই পালন হয়েছে যদিও সে ক্ষেত্রে বাধার মুখে পড়তে হয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের। আর এবার খেলা হবে দিবস নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে উত্তরপ্রদেশ এবং গুজরাটে। কার্যত এবার খেলা হবে দিবস পালনের অনুমতি বাতিল করে দিল উত্তরপ্রদেশ ও গুজরাট প্রশাসন। প্রসঙ্গত 21 শে জুলাই শহীদ দিবসের মঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খেলা হবে দিবস পালনের ডাক দিয়েছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সে ক্ষেত্রে তিনি 16 ই আগস্ট দিনটিকে বেছে নিয়েছিলেন। সেদিনই তিনি পশ্চিমবঙ্গসহ ত্রিপুরা, আসাম, কেরল, গুজরাট এবং উত্তর প্রদেশের তৃণমূল নেতাদের 16 ই আগস্ট দিনটিকে খেলা হবে দিবস হিসেবে পালন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই উত্তরপ্রদেশ এবং গুজরাট প্রশাসনের তৃণমূলের খেলা হবে দিবসের অনুমতি বাতিল করার পেছনে যে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে, তা বুঝতে বাকি নেই কারোর। উত্তরপ্রদেশ এবং গুজরাট রাজ্যে রয়েছে বিজেপি শাসন এবং দুটি রাজ্যের শীর্ষে রয়েছেন বিজেপির হেভিওয়েট। তাই সেই জায়গায় তৃণমূলকে যে কোনোভাবেই জায়গা ছাড়া হবেনা, তা পরিষ্কার।

পাশাপাশি মনে করা হচ্ছে, ত্রিপুরার বর্তমান অবস্থা কার্যত চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্যেও। তাই আগেভাগেই সাবধানতা অবলম্বন করে তৃণমূলকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য খেলা হবে দিবসের অনুমতি বাতিল করে দিল উত্তরপ্রদেশ ও গুজরাট প্রশাসন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। খুব স্বাভাবিকভাবেই অনুমতি বাতিলের পর তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তবে অনুমতি বাতিল করলেও এর পেছনে কোন রাজনৈতিক কারণ আছে বলে স্বীকার করেননি উত্তরপ্রদেশ এবং গুজরাত প্রশাসন। অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকেও এখনো পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। আপাতত মনে করা হচ্ছে, উত্তরপ্রদেশ এবং গুজরাট প্রশাসনের নির্দেশ রাজনৈতিক ময়দানে বিতর্ক বাড়িয়ে দিল।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!