এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > খেজুরি থেকে লোক ঢুকিয়ে বুথ দখল করে ভোটে জিতেছিল শুভেন্দু অধিকারী – বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা

খেজুরি থেকে লোক ঢুকিয়ে বুথ দখল করে ভোটে জিতেছিল শুভেন্দু অধিকারী – বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতা হিসেবেই পরিচিত রামনগরে তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি। বর্তমানে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে যখন ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে, তখন শুভেন্দু অধিকারীর নানা আচার আচরণ নিয়ে সেই অখিলবাবু আরও বেশি করে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। এমনিতেই তিনি প্রথম থেকেই অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে। তার মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী যখন অরাজনৈতিক সভা-সমিতি করছেন এবং দলনেত্রীর নাম পর্যন্ত নিচ্ছেন না, তখন তার আচার আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা যাচ্ছে এই তৃণমূল বিধায়ককে।

আর এবার সেই শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি। মূলত সমবায় আন্দোলন নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর দাবিকে কার্যত প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছেন তৃনমূলের এই নেতা। যেখানে খেজুরি থেকে লোক ঢুকিয়ে বুথ দখল করে শুভেন্দু অধিকারী ভোটে জিতেছিল বলে বিস্ফোরক দাবি করেছেন এই তৃণমূল বিধায়ক। যার ফলে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যখন দলের দূরত্ব বাড়ছে, তখন তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরির এই মন্তব্যতে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বস্তুত, বুধবার একটি সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, “1996 সাল থেকে সমবায় আন্দোলন শুরু করেছি। আমি বিভিন্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান রয়েছি। সবটাতেই আমি ইলেকটেড হয়েছি। নট সিলেক্টেড। মেদিনীপুর জেলা থেকে সমবায় আন্দোলন শুরু হয়েছিল, এটা গর্ব করার মত বিষয়। এই প্রতিষ্ঠান খুব ভালো চলছে। সব মিলিয়ে যে সমান্তরাল অর্থনীতির স্রোত, তা তমলুক- ঘাটাল কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকের মাধ্যমে অব্যাহত থাকুক।” আর শুভেন্দু অধিকারী যখন এই দাবি করছেন, তখন তার এই বক্তব্য নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি অখিল গিরি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন তিনি বলেন, “1996 সাল থেকে নয়। অনেক পর থেকে শুভেন্দুবাবু সমবায় আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে। উনি একাই ইলেকটেড নন, যারা বোর্ড অফ ডিরেক্টর বা চেয়ারম্যান হয়, তাদের ইলেকটেড করা হয়। তার অভিজ্ঞতা বাকিদের থেকে কিছু বেশি নয়।” আর এরপরই শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কে আরও একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করেন অখিলবাবু।

তিনি বলেন, “একবার কাঁথি কো-অপারেটিভ ব্যাংকের ভোটের দিন খেজুরি থেকে লোক নিয়ে এসে জ্যোতির্ময় করকে হারিয়ে দিয়ে নিজের চেয়ারম্যান হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।” স্বাভাবিক ভাবেই শুভেন্দুবাবু যখন নিজেকে নির্বাচিত বলে দাবি করছেন, তখন তার বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতা অখিল গিরির তাকে উদ্দেশ্য করে এই ধরনের বিস্ফোরক অভিযোগ নিঃসন্দেহে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব এবং শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দলের দূরত্বকে আরও তীব্র করল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

একাংশ বলছেন, এমনিতেই শুভেন্দু অধিকারী যদি দলত্যাগ করেন, তাহলে তৃণমূলের অবস্থা শোচনীয় হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর তার মাঝেই এবার শুভেন্দু অধিকারীর মান ভাঙানোর জন্য এক প্রবীণ তৃণমূল সাংসদ উদ্যত হয়েছেন বলে খবর। স্বাভাবিকভাবেই এমত পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারী দলত্যাগ করলে তৃণমূলের কি হবে, তা বিন্দুমাত্র না ভেবে যেভাবে অখিল গিরি তার সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন, তাতে নিজের গোষ্ঠীকেই তিনি কার্যত শক্তিশালী করে শুভেন্দু অধিকারীকে চাপে ফেলার চেষ্টা করলেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

অর্থাৎ অনেকে বলছেন, অখিলবাবু পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় নিজের গোষ্ঠীকে অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে শক্তিশালী করতে গিয়ে এই ধরনের কথা বলতে শুরু করেছেন। যার ফলে অখিলবাবুর এহেন মন্তব্যের জেরে তৃণমূলে শুভেন্দু অধিকারী আদৌ সক্রিয় হবেন কিনা, তা বড় সংশয়ের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশেষজ্ঞদের কাছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!