এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > “খেলা হবে” স্লোগানে আপত্তি, দলত্যাগ হেভিওয়েট নেতা এবং অনুগামীদের! তৃণমূলের অস্বস্তি চরমে!

“খেলা হবে” স্লোগানে আপত্তি, দলত্যাগ হেভিওয়েট নেতা এবং অনুগামীদের! তৃণমূলের অস্বস্তি চরমে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজার অনেক আগে থেকেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে খেলা হবে স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। যে স্লোগান নিয়ে এখন কার্যত চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। বিরোধীদের পক্ষ থেকে এই স্লোগানকে প্রচ্ছন্ন হুমকি বলে দাবি করা হলেও, চায়ের দোকান থেকে শুরু করে মাঠ ময়দান, সবখানেই এই স্লোগান দিতে দেখা যাচ্ছে আট থেকে আশি প্রত্যেককেই।

তবে তৃণমূলের এই “খেলা হবে” স্লোগান নিয়ে যখন শাসক দলের নেতাকর্মীরা অনেকটাই উজ্জীবিত, তখন কিছুটা বিপরীত চিত্র চোখে পড়ল রাজ্যে। যেখানে এই “খেলা হবে” স্লোগানে আপত্তি জানিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করলেন ব্লক তৃণমূল সভাপতি সহ 30 জন অনুগামী। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবার গুঞ্জন ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে রাজ্য রাজনীতিতে। তাহলে কি তৃণমূলের এই স্লোগান নিয়ে আপত্তি রয়েছে? আর তাই এই দলত্যাগ! এখন তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ি ময়নাগুড়ি 1 নম্বর ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি মুকুন্দ অধিকারী সহ 30 জন অনুগামী এদিন তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করেন। কিন্তু কী কারণে তারা তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করছেন? এদিন এই প্রসঙ্গে মুকুন্দ অধিকারী বলেন, “দলের শীর্ষ নেতারা যে ভাষায় কথা বলছেন ও প্রচার চালাচ্ছেন, তাতে একটা সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি হচ্ছে। এটা মানতে পারছি না। নির্বাচনী প্রচারে ডিজে বাজিয়ে “খেলা হবে” স্লোগান দিয়ে মানুষকে উত্তেজিত করার চেষ্টা হচ্ছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর ভোটের মুখে তৃণমূলের এই জনপ্রিয় স্লোগান নিয়ে হেভিওয়েট নেতা এবং অনুগামীরা দলত্যাগ করায় ঘাসফুল শিবির যে যথেষ্ট চাপের মুখে পড়ে গেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাদের জনপ্রিয় শ্লোগান নিয়ে যদি দলের অন্দরেই আপত্তি থাকে, তাহলে তো বিরোধীরা এই বিষয়টিকে হাতিয়ার করে ময়দানে নামবে, এইটাই স্বাভাবিক! এই দলত্যাগ কি তাদের অসুবিধার মুখে ফেলবে না?

এদিন এই প্রসঙ্গে ময়নাগুড়ি বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী মনোজ রায় বলেন, “ছাত্র সভাপতির হয়ত মনের মধ্যে কোনো অভিমান রয়েছে। সেই কারণে তারা দলত্যাগ করে থাকবেন। কিন্তু আমি ওদের সঙ্গে আলোচনা করেই ভোটে নামব। ওরা তৃণমূলেরই কর্মী।” তবে তৃণমূল প্রার্থী যে কথাই বলুন না কেন, যে “খেলা হবে” শ্লোগান নিয়ে তৃণমূল এত হম্বিতম্বি করছে, সেই বলে দাবি করায় কার্যত অস্বস্তি বাড়বে ঘাসফুল শিবিরের।

এমনিতেই বিরোধীরা এই স্লোগান নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। আর এবার তৃণমূলের হেভিওয়েট ছাত্রনেতা এবং তার অনুগামীরা সেই স্লোগান নিয়ে আপত্তি জানানোয় বিরোধীরা যে বাড়তি হাতিয়ার পেয়ে গেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, অভিমানী নেতাদের দলে সক্রিয় করতে তৃণমূল নেতৃত্ব কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করে কি না, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!